কবিতার ছেলে।
আমি জানতাম হে স্বাধীনতা
বাংলার মানুষ
তোমায় নিয়ে গর্ব করবে,
উৎসবমুখর পরিবেশে
চিৎকার করে ওরা বলবে
আমরা আজ স্বাধীন।
অথচ কোথায়
সেই ভবঘুরে সর্বশান্ত মানুষটার স্বাধীনতা।
যে মানুষটা শীতের তীব্রতায়
বস্ত্রশূন্য অভিশপ্ত শরীর নিয়ে
থরথরে কাঁপছে,
কাঁদছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে
দু-দানা আহারের খোঁজে।
আমি জানতাম হে স্বাধীনতা
একমুষ্ঠো জনতার মুখে
তুমি প্রতিধ্বনিত হবে - যখন মধ্যরাত,
অথচ এই মিছিলের ভীঁড়ে
মহাজাগতিগ যে দৈনতা
কে দেবে তার সমাধান বল।
বাদ্য বাজবে,উড়বে কত ফানুস
অতলনীলিমা মাড়িয়ে ওরা
উড়ে যাবে,মিশে যাবে
দূর থেকে দূরে
শুধু ক্ষীণ আশা বুকে নিয়ে পড়ে রবে
যাযাবর দল,
পড়ে রবে পরাধীন মানুষের কষ্টগুলো।
এরপর যখন ঠেঁকে যাবে
মধ্যরাতের ঘড়ির কাঁটা
মানুষগুলো ভুলে যাবে।
বন্ধ হবে প্রেরণার দ্বার।
আবার সকাল হলে -
পৃথীবিকে দেখা যাবে চিরচেনা রুপে
যেখানে রবে বৈশম্য -
ধনের বৈশম্য, আত্মার বৈষম্য
সর্বাপরি তোমার সংজ্ঞা নিয়ে বৈষম্য।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।