ইমরোজ
অনেক দিন ধরেই ভাবছি ব্যাপারটা নিয়ে। এখন সময় এসেছে আমরা বদলে যাব। আমরা আর এভাবে থাকতে চাইনা।
প্রশ্ন করুন তো নিজেকে। আজ কি আপনি স্বাধীন? আমরা কী স্বাধীন? মোটেও স্বাধীন হতে পারেনি।
বরং ১৯৯০ সালের পর থেকে দু'টা পরিবারের হাতে আমরা বন্দী হয়েছি। একটা হলো জিয়া পরিবার, অপরটা হলো শেখ পরিবার।
অর্থাৎ শুদ্ধ ভাষায় বুঝাতে গেলে আমরা গত প্রায় বিশটি বছর যাবত এই দুইটি পরিবারের কোন্দলের স্বীকার। আমাদের স্বাধীনতা বলতে তো আর কিছু নেই। এখন জনতার রায় একবার এর পক্ষে যায় তো আরেকবার ওর পক্ষে যায়।
কিন্তু হায়রে বোকা জনতা, দুই পরিবারই যে আমাদেরকে লুটে খাচ্ছে সেটার খবর আমরা কি রাখি?
আমাদের একটা করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। কারণ আমরা বুঝে গেছি এই দুই দলের থেকে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসা সম্ভব নয়। যতই তারা কাউন্সিল করুক আর যাই করুক। সভাপতির ফর্ম একজনই কিনবে আর সেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় হবের দলের প্রধান। খালেদা গেলে আসবে তার ছেলে।
হাসিনা গেলে আসবে তার আত্মীয়। তাহলে কি আমরা এদের থেকে মুক্তি পাবো না?
আজ সমস্ত জায়গায় জায়গায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। কিন্তু এ যে শিকল পরা পায়ের বেদনা নিয়ে উড়ছে সেটা আমরা কেউ দেখছি না। আমাদের মধ্যে নতুনত্ব কোথায়? এই দুই পরিবারের আত্মীয় স্বজনরাই তো সব খাচ্ছে। তাদের চেলাবেলা হয়ে আমরাও খেতে পাই, আর না হলে আমাদের না খেয়ে মড়তে হচ্ছে।
এ কোন স্বাধীনতা আমাদের সামনে এসে বেড়িকেড দিল? কেউ একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন।
কোন লোক ডাইহার্ড আওয়ামীলীগার হলেও সে কোনদিন আওয়ামীলীগের সভাপতি হতে পারবে না। একজন লোক ডাই হার্ড বিএনপি হলেও সে কোনদিন দলের প্রধান হতে পারবে না। তার যোগ্যতা থাকলেও পারবে না কারণ সে সেই পরিবারের সদস্য নয়। তাহলে কি বাংলাদেশ পরিবার দ্বারা তাড়িত হবে?
আসুন আমরা সবাই মিলে একটা রাস্তা খুজি।
এই ব্লগ থেকেই আমরা বের করে আনি নতুনত্ব। এইখান থেকেই রচনা করি নতুন একটি পদ্ধতির। যে পদ্ধতি বা সিস্টেমটা হবে এমনই যে এখানে কেউ পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে পারবে না। প্রিয় পাঠক, ব্যপারটা অনেক কঠিন মনে হতে পারে। তবু আপনার স্থান থেকে চিন্তা করুন, সবাই সবার স্থান থেকে চিন্তা করি, আমরা সবাই মিলে আরেকটা যুদ্ধ কি করতে পারব না? এতই কি কঠিন এই দুই পরিবারকে নস্যাৎ করে দেওয়া।
এখন থেকেই চিন্তা করুন, আমরা কোন রাজনৈতিক দল করব না। কারণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বলতে দুটো। পরিবর্তন করতে হলে আমাদেরকে আদর্শ তৈরী করতে হবে। সেই আদর্শকে সামনে রেখে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসুন বদলে দেই বাংলাদেশের ঘুনে ধরা গণতন্ত্রকে।
সেটা কিভাবে?
আমরা এখানে আলাপ করি আমাদের নতুন কর্মপন্থা।
আমরা আমাদের আদর্শে সেই সকল মুক্তিপাগল মানুষকে সম্পৃক্ত করি যারা কিনা স্বাধীনতার অর্থ বলতে বিএনপি আওয়ামীলীগকে বুঝে না।
বাংলাদেশে ক্রমাগত নেতৃত্ব পরিবর্তন করার জন্য একটি মাত্র উপায় আছে। সেটা হলো আমাদের সিস্টেম পরিবর্তন করে এটা রাজনৈতিক দল শাসিত সরকার না করে প্রেসিডেন্সিয়াল সিস্টেম করা। যে পদ্ধতি আমেরিকাতে বিদ্যমান। ওদের দেশে নেতৃত্বের পরিবর্তন হয় প্রতি ৪ বছরে অথবা ৮ বছরে।
আমরা যদি আমাদের দেশের প্রত্যেকটি জেলাকে স্বতন্ত্র স্টেট ঘোষণা করে সেখানে গভর্নর সিস্টেম চালু করি তাহলে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৪টি গভর্নর হবে। যাদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে একজন প্রেসিডেন্ট। দেশে মাত্র দু'টি মূল দল থাকবে। একটা ডেমোক্রেটস আরেকটা রিপাবলিকান। ৬৪টি জেলার প্রত্যেকটিকে সমান তিনটি ভাগ থাকবে।
সেই তিনটি ভাবে নির্বাচন হবে বিভিন্ন দলের। সেইখান থেকে তিনটা সিটে ২টা রিপাব্লিকান অথবা দুটা ডেমোক্রেট পার্থী জয়ী হলে সেই জেলার গভর্নর হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। এইভাবে ফাইনালি ৬৪টি জেলার মোট ভোটে নির্বাচিত হবে নতুন প্রেসিডেন্ট।
আর প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের প্রার্থী দুটো প্রধান দল থেকে মাত্র দুইজন প্রার্থী হবেন। তাদের একজন বাদ পরবেন, আর আরেকজন নির্বাচিত হবেন।
যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি আরেকবার নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন, কিন্তু যিনি হেরে যাবেন তার আর প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
এই পদ্ধতিতে প্রতি আট বছর পর পর বা পক্ষান্তরে চার বছর পর পর নেতৃত্বের পরিবর্তন আসবে। এই পরিবর্তনের ফলে আর কেউ পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে পারবে না।
এই পদ্ধতির আগা থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা এখানেই বিশ্লেষণ করে একটি সুন্দর কাঠামো দাড় করাবো। এরপরে আমরা এটাকে ইম্পলিমেন্ট করার জন্য পদক্ষেপ নেব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।