যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
রাত সাড়েএগারোটা। শাহীন স্কুলের সামনে। সড়ক বন্ধ। রাত বারোটা। জাহাঙ্গীর গেট।
দুইশগজ আসতে সময় লেগেছে অর্ধঘন্টা। মিরপুর দশ যেতে কতক্ষণ সময় লাগবে?
পনের মিনিট! হু তেমনই হয়েছে গতকাল। সম্ভবত বাসের ড্রাইভার আগে হেলিক্প্টার চালাতো। অথবা বাসটা আগে জিএমজির একটা এরোপ্লেন ছিলো। যা হোক হবে কিন্তু সোয়া বারোটায় মিরপুর-১০ এ নেমে হোটেল খোলা পাওয়া টাফ হবে ভাবতে ভাবতে একটা হোটেল খোলা পেয়ে গেলাম।
গরুর মাংশ। গরম মাংশ। খেয়েটেয়ে স্টেডিয়ামের সামনে এসে একটা সিগারেটের দোকানে চা পেয়ে হাত পা ছড়িয়ে বসে পড়লাম। এ পর্যন্ত একটা রিকশা পেলাম না যে পনেরটাকার একটা ট্রিপ দেবার জন্য রাজী হলো। পথিমধ্যে এমন একটা জায়গা আছে যেখানে মানুষ তো দূরের কথা, কুকুর-বেড়ালও হাইজ্যাক হয়ে যায়।
ভাবছি আর ভাবছি। এবং গরম চায়ের প্রভাবে কোনো বাহনের অভাবে হাঁটাই উত্তম মনে হলো।
ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাটাতে এসে কাউকেই দেখলাম না। একটু মনযোগ দিয়ে দেখলাম রাস্তা থেকে একটু সাইডে নেমে গেলে একটা জটলার মত। একজন গোঙাচ্ছে।
তিনচারজন তার বুকে চাপ দিচ্ছে। আমি নিশ্চিত ধরে নিলাম ছিনতাইকারী। দৌড় না দিয়ে হাঁটার স্পিড বাড়িয়ে দিলাম।
পেছন থেকে হালকা কথাবার্তা শুনছিলাম। একজন বললো, জলদি হাসপাতালে নিয়া চল! আরেকজন বললো, হালারপুতরে কইছিলাম এত খাইস না! আরেকটু সামনে এগুতে একটা রিকশা পেয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
ছিনতাইকারী কাম নেশাখোর ছেলেটা কি মরে যাবে, তাকে কি হাসপাতালে নিতে পারবে সংগীসাথীরা - জানা হলো না। তবে আমার একটুও মায়া হলো না। মনে মনে তার মৃত্যুই কামনা করলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।