আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুইটি প্রতিবন্ধী গল্প

গল্পের রাজত্বে বসবাস করছি আপাতত

১. বোবাক্রোধ আজ খুব খামচে দিয়েছি। এই দেখো আমার মুখের দুপাশে কেমন রক্ত জমে গেছে আর গালগুলো জ্বলছে। তবু আমার রাগ কমছে না। খবরাদার, তুমি আমার মাথায় হাত বুলাবে না। কে তুমি? পাশের ঘরে তুমি থাকো, তোমার কোন ছেলে নেই, মেয়েও নেই।

তুমি আমার কেউ না। আমিও তোমার কেউ না। আমার মা আছে ও ঘরে। নামাজ পড়ছে। আমার মা খুব নামাজ পড়ে, নামাজ পড়ে আর কাঁদে।

মা ভাবে আমি কিচ্ছু বুঝি না, অন্যেরাও তাই ভাবে। আমি কিন' সব বুঝি। বরং তোমরা বোঝ না। সকাল থেকেই আমার পেট ব্যথা করছিলো। আজও আমার নাস-া হয়নি ঠিকমত।

মাকে বলেছিলাম, মামণি, নামাজ পড়ার আগে আমাকে খেতে দিয়ে যাও। মা বোঝেনি আমার কথা, নামাজ পড়তে চলে গেছে। এই যে শোন, পাশের বাড়ির আন্টি, শোন না আমার কথা, আমাকে একটু খেতে দাও! আমার খুব খিদে পেয়েছে, পেট কামড়াচ্ছে! মাথা থেকে হাত সরাও, তোমার আদর দিয়ে আমি কী করবো! আমার যখন খিদে পায় তখন তো তোমরা কেউ বুঝতে পারো না। আচ্ছা, আন্টি, বলতে পারো, বাবা কবে আসবে? এখন ক’টা বাজে, এখন কী দুপুর না বিকেল? বুঝতে পারছো না আমার কথাগুলো!? সরে যাও, নইলে এখন তোমাকেও কামড়াবো। আন্টি চলে গেছে।

মা’র নামাজ শেষ হয়নি। আমার খিদে বাড়ছে। আমি চিৎকার করি, কিন' কোন শব্দ বের হয় না। আমি তো বোবা। ২. চড়-ই একবার একটা চড়-ই পাখি ঢুকে ছিলো আমার ঘরে।

কেমন করে যেন ঢুকে ছিলো, কিন' আর বেরুতে পারছিলো না। আমি বুঝতে পারছিলাম ফ্যানটা যেভাবে ঘুরছিলো তাতে চড়-ই পাখিটার বিপদ হতে পারে। আরেকটু হলেই ফ্যানের ব্লেডে বাড়ি খেয়ে পাখিটা মরে যেতো। আমি বিছানার পাশে রাখা মোমবাতিটা সুইচ বোর্ডে ছুঁড়ে মেরেছিলাম। আপেল মার্কা মোমবাতিটা ঠিক ফ্যানের সুইচে লেগেছিলো।

ফ্যানটা বন্ধ হয়ে গেল। চড়-ইটা শান- হয়ে আমার বিছানার কাছে বসলো। তখন আমি নিশ্চিন- হলাম যে চড়-ইটা আর মরছে না। চড়-ইটা কোথা দিয়ে এলো আমি তা-ই ভাবতে লাগলাম। এমন সময় ঘরে খালা ঢুকলো, মেঝেতে ছড়ানো মোম আর বন্ধ ফ্যান দেখে অবাক হলো।

কী রে ফ্যান বন্ধ করেছে কে? মোমবাতিটা মেঝেতে পড়া কেন? আমি বললাম, খালা দেখো, ঘরে একটা চড়-ই ঢুকেছে। তাই তো, কীভাবে ঢুকলো? জানি না। ফ্যান বন্ধ করলো কে? আমি। তুই, কীভাবে!? ওই মোমবাতিটা ছুঁড়ে মেরেছিলাম? মাই গড! ফ্যানটা যেভাবে ঘুরছিলো তাতে পাখিটা মারা যেতে পারতো, তাই আর কিছু না পেয়ে মোমটা ছুঁড়ে মেরেছি। তুমি রাগ করোনি তো? খালা মোমটা কুড়িয়ে নিলেন।

তক্ষুণি চড়-ইটা দরজা খোলা পেয়ে ফুরুৎ করে উড়াল দিলো। খালা, চড়-ইটা চলে গেলো! যাবেই তো, ও কি আর এই ঘরে বসে থাকবে। বলতে বলতে খালা আমার পাশে বসলো, ঠিক চড়-ইটা যেখানে বসে ছিলো। ১.বোবাক্রোধ আজ খুব খামচে দিয়েছি। এই দেখো আমার মুখের দুপাশে কেমন রক্ত জমে গেছে আর গালগুলো জ্বলছে।

তবু আমার রাগ কমছে না। খবরাদার, তুমি আমার মাথায় হাত বুলাবে না। কে তুমি? পাশের ঘরে তুমি থাকো, তোমার কোন ছেলে নেই, মেয়েও নেই। তুমি আমার কেউ না। আমিও তোমার কেউ না।

আমার মা আছে ও ঘরে। নামাজ পড়ছে। আমার মা খুব নামাজ পড়ে, নামাজ পড়ে আর কাঁদে। মা ভাবে আমি কিচ্ছু বুঝি না, অন্যেরাও তাই ভাবে। আমি কিন' সব বুঝি।

বরং তোমরা বোঝ না। সকাল থেকেই আমার পেট ব্যথা করছিলো। আজও আমার নাস-া হয়নি ঠিকমত। মাকে বলেছিলাম, মামণি, নামাজ পড়ার আগে আমাকে খেতে দিয়ে যাও। মা বোঝেনি আমার কথা, নামাজ পড়তে চলে গেছে।

এই যে শোন, পাশের বাড়ির আন্টি, শোন না আমার কথা, আমাকে একটু খেতে দাও! আমার খুব খিদে পেয়েছে, পেট কামড়াচ্ছে! মাথা থেকে হাত সরাও, তোমার আদর দিয়ে আমি কী করবো! আমার যখন খিদে পায় তখন তো তোমরা কেউ বুঝতে পারো না। আচ্ছা, আন্টি, বলতে পারো, বাবা কবে আসবে? এখন ক’টা বাজে, এখন কী দুপুর না বিকেল? বুঝতে পারছো না আমার কথাগুলো!? সরে যাও, নইলে এখন তোমাকেও কামড়াবো। আন্টি চলে গেছে। মা’র নামাজ শেষ হয়নি। আমার খিদে বাড়ছে।

আমি চিৎকার করি, কিন' কোন শব্দ বের হয় না। আমি তো বোবা। চড়-ই একবার একটা চড়-ই পাখি ঢুকে ছিলো আমার ঘরে। কেমন করে যেন ঢুকে ছিলো, কিন' আর বেরুতে পারছিলো না। আমি বুঝতে পারছিলাম ফ্যানটা যেভাবে ঘুরছিলো তাতে চড়-ই পাখিটার বিপদ হতে পারে।

আরেকটু হলেই ফ্যানের ব্লেডে বাড়ি খেয়ে পাখিটা মরে যেতো। আমি বিছানার পাশে রাখা মোমবাতিটা সুইচ বোর্ডে ছুঁড়ে মেরেছিলাম। আপেল মার্কা মোমবাতিটা ঠিক ফ্যানের সুইচে লেগেছিলো। ফ্যানটা বন্ধ হয়ে গেল। চড়-ইটা শান- হয়ে আমার বিছানার কাছে বসলো।

তখন আমি নিশ্চিন- হলাম যে চড়-ইটা আর মরছে না। চড়-ইটা কোথা দিয়ে এলো আমি তা-ই ভাবতে লাগলাম। এমন সময় ঘরে খালা ঢুকলো, মেঝেতে ছড়ানো মোম আর বন্ধ ফ্যান দেখে অবাক হলো। কী রে ফ্যান বন্ধ করেছে কে? মোমবাতিটা মেঝেতে পড়া কেন? আমি বললাম, খালা দেখো, ঘরে একটা চড়-ই ঢুকেছে। তাই তো, কীভাবে ঢুকলো? জানি না।

ফ্যান বন্ধ করলো কে? আমি। তুই, কীভাবে!? ওই মোমবাতিটা ছুঁড়ে মেরেছিলাম? মাই গড! ফ্যানটা যেভাবে ঘুরছিলো তাতে পাখিটা মারা যেতে পারতো, তাই আর কিছু না পেয়ে মোমটা ছুঁড়ে মেরেছি। তুমি রাগ করোনি তো? খালা মোমটা কুড়িয়ে নিলেন। তক্ষুণি চড়-ইটা দরজা খোলা পেয়ে ফুরুৎ করে উড়াল দিলো। খালা, চড়-ইটা চলে গেলো! যাবেই তো, ও কি আর এই ঘরে বসে থাকবে।

বলতে বলতে খালা আমার পাশে বসলো, ঠিক চড়-ইটা যেখানে বসে ছিলো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।