যেটুকু আলো তোমার দেয়া। সেটুকু দিয়েই আমার অন্ধকার মুছে যায়।
যখন খুব একা লাগে, মনেহয় আমি একটা নদীর পাশে দাঁড়িয়ে আছি।
পারাপারের কোন সুযোগ নেই।
তবু যেতে হবেই ওপারে কোথাও।
এই একলা সময়ে নিজের হাতদুটোকে কোন স্হাপত্যের উপমা মনেহয়।
মাঝে মাঝে চোখের বেলাতেও এমন হয়।
সবুজের দিকে তাকালে নিজের দুটো চোখ ও সবুজ ঘাসফড়িং এর মত হয়ে যায়।
নদীর পানিতে নিজের ছায়া পড়লে
শুধু দীর্ঘ কালোচুলের ছায়া!
এত দীর্ঘচুল কই আমার ছিলো নাতো কখনো!
বিভ্রম হয়।
চেনা দুটো হাত
চেনা দুটো চোখ
নিজের মাথার চুল
সবকিছুই অচেনা মনেহয়।
যেসব দৃশ্যাবলী দেখলে নিজেই লজ্জিত হই।
কুঁকড়ে সরে আসি জানালা থেকে।
মনে হয় বিশ্বাস শব্দটা ঝড় হয়ে ভাঙছে ভিতরের শেকল।
তখন আমার কোন কিছু ভালোলাগেনা আর।
নদীর সীমানা থেকে দুরে যেতে থাকি।
মনের গতি আলোর গতির চেয়েও দ্রুত বয়ে যায়।
তোমার দুচোখের অন্ধকারকে ছুঁই অন্ধকারে।
দীঘির জলে শাপলা যেমন! অথবা মাছরাংগার একাকী বিষণ্নতায়!
তোমার হাতদু'টো আমাকে ছোঁয়।
আমরা যেকেউ কারো নই এ কথা জেনেও আমাদের গল্প হয়।
আমাদের দুঃখ বিনিময়ে নদী চুপ চেয়ে থাকে।
আমি আমার জানালা দিয়ে দেখতে পাওয়া আকাশের সুষমাটুকু তোমায় দেই।
তুমি তোমার নিঃশ্চুপ নীরবতা আমায় দাও।
বিনিময়ের এই অদ্ভুত খেলায় কেটে যায় তোমার ভোর....
আমার সন্ধ্যা নামে ঝুপ করে !
তুমি সেই ভোর সকালের শিশির ছুঁতে বেড়িয়ে পড়ো ।
আর আমি প্রার্থনার অবকাশে আমাদের পৃথিবীকে ভাবি.....আমার চোখে ঘুম আসেনা আর!
তোমার ভোর আর আমার সন্ধ্যা অদ্ভুত চেয়ে থাকে!
তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে আমার!
তোমার ও কি ?
প্রিয় কবির মত আমার ও জানতে ইচ্ছে করে
"কেউ কখনো খুঁজে কি পায় স্বপ্নলোকের চাবি!"
ছবির লিন্ক:
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।