আমি আমাদের সবাইকে নপুংশক নামে ডাকছি,
আর নারীদের নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই
তারা একজন হাঙ্গরের মত সুদর্শন শাসকের জন্ম দেয়ার জন্য এক একজন ওমওয়ালী গর্ভাশয়।
একজন ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে ছুরি দেখলে
আমরা ভয়ে ভেজাকাঠ
কিন্তু একজন ডাক্তারের হাতে ধরা ছুরির নিচে
জীবন পায় নিশ্চয়তা
কি হাস্যকর !! কি ভুলে আমাদের উজ্জীবন আর শশ্রূষা!!!
একজন পাথর ভাঙ্গা শ্রমিকের হাতুড়ি বজ্রমুষ্টি হয়ে
যদি ভেঙ্গে ফেলতে চায় সুর্যের অটলতা
আমরা ভেঙ্গে যায় যেন অস্তিত্বের গুড়ো হয়ে যাওয়ার ভয়ে
কিন্তু একজন অবিবেচক বিচারক যখন তার
অণ্ডোকোষ ভরা টাকা আর গোলাভরা সামরিক অস্ত্রের জোরে
হাতুড়ি পেটায় এক ছিন্নমুল কিশোরের নিজ মা হত্যার ফাসির দড়িতে
তাহলে আমদের নীরবতার সোনাটা যেন গলা চেপে ধরে বেতোফেনের কোন সোনাটার
আনন্দ আর গর্বের জাতীয় অহঙ্কারে
কি গর্দভ আমরা!! ভুল বোঝা পিঠে চাপিয়ে
খুজি সহজ মানবতার সুউচ্চ পর্বতশৃংগ!!!
আজ আমরা বাস করছি উত্তর আধুনিক(!!)রুপকথার রাজ্যে
রাক্ষসদের রাংতায় গড়ায় শিশুদের শিশ্নবিহীন মনোরাজ্য
আর বদলে যাওয়ার ধোয়াটে ধোয়ায়
দেখ কি দারুন ফুর্তির কনসার্ট।
তোমারা আজ যারা এই সন্ধ্যার রাস্তায় বেরিয়েছ দারুন শীতের পোশাক পরে আর ভাবছো এই পোশাকে
তোমাদের জীবন উজ্জ্বল আর জীবিত তোমরা খুব
আমি দেখছি তোমরা কেউ কেউ পরে আছে কাফনের সাদা
কেউ কেউ চিতার আগুন দিয়ে বানিয়েছ হাল ফ্যাশনের জামা
আর কেউ কেউ কফিনের শক্ত খোলশের নিচে
ঢেকে রেখেছো নিদারুন মৃতের নগ্নতা।
আমি জানি পৃথিবীর সব রাষ্ট্রনায়ক-নায়িকারা
এক একজন দারুন বেশ্যা
জাতিসঙ্ঘের বিশাল বেশ্যা বাড়িতে দেদারছে বিক্রী করছে দেহ
সেই দেহ যাকে আমরা বলি যার যার স্বদেশ অথবা সত মা।
যে তুমি দার্শনিক অনায়াসে বলে দিতে পারো
বন্ধ ঘরে কি কি আছে আর তোমার গনক পাখি
বলে দিতে পারে ঘরের দরজা জানালার অতীত ও ভবিষত
কিন্তু তোমার কাছে বর্তমানের কোন চাবি নেই।
যে তুমি শিল্পী, কবি,ভাষ্কর দেখছো শুধু
সুন্দরের ভুল পথে পরিগমণ
সে তুমি অন্ধ অথবা ধ্বজভংগ
কারন সুন্দর বলে কোনকিছু নেই
অন্তত এই মানুষ নামক প্রজাতির ভেতর ছিলনা কোনদিনও
সুন্দর হলো তোমাদের একটা মুখোশ যা তোমার বর্বর মুখে সেটে দিতে গিয়ে
কল্পনা করেছো এক অসম্ভব সভ্যতার
আর ভুল সুর্যের পুজায় বাধিয়েছি প্রানের বিপর্যয়
যাকে আমরা বিবর্তিত মানব সভ্যতা নামে ডাকি।
যে তুমি প্রেমিক মুখে বলো ভালবাসা ভালবাসা
সে আসলে প্রেমের জ়োব্বার নিচে
ঢেকে রাখো তোমার কামুক দেহ –
কাম স্বাভাবিক কিন্তু তুমি তা দেহে মানলেও
মনে ও মুখে মানোনা
আর এখান থেকেই জন্ম দিয়েছ
মিথ্যা নামক এক মানব ভাষার।
আমি এক নপুংশক আর তোমরা আমারই প্রজাতি
আমার এই গান আমি গেয়ে উঠি আমি এতসব
জানা ও বোঝাশোনার আগেই
কারন আমার চিন্তার দীর্ঘায়ু
আমার অক্ষমতা আর ভয় এর বয়স বাড়িয়ে দেয়
আমি তখন এক নপুংশক সমকামী বুড়োর সংগী হয়ে যাই
আর শীতকার করি ব্যথায় যাকে বলা হয় নিম্নাঙ্গের
আনন্দে উচ্চাঙ্গে বেজে চলা শাস্ত্রিয় অবদমনের গান।
আমাদের সবার চুরি হওয়া রক্তে
উত্তাপ বাড়ে পারমানবিক চুল্লির
আমাদের ডাকাতি হয়ে যাওয়া চোখের জ্যোতিতে
অসীম শূণ্যের দিকে তাকিয়ে থাকে হাবল টেলিস্কোপ
আমাদের মৃতদেহের রঙ নিয়ে ছবি আকে রোবট শিশু
আমাদের ঘামের বৃষ্টিতে ভিজে টাপুর টুপুর গান শোনে পেন্টাগন
আমাদের সুখঘুমের চুরুটে গলে মিথুনরত গ্লেসিয়ার এর নাভীমুল
আমাদের হাসি,আমাদের কান্না, আমাদের ব্যথা আমাদের আনন্দ
একটা বিশাল টেষ্টটিউবে এক সদ্যজন্মা শিশু মরুভুমির
না ফোটা চোখ খুলে দেয়
আমাদের ভয় আমাদের অক্ষমতা আমাদের অনিশ্চয়তা আমাদের অকারণ প্রমোদতরী মন
দেখ একটা বিশাল শেকল বানিয়ে
বেধে ফেলছে আমাদের সমুদ্রহত নীলচোখ
আমাদের অধ্যাপক ঈশ্বর দেখো আকাশের ক্লাসরুমে
পড়াচ্ছে সব তেজষ্ক্রিয় শিশূদের মগজকে
আর তাদেরকে বধির করছে আমার এই গান থেকে
নিরাপদ দুরত্ত্বে রাখতে
সে জানতে চায় শিশূদের কাছে
“বলতো শিশু জানোয়ার সভ্যরা
পৃথিবীর কোন প্রজাতির ভাষা আবিষ্কার করেছিলো নপুংশকতা আর এই শব্দটা???”
সমুদ্রের মত গর্জে ওঠে তার সহজ উত্তরটা শিশুদের মুখে-স্রোতে
“নপুংশক প্রজাতি”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।