জাতীয়তাবাদ গণতন্ত্র জয়যুক্ত হোক
নানা আশংকায় প্রমাদ গুনছে সরকারি দলের উত্তরাঞ্চলীয় নেতাকর্মীরা । উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ৭২টি সংসদীয় আসনের যেসব জায়গায় সরকারি দলের এমপি আছেন, তারাসহ সবকয়টি সংসদীয় আসনেই বড় অস্বস্তিকর সময় পার করছেন সরকারি দলের ছোট-বড় নেতারা। আগামীদিনের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে প্রমাদ গুনছেন সরকারি দলের নেতা ও কর্মীরা। বিশেষ করে যারা টেন্ডারবাজি, পেশীশক্তির জোরে চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি করেছেন তারাই আছেন সবচাইতে বেশি ভয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রভাবশালী নেতা জানালেন, প্রভাবশালী অনেক এমপিই এখন থেকেই চেষ্টা করছেন বিরোধীমতের সংবাদকর্মীদের সাথে সক্ষতা গড়তে।
যেন নিদানকালে তারা যে এমপি পরিচয়ে পৌনে ৫ বছর নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজিসহ সব ধরনের পন্থা ব্যবহার করে কামিয়েছেন কোটি কোটি কালো টাকা, সেসব কাহিনী যেন সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে না যায়। পাসপোর্ট অফিসের সূত্রে জানা গেছে, অতি সম্প্রতি বিদেশে চিকিৎসারপ্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সরকারি দলের অনেক নেতাকর্মীই জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট সংগ্রহকরছেন। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অনেকেরই সুস্পষ্ট অভিমত সরকারি দলের হাইকমান্ডের অতি সাম্প্রতিক আগ্রাসী মন্তব্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে একগুঁয়ে মনোভাবের জন্য দেশের তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না তারা। যারা হাইকমান্ডে আছেন, তারা পুলিশ প্রটেকশানে থেকে বড় বড় কথা বলতে পারলেও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা পদেপদে এখন রাজনীতি সচেতন আমজনতার মুখোমুখি হওয়া এড়াতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নেতাকর্মীরা।
ফলে বাস্তব কারণেই জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম লেভেলে এখন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা বিরোধী দলীয় নেতাদের সাথে অলিখিত সমঝোতার পথে হাঁটতে শুরু করেছেন বলে সরব আলোচনা শোনা যাচ্ছে সর্বত্র।
বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসহ সারাদেশের ৫টি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে শুধু মেয়র পদেই নয় মেয়রের পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদেও সরকার সমর্থকদের বিরাট ব্যবধানে পরাজয়কে একে একেনিভিছে দেউটি... পরিস্থিতির সাথে তুলনা করছেন সরকারি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। (ইনকিলাব)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।