একেকটি দুর্ঘটনা ঘটবে, লাল, নীল, সবুজ, হলুদ নানা রঙে ‘ব্রেকিং নিউজ’ কথাটি চ্যানেলের স্ক্রলে ভেসে উঠবে। মাননীয় ব্যক্তিবর্গ শোক প্রকাশ করবেন। মৃত ব্যক্তিদের পরিবার নামমাত্র কিছু সাহায্য পাবে, মিডিয়ার লোকজন আবেগঘন মুহূর্ত ফ্রেমবন্দী করার জন্য আদাজল খেয়ে লেগে যাবেন। দুর্ঘটনার তাৎপর্য বোঝাতে রিপোর্ট প্রচারের সময় করুণ সুর বাজানো হবে। কিছু চ্যানেল আবার কয়েক ধাপ এগিয়ে দুর্ঘটনা নিয়ে ‘সুশীল সমাজ’ এর চিন্তাভাবনার উপর বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
বিরোধী দল সরকারকে যথারীতি দোষারোপ করবে আর সরকার বলবে সবই দেশে নৈরাজ্য ঘটানোর জন্য বিরোধী দলের পাঁয়তারা। এই ধরণের দুর্ঘটনার কারণ, প্রতিকার প্রভৃতি নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেল কয়েক পর্বভিত্তিক সচেতনতামূলক রিপোর্ট দেখাবে। একটা তদন্ত কমিটি গঠিত হবে যার সদস্যগণ তদন্তের নামে মধুর আলাপন আর নাস্তা পানি খেয়েই বেঁধে দেওয়া সময় অতিবাহিত করবেন। তদন্ত কখনই শেষ হবে না। টকশোর বক্তারা এই বিষয় নিয়ে কিছুদিন টিভির পর্দা গরম করবেন।
এজাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে যত ধরণের বাস্তবিক, কাল্পনিক প্রতিকার নেওয়া সম্ভব সেগুলো উপস্থাপন করতে করতে ঢুলু ঢুলু চোখে রাত ৩টার দিকে বিদায় নিবেন এবং অপেক্ষায় রইবেন কবে আবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে যেখানে তারা তাদের কথা ফুলঝুরি ছোটাবেন। আসলে আমরা মানুষেরা এরকমই হয়ে গিয়েছি। সবকিছুতেই পুঁজিবাদের আগ্রাসনের কারণে আবেগ-অনুভুতি পুরোটাই বিলীন। তাই প্রতিনিয়তই এরকম ঘটনা ঘটবে আর আমরা শুধু কফির কাপে চুমুক দিয়ে দেখব মানুষ কতরকম ভাবে মারা যেতে পারে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।