বিডিআর- এর নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হয়েছে। কিন্তু বিচার পক্রিয়া কি স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠ হবে!!!! বোকা জনগন-এর নিকট বিডিআর-এর ঘটনা সারাজীবন হয়তো প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাবে। প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাবে সুষ্ঠ বিচারের সুষ্ঠাতাটুকু।
বোকা জনগনের অংশ হিসেবে খুব জানতে ইচ্ছে করছে, ডিজিআইএফ-এর গোয়েন্দা তৎপরতার ব্যর্থতার জন্য কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে!! যারা তখন সংশ্লিষ্ঠ ছিলেন তাদের বিচার কোথায় হবে!! ডিজিআইএফ যদি নৃশংস এই ঘটনার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থই হয় তবে বোকা জনগনের অংশ হিসেবে জানতে ইচ্ছে করছে তারা দায়িত্বপালনকালীন নাকে কোন কারখানায় সরিষার তেল ব্যবহার করেন এবং চোখে কোন কোম্পানীর সানগ্লাস!! তৎকালীন সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ বিডিআর-কে নিয়ে কি মহাপরিকল্পনা করেছিলেন!! বিডিআর-কে চাল ডাল বিক্রির বাণিজ্যে নামিয়ে এবং সুবিধাবঞ্চিত করে তাদের ভিতরে বিদ্বেষ এবং ক্ষোভ সৃষ্টির কার্যক্রম মঈন ইউ আহমেদসহ কাদের মস্তিষ্কপ্রসূত!!
বোকা জনগন কি কোনদিন জানতে পারবে যে, তদন্ত কমিটি সমূহের সমন্বয়কারী বাণিজ্যমন্ত্রী কর্ণেল ফারুক খান কেন প্রকাশ্যে তদন্ত পক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন!! তিনি কোন তথ্যের ভিত্তিতে বলেছিলেন যে এই ঘটনার সাথে জঙ্গী সংশ্লিষ্টার প্রমান পাওয়া গেছে। অথচ পরবর্তীতে নিজের কথা নিজেই গিলে ফেলে অস্বীকার করেছিলেন।
কাদের রক্ষা করবার জন্য তিনি জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা প্রমানের মিশনে নেমেছিলেন!!
বোকা জনগন কি কোনদিন জানতে পারবে যে, কেন তরুণ সাংসদ ফজলে নূর তাপস মসজিদে মাইকিং করিয়ে এলাকা খালি করিয়ে ফেলেছিলেন। এবং সকল আলো বন্ধ করে দিয়ে কাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন!!! (ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সম্প্রতি তিনি বোমা হামলার স্বীকার হন এবং এর তদন্ত যেভাবে চলছে তার ফলাফল অশ্বডিম্ব)।
বিডিআর-এর ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুনের বিভিন্ন বক্তব্য এবং আচরন ছিলো স্ববিরোধী, অস্বচ্ছ, রহস্যজনক আর প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি প্রথম যেদিন বিডিআর-এর ভিতরে ঢুকলেন কাদের সাথে দীর্ঘক্ষন আলাপ করেছিলেন এবং কাদের অস্ত্র জমা নিয়েছিলেন!! সেই সব অস্ত্র কোথায় রাখা হয়েছিলো!! আর পরদিন ঠিক সকালবেলা অস্ত্রগুলো কোথায় গেল!! বস্তুত তিনি বিডিআর হত্যাকান্ডের দিন রাতে এবং পরদিন রাতে বিডিআর-এর ভিতরে দীর্ঘক্ষন কি করেছিলেন!! নাকি হাওয়া খেয়েছিলেন!!
ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থসন্ধানী নেতাদের সহযোগিতা ব্যতীত এই দেশে কোন দুঃখজনক ঘটনা ঘটে নাই। জাতির পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হত্যাকান্ডের সময়ে খন্দকার মোশতাক এবং রক্ষীবাহিনী প্রধান তোফায়েল আহমেদ, তৎকালীন সেনা প্রধান (যিনি এখন আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত )ভূমিকা রহস্যজনক, প্রশ্নবিদ্ধ এবং অস্বচ্ছ।
জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের সময় বি. চৌধুরীর বেঁচে যাওয়ার ঘটনাটি কি রহস্যজনক মনে হয়না!! তৎকালীন সেনা প্রধান এরশাদ মার্শাল ল-এর নামে কাদের রক্ষা করতে জিয়া হত্যাহান্ডের বিদ্যুতগতিতে বিচার করেছেন এবং ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন আর্মির মেধাবী অফিসারদের।
চার দলীয় জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া যেমন ২১শেআগষ্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেনি। অনুরুপভাবে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল এবং ওয়ান ইলেভেন-এর তত্বাবধায়ক সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া পিলখানা অর্থাৎ বিডিআর হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।