আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মরিচ গাছ একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী

সহজ সরল সবকিছুই ভালবাসি। জটিলতা পছন্দ করি না।

( ব্লগের এই অস্থির সময়ে স্কুল জীবনের মজার স্মৃতিগুলো নিয়ে একটি মন হালকা করা পোষ্ট ) ক্লাস সেভেন বা এইটের ঘটনা; আমাদের ধর্ম পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল সালাত (নামাজ) কাকে বলে ? এক মেয়ে উত্তরে লেখছিল, খিরা টমেটো কুচি কুচি করে কেটে কাঁচামরিচ ও পেয়াঁজ দিয়ে মাখিয়ে খাওয়ার সময় যা পরিবেশন করা হয় তাকেই সালাত বলে । খাওয়ার সময় সালাত খাওয়ার রুচি অনেক বাড়িয়ে দেয় হজমে সহায়তা করে এরকম কত মজার স্মৃতি নিয়ে আমরা বন্ধুরা প্রায়শই মজা করি। স্কুল জীবনের স্মৃতির জাবর কাটা কতটা আনন্দের তা হয়তো কাউকে বলে বুঝাতে হবেনা।

আমাদের ক্লাশেরই আরেক ফেলটুশ মেয়ের কথা বলি। বিজ্ঞান পরিক্ষায় প্রশ্ন ছিল, জিন কি? সেই মেয়ে লিখল, জিন হলো এমন এক জাতি যারা আকাশে বাতাশে ঘুরে বেড়ায়, গভীর রাতে একা পেলে মানুষজনকে ভয় দেখায় । এরা অশরীরি, এদেরকে দেখা যায়না। তাই রাস্তায় রাতের বেলা একা একা ঘোরাফেরা না করাই ভালো। ক্লাশ সিক্সের সমাজ পরীক্ষায় এসেছে, আফ্রিকাকে অন্ধকার মহাদেশ বলা হয় কেন? আমাদেরই এক বন্ধু লিখল, আফ্রিকা খুবি গরিব দেশ।

সেখানে এখনো বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি। তাছাড়া আফ্রিকায় প্রচুর বন-জঙ্গল, বন-জঙ্গল ভেদ করে সূর্যের আলো সহজে মাটিতে পৌঁছাতে পারে না। তাই সব সময় ছায়া ছায়া একটা অন্ধকার ভাব থাকে। এ কারনেই আফ্রিকাকে অন্ধকার মহাদেশ বলা হয়। কোন ক্লাশের ঘটনা ঠিক মনে নেই।

সম্ভবত সেভেন এইটের। বিজ্ঞান পরিক্ষার প্রশ্ন, কেঁচো ও টিকটিকির মধ্যে পার্থক্য লিখ। এক মেয়ে লিখল; কেঁচো ও টিকটিকির মধ্যে পার্থক্য নিন্মরূপ : - কেঁচো মাটিতে গর্ত করতে পারে, টিকটিকি মাটিতে গর্ত করতে পারে না। - কেঁচো দেয়াল বেয়ে উঠতে পারে না কিন্তু টিকটিকি পারে । - কেঁচো গড়াগড়ি করতে পারে, টিকটিকি গড়াগড়ি করতে পারে না।

আরেকটি যে ঘটনার কথা মনে পড়ছে তা আমাদের বন্ধু তেনাফ্যাডা মানে ফরিদকে নিয়ে। সম্ভবত এটাও ক্লাশ সিক্সেরই ঘটনা। পরীক্ষায় এসেছিল স্তন্যপায়ী প্রাণী কাকে বলে? স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদাহরণ দাও। তেনাফ্যাডা ফরিদ স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদাহরণ দিয়েছিল, মরিচগাছ। আর আমাদের আফসার স্যারও তাকে মওকা মতো পাইছে।

সেইরকম কঠিন ঝাড়ি, মরিচ গাছ একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। পৃথিবীর আর কোন প্রাণী তোর চোখে পড়ে নাই। কখনো দেখছস মরিচ গাছরে মায়ের দুধ খাইতে । কোথায় দেখছস মরিচ গাছ মায়ের দুধু খায়.......বলেই ধুম ধাম ফরিদের পিঠে বেতবৃষ্টি। এঘটনা নিয়ে আমরা বন্ধুরা এখনো মাঝে মাঝেই খুব হাসাহাসি করি।

আর এইঘটনার পরেই আমরা তার নাম দেই তেনাফ্যাডা ফরিদ । কেন দিয়েছিলাম কে জানে? ঐ বয়সটা হয়তো এতো কিছুর ধার ধারে না। আপনাদের ও হয়তো এমন অনেক মজার স্মৃতি আছে। থেকে থাকলে জানাবেন । বিমা, বিডি আইডল, শুন্য আরণ্যক, নির্ভয় নির্ঝর সহ যাদের ব্যান বা জেনারেল করা হয়েছে তাদের ঈদ আনন্দ ফিরিয়ে দেয়া হোক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।