পতাকায় ফালগুন মানচিত্রে বসন্ত
তোমার সে মুখ বিষণ্ন আজও, আরক্ত ভীষণ
শকুন-ভাগাড়ে-দেয়ালে যখন শক্রর বসবাস
ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি কী মার্চেও যখন ঘোর-ঝঞ্ঝা
তখনও জাগবে পাঁজরে পাঁজরে চেতনার পরিসীমা।
জননীজনম স্বাধীনতা অসুখে কাঁদে বছরে বছর
তবুও নীরবে দেখছো তুমি ষড়যন্ত্রের সাজোয়া দলন
পাংশুটে জীবনের সে গরাদ আজও তো আছে তেমনই
পোড়া বৈশাখে আষাঢ়-শ্রাবণে দিঘি ও দিঘল স্রোতে।
তুমিও মেখেছ সোনালি শীষের কালচে বিস্বাদ
কুমড়ো ফুলের হলুদ রঙের অবাকদীর্ঘ নীরবতা
এমন কার্তিকের ভোরে পুরাতন লেপের বয়েসি ওমে
সবুজ পাতার আদুরে ছায়ায় তবুও কাঁদছে জীবন!
তুমিও শুনেছ কৃষকের কান্না, কৃষাণীর আর্তনাদ
দেখেছ আঁধারে হাতুড়িপেটানো কামারের রাঙাহাত
তুমিও ভেঙেছ তাঁতির বিশ্বাস, তাঁতের মধুর শব্দ
তুমিও কবিকে দিয়েছ কষ্ট, কবিতা পেয়েছে অসম্মান
তুমিও শত্রুর বাঁকা সন্ত্রাসী চোখে ভেঙেছে শহীদ মিনার।
তুমি তুমি ভেবে দেখো, তোমার কাছেই বাজে পিতলসুন্দর
সেই তোমারই স্বপ্নে কাঁদে রক্ত-সবুজ পতাকা-উড়াল।
তোমারই পদ্মা, তোমারই মেঘনা-ডাকাতিয়া বিল-ঝিল
তোমারই আঙিনায় শুভ্র গোলাপ, কুমারী রজনীগন্ধা
তোমারই ঘরে বাজে হাসন লালন রবীন্দ্র নজরুল
সোনার বাংলা, সোনার ধান্য, রুপালি নদীর জননী।
তবুও ও কী ভাসাবে না শকুন-ভাগাড়, ভাগাড়ি বেনিয়া!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।