গোলাম গজব সাহেবের মন দিল খারাপ।
বড়ই খারাপ।
গত রাতে খুব খারাপ একটা খোয়াব দেখেছেন। জল্লাদ তার গলায় ফাসির দড়ি পরানোর পূর্বে জিজ্ঞেস করছেন, তার শেষ ইচ্ছা কি?
গোলাম গজব সাহেব শেষ ইচ্ছা কি বলবেন এটা নিয়ে চিন্তার মুহূর্তে ধড়ফড় করে ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। এই স্বপ্নটা ইদানিং প্রায়ই দেখছেন।
বিছানার পাশে মিনারেল ওয়াটারের বোতল রাখা। শান্তি। ওয়াসার বের করা এই মিনারেল ওয়াটার গোলাম গজব সাহেবের প্রিয়। বোতলের নাম শান্তি। পানি খেলেও শান্তি শান্তি ভাব হয়।
সেই শান্তি কমিটির শান্তির সময়ের মতোই শান্তি শান্তি ভাব হয়।
বোতল থেকে ঢকঢক করে পানি খেলেন।
আহ্ কি শান্তি। এমন দৃশ্য যেন শুধু স্বপ্নেই দেখতে হয়।
মুজিবের হত্যার রায় দিয়ে দিলো! বেটি তো তার কথা রাখতে শুরু করেছে।
১৯৯১ এ দোয়া নিতে আসা সেই মহিলা তাকে কবে যে ঝুলিয়ে দেয়!
সেগুন বাগিচায় নাকি কোর্ট বসছে।
ওয়্যার ক্রাইম ট্রাইবুনাল সংশোধন হচ্ছে।
একেকটা খবরে গোলাম গজব সাহেবের তীব্র পেচ্ছাবের বেগ হয়। ডায়াবেটিকসটা বেড়ে যায়। আর্মি থেকে ছেলেটাকেও বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে দিল।
চিন্তার কোন শেষ নেই।
পায়জামীকে কাল আবার ফোন দিতে হবে। পার্টি পদ থেকে যেন তাড়াতাড়ি সরে দাড়ায়। পার্টিটাকে এখনই রাজামুক্ত করতে হবে। ব্যারিস্টার বজ্জাতকেও ফোন দিতে হবে।
বেচারা বহু কষ্ট করতেছে। দেশবিদেশ ঘুরে লবিং করা কি কম কষ্ট!
চিন্তায় চিন্তায় গোলাম গজবের রাতে ঘুম হয় না। ভোরের দিকে ঘুম আসে। আবার একই স্বপ্ন। ফাসির দড়ি।
ক্ষোভে দুঃখে গোলাম গজবের কলিজাটা এতোটুকু হয়ে আসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।