ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন ওই বিভাগেরই এক ছাত্রী। প্রতিকার চেয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি।
ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা এ ঘটনার বিচার চেয়ে গতকাল শনিবার বিভাগের চেয়ারম্যান ও অনুষদের ডিনের কাছে স্মারকলিপি দিতে চাইলে তাঁরা তা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী ছাত্রী এ ঘটনায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলার তিনি অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে তিনি বিবিএর ইন্টার্ন করেন।
২০১১ সালের ২৮ অক্টোবর তিনি গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আগে বেলা সোয়া দুইটার দিকে ওই শিক্ষকের কক্ষে প্রতিবেদন জমা দিতে যান। এ সময় শিক্ষক ছাত্রীর গায়ে হাত দেন এবং যৌন হয়রানি করেন।
প্রথম আলো ডটকমকে ওই ছাত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ ঘটনা জানালে তাঁকে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করার হুমকি দেন ওই শিক্ষক। এরপর নিজের স্বামী, সহপাঠী ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পরামর্শে ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত বিষয়টি কাউকে না জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি ফল প্রকাশের পর তিনি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ডিনকে বিষয়টি জানান।
কিন্তু দুজনই ওই শিক্ষককে ক্ষমা করে দিতে বলেন। এরপর ওই শিক্ষক মুঠোফোনে হুমকি দেন। এ বিষয়েও তখনই ওই ছাত্রী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওই ছাত্রী আরও জানান, এরপর বিষয়টি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. অহিদুজ্জামানকে জানালে তিনি ওই শিক্ষককে ডেকে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে লিখিত নেন এবং এ ব্যাপারে সেখানেই মীমাংসা করতে বলেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষক আবারও ওই ছাত্রীকে এমবিএ করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন।
এ ঘটনায়ও তিনি জিডি করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে সর্বশেষ ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও ঘটনাটি জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী প্রথম আলোকে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে । >>>>>>>
Click This Link
খবরটা শোনার পরে আমার অনুভুতি প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি !!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।