প্রারম্ভিক কথাঃ
আমি নিজে কে এমন এক জন সুনাগরিক দাবী করবো না, যে প্রতি ক্ষেত্রে তার কর্তৃক ক্রীত সামগ্রীর উপর আরোপিত Value added tax (VAT) সরকারের খাতায় সঠিক ভাবে জমা দেওয়া হচ্ছে কিনা তা বিক্রেতা বা দোকানদার নিকট হতে নিশ্চিত হয়ে নেয়। বরং, ব্যক্তিগত ক্রয়ের ক্ষেত্র বিল / ভাউচারের শেষে VAT অংকটি দেখলে আর সকলের মত মুখটা আমার কিঞ্চিৎ মলিন হয়ে যায়।
কিন্তু, আমি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ব্যক্তি এবং দাপ্তরিক প্রয়োজন আমাকে প্রায় ছোট-খাট ক্রয় প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত থাকতে হয়। যেহেতু এ ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ জবাব দিহিতা যুক্ত, তাই চেষ্টা করি সরকারী ক্রয় বিধি মালা যথায়থ অনুসরণের। আর আমার মত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের যে কোন দাপ্তরিক বা প্রকল্পের ক্রয়ের প্রয়োজনে ভবিষ্যৎ অডিট আপত্তির ঝামেলা এড়াতে বিক্রেতার নিকট হতে VAT প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিতে হয়।
এটা নিশ্চিত হওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে Cash Memo /Bill -voucher এ VAT এর পরিমাণ ও VAT ID উল্রেখ থাকা । কিংবা বিক্রেতার নিকট হতে ভ্রাটচালানের কপি চেয়ে নেওয়া।
আজকাল আধুনিক প্রতিষ্ঠিত বিপিণি বিতানে Electronic Cash Register (ECR) ব্যবহার হয় , যা এ বিষয়ে খুবই সহায়ক। অনেক ক্ষেত্রেই ছোট-খাটো প্রতিষ্ঠান VAT সংক্রান্ত কাগজপত্র সরবরাহ করতে পারে না বিধায় বিক্রেতার পক্ষ সরকারী ক্রয়কারী VAT ব্যাংকে জমা প্রদান করে দেয় এবং এ ক্ষেত্রে কিছু অনিয়মের আশ্রয় নিতে হয়।
কিন্তু গ্রামীণফোনের মত প্রতিষ্ঠানের VAT প্রদান সংক্রান্ত বিষয়টি নিযে লুকোচুরি এক দিকে বিস্ময়কর ও হতাশাজনক।
গ্রামীনফোনে আমার বিরূপ অভিজ্ঞতাঃ
অতি সাম্প্রতি আমি একটি সরকারী প্রকল্পের জন্য পল্টনস্থ গ্রামীণ ফোনের সার্ভিস/সেলস সেন্টার হতে একটি 'ইন্টারনেট মডেম' ও একটি পোস্ট পেইড সিম ক্রয় করি। Money Receipt হাতে নিয়ে আমি অবাক হয়ে যাই । কেননা, সেই হাতে পুরণকৃত (?) Money Receipt এ বিক্রিত সামগ্রির উপর প্রদত্ত VAT এর পরিমাণ কিংবা VAT ID কোন টাই উল্লেখ নাই। আমি সেখানে উপস্থিত প্রতিনিধিদের আমার VAT প্রদান সংক্রান্ত প্রমান পত্র (VAT চালানের কপি) এর প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে বলি। কিন্তু, তাঁরা এ ধরণের কোন ডকুমেন্টে কিংবা যথাযথ ভাবে VAT দেওয়া হয়েছে এ মর্মে কোন অঙ্গিকার পত্র প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে।
আমি VAT সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা ব্যতিত আমার পক্ষে তাদের নিকট হতে কিছু ক্রয় সম্ভব নয় এ কথা জানালে ; তাঁরা জানায় যেহেতু Money Receipt কাটা হযে গিযেছে সুতরাং আমি তাদের নিকট হতে নিতে বাধ্য। তাঁরা আমাকে ১২১১৫ নম্বরে ফোন করে কিংবা সরাসরি গ্রামীণফোণ হেড অফিস যোগাযোগ করতে বলে। কিংবা National Board of Revenue (NBR) এর নিকট হতে গ্রামীণফোনের VAT সংক্রান্ত আমার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যোগার করে নিতে বলে বিদায় জানায়। !!!!!!!!!!!!!!
আমি ১২১১৫ নম্বরে ফোন করি। একজন সুমিষ্ট ভাষী দীর্ঘ সময় ধরে আমার বক্তব্য শুনেন এবং জানান আমার যৌক্তিক দাবি যেন আমি মতিঝিলস্থ 'গ্রামীন ফোণ সেন্টার'এ গিযে খুলে বলি।
( এই ফাঁকে আমার পয়সায় তিনি নতুন সার্ভিস সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কাজ সেরে ফেলেন। )।
অনেকটা জেদের বসে আমি কাকরাইল হতে মতিঝিল গ্রামীণ ফোণ সেন্টারে হাজির হই। সেখানে অতি Smart পোষাকধারী আমার আমাকে কাটা কাটা বাক্য যা বলেন .............
** ক্রেতা হিসাবে VAT সংক্রান্ত তথ্র জানার আমার যে অধিকারই থাকুক না কেন আমার মত এক জনের প্রয়োজনে 'নতুন ' করে কোন কিছু তাদের পক্ষে সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।
** অনেক সরকারী প্রতিষ্ঠানে তাঁদের নিকট VAT সংক্রান্ত তথ্যহীন হাতে পৃরণকৃত Money Receipt এর মাধ্যমেই ক্রয় কাজ সমাধা করছে ।
তারা যে ভাবে অডিট ম্যানেজ (?) করছে সে টা তাঁদেন নিকট হতে জেনে আমাকেও করতে হবে।
** আর এই VAT সংক্রান্ত তথ্যহীন Money Receipt আমরা যদি না চলে আমি যে ভবিষ্যতে অন্য প্রতিষ্ঠানে যাই । গ্রামীণ ফোনে নয়।
গ্রামীণফোনের দৃষ্টি আকর্ষণঃ
গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষ কে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই
একজন ক্রেতার নিকট বিক্রিত সামগ্রর উপর আরোপিত VAT সরকারী তহবিলে যথাযথ ভাবে জমা হচ্ছে কিনা তা জানতে চাওয়া উক্ত ক্রেতার নাগরিক অধিকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।