।
অনেক আগে যখন প্রথম উপন্যাস পড়তে শুরু করি তখন টানা পড়ে যেতাম, জানতাম না কিভাবে পড়তে হয়। প্রথমে তো কেউই জানে না। পড়তে পড়তে পড়া শিখেছি। তো সেই লেখাগুলো অনেক মনে আছে।
মনে আছে কারন ওগুলো পরে আর পড়া হয়নি। ফলে ওগুলোর কনফিউশনগুলো টাটকা আছে। আসলে মনে আছে কথাটা আরেকটা বাজে কথা। স্মৃতি এখন খুবই বিব্রতকর রকমের খারাপ। আর তাই হয়তো আজকাল শুধুই পুরানো দিনের কথা বলি।
মনে রাখার জন্য সব, নিজেই যেন ভুলে না যাই। আরেকটা হলো ঘোড়া দেখে খোঁড়া হওয়া রোগ। যেখানে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যাবে না বোঝা যায় সেখানে গিয়ে সবাই প্রশ্ন তো ভুলেই যাবে। এবং ইত্যাদি ইত্যাদি....
একটা কাহিনী মনে আছে সবচে ভালো, একটা ছোট মেয়ে তার বাবা মারা গেছে, মা এসেছে তাকে দাদাবাড়ি থেকে নিয়ে যেতে। মেয়েটা মায়ের সাথে যেতে খুব একটা খুশি না।
এরপর সে বড় হলো। মাঝে সে বোর্ডিং স্কুলে ছিলো কিনা ঠিক মনে পড়ছে না।
তো মা তাকে বিয়ে দিলো যার সাথে সে খুব নামকরা এক নেশাবাজ। একদিন নেশাবাজ লোকটা মারা গেল যেভাবে তার মারা যাওয়ার কথা ছিলো সেভাবেই। ডাক্তার এসে দেখে গেলো।
কিছুদিন পরে ডাক্তারের সাথে মেয়েটার বিয়ে হলো। ডাক্তারও মেয়েটার দাদাদের মত বাঙালি। মেয়েটার মা এবং তার প্রথম স্বামী অবাঙালি ছিলো।
সমস্যা হলো গল্পের কোথাও নেশাখোরটার বিষয়ে তেমন ভালো কোনো কথা লেখা নেই- মানে আমার তখনকার পড়ার ক্ষমতা অনুযায়ী আরকি। মনে হয় সে সুন্দর এটুকু আছে, তো নায়িকাও সুন্দর।
কিন্তু কেন যেন তার মারা যাওয়াটা, মেয়েটার ডাক্তারকে বিয়ে করাটা ভালো লাগে না। আমি লেখাটা একাধিক বার পড়েছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারি নাই। আর পরে পড়া হয়নি - মানে ভালো করে পড়তে শেখার। লেখক মনে নাই, নাম মনে নাই, উপন্যাস না বড় গল্প, নাকি গল্প তাও নিশ্চিত না।
তখন নেশাখোরটার প্রতি হালকা মায়ামত হওয়ার কারনে বরং অপরাধবোধও ছিলো - এমনি নবীন/কাঁচা পাঠক তখন। কোন মোটা ঢাউস ভারতীয় পত্রিকায় লেখাটা ছিলো।
আরেকটা গল্প ছিলো বীনা আর আলুকাবালিওয়ালার কথা, পড়তেই পারিনি, এত মানুষ একটা গল্পের মধ্যে - খেই পেতাম না। আর কে যে কি বলছে তাও ক্লিয়ার হয় নাই। এটাও আবার পড়তে পারলে একটু ধৈর্য্য পরীক্ষা করে দেখতাম।
বীনার বেনীর কি একটা কথা ছিলো সেখানে।
আরেকটা উপন্যাস নায়কের নাম শানু। অদ্ভুত নায়ক। কিছুই সে করে না। তবু তাকে নায়ক লাগে।
এই কাহিনীতেও মেলা মানুষ। তবে সমস্যাগুলো বোঝা যায়, শানুর মনে হয় চাকরি ছিলো না, আরো অনেকের ওখানে চাকরি ছিলো না। টাকা-পয়সার সমস্যা। এইসব ইত্যাদি ইত্যাদি।
লেখাগুলো আবার পড়তে পারলে এসব আর মনে করে রাখা লাগতো না, নিশ্চিন্ত মনে সব ভুলে যাওয়া যেত।
এত অল্প স্মৃতি দিয়ে আবার কিভাবেই বা খুঁজি। একটা ভয় হয় মনে - হয়তো পরে আবারো এইসব গল্প, বড় গল্প, উপন্যাস পড়েছি কিন্তু টের পাইনি যে দ্বিতীয় বারের মত এগুলো পড়ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।