আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাওয়াত ও তাবলীগ কেন করবেন ? তাবলীগ করে যা শিখলাম -১

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । বর্তমান ফেতনা ফাসাদের যুগে দাওয়াত ও তাবলীগের গুরুত্ব অপরিসীম । আজ মুসলমানের ঘরে ঘরে ঈমান ধ্বংসকারী উপাদান পৈাছিয়া গিয়াছে কিন্তু সেই তুলনায় ঈমান ঠিক রাখার জন্য - ঈমানকে মজবুত ও তাজা রাখার জন্য সেই রকম প্রচেষ্টা চালু নাই । যার ফলশ্রুতিতে মুসলমান দিন দিন ইসলাম থেকে দূর সরিয়া যাইতেছে ।

ইসলাম মানুষকে যেই আইয়ামে জাহেলিয়াত থেকে সরিয়ে নিয়ে যে সুন্দর সমাজ ব্যবস্হা এনে দিয়েছিলো - মুসলমান আজ না বুঝে, শয়তানের খপ্পরে পড়ে , বিধর্মীদের ফাদে পা দিয়ে ইসলামকে ত্যাগ করে মদ ও জেনায় আকন্ড ডুবে যাচ্ছে । ঘরের শত্রু বিভিষণের মত মুসলমানের সন্তানগণ ইসলামের শত্রুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে । যদি এতটুকু খারাপ নাও হয় - নামাজ ও রোজা নামকাওয়াস্তে পালন করছে এবং জীবনে ইসলাম একটি সংস্কৃতির মতই অবস্হান করছে । তাবলীগ মূলতঃ বর্তমানে প্রচলিত বেদ্বীন পরিবেশ এর বিরুদ্ধে বিশাল এক সংগ্রাম । যা মুসলমানদের মধ্যে আবার সাহাবী আজমাঈনদের মত ঈমান চালু করার এক বিশাল মেহনত ।

বর্তমানে আলেম সমাজ এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে এই কাজকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং বিশ্বব্যাপী সমস্ত মুসলমানদের মধ্যে আজ এই কাজ ছড়িয়ে পড়ছে । এই কাজের বদৈালতে অনেক সাধারণ মুসলমান ঈমানের স্বাদ পেয়ে খাটি মুসলমানে পরিণত হচ্ছে । পূর্বে দাওয়াতের ফলেই সারা বিশ্বে ইসলাম ছড়িয়ে পড়েছিলো আর আজ দাওয়াত না থাকায় মুসলমান নামাজ ছাড়িয়া দিয়াছে । অথচ নামাজ হলো কুফর এবং ঈমানের পার্থক্যকারী । যে জানিয়া শুনিয়া নামাজ ত্যাগ করে - নামাজ না পড়ে সে ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরিয়া যায় ।

তারপর আস্তে আস্তে ঈমান হারা হয়ে ধ্বংসের মুখে পতিত হয় । মুসলমানদের মধ্যে ঈমানকে তাজা করার জন্য আর নামাজকে চালু করার জন্যই দাওয়াতে তাবলীগ এর মেহনত । দেখা যায় পিতা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিন্তু সন্তানকে নামাজ পড়তে বলতে পারেনা বা বললেও কার্যকরী হচ্ছে না । এরকম অনেক অল্পবয়সী মুসলমান পরিবার থেকে নামাজ শিখতে না পারলেও তাবলীগের মেহনতের মাধ্যমে আজ নামাজী হয়ে উঠছে । তাবলীগের মূল কথাই হলো ঈমানকে ঠিক করা ।

যে ব্যাক্তির ঈমান ঠিক হয়ে যাবে তার বাকী আমলও আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে । ঈমানদার ব্যক্তিকে নামায ও রোজার জন্য বলতে হবে না । সে নিজ আগ্রহেই তা করবে । অন্যপক্ষে ঈমান ঠিক না থাকলে সে ইসলামী পরিবেশেও থেকেও নামাজ পড়বেনা । আপনি যখন তাবলীগে বের হবেন তখন আপনি আপনার প্রতিদিনের পরিবেশ থেকে বের হয়ে মসজিদের পরিবেশে যাবেন ।

আপনার প্রতিদিনের পরিবেশ আপনার দ্বীন বুঝার জন্য প্রতিবন্ধক হতে পারে । তাই আপনি যখন নিজের ঘর ত্যাগ করে অন্য পরিবেশে গিয়ে যে স্যাক্রিফাইস বা আত্নত্যাগ করবেন তার বদৈালতে আল্লাহ আপনাকে ঈমানের নূর দান করবেন । আত্নত্যাগ ব্যতীত কোন কিছুই হাসিল হয় না । সাহাবীরাও উনাদের জীবন ও সম্পদ আত্নত্যাগের বিনিময়ে ঈমানকে হাসিল করেছিলেন । আমাদেরকেও তাই করতে হবে ।

খুবই সহজভাবে আপনি যদি আপনার প্রতিবেশীকে নামাজের জন্য না ডাকেন - তাকে ঈমানের দাওয়াত না দেন তার বেঈমানী কাজ আপনার উপরও এসে পড়তে পারে । আর আপনার দাওয়াতে সে ঈমানদের ও সাচ্চা মুসলমান হলে আপনিও তার সূফল ভোগ করবেন । এটা সমগ্র মুসলিম জগতের জন্যই প্রযোজ্য । সমগ্র মুসলমান ভাই ভাই । সমস্ত মুসলমান যখন তা সত্যিকারভাবে উপলব্ধি করবে - ইসলামের দুর্দিন আপনি আপনি চলে যাবে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.