আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব

দেশের ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদেরই...আসুন দেশটাকে সুন্দর করি।

চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ২২০ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এটা ২০০৮-০৯ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। তবে এখন পর্যন্ত বাজেটে দেওয়া অপ্রদর্শিত আয় (কালো টাকা) বৈধ করার সুযোগে তেমন সাড়া মেলেনি। বুধবার বিকালে সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, "বিশ্ব অর্থনীতির চলমান মন্দার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় আমদানি শুল্ক খাতে রাজস্ব আদায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে। তবে আয়কর ও ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) খাতে রাজস্ব আদায় বেশি হওয়ায় আলোচ্য সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। " তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ সময়ে আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৪০৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে এ সময়ে আদায় হয়েছিল ১১ হাজার ৩৬৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

এনবিআর প্রধান জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আয়কর খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থ্যাৎ এ সময়ে আয়কর খাতে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে। এ তিন মাসে আয়কর খাতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ২ হাজার ৭৫২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট আদায় হয়েছে ২ হাজার ৭৬২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৬৯৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আমদানি শুল্ক খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৩৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৮২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে চেয়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ। এছাড়া আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট আদায় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ কমেছে বলে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান।

নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, "রাজস্ব আদায় বাড়াতে নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজস্ব খাতে সংস্কারের পাশাপাশি ১৮ হাজার মামলার কারণে আটকে থাকা আট হাজার কোটি টাকা আদায়ে 'বিশেষ আদালত' গঠনের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আশা করছি, এ খাত থেকে মোটা অংকের রাজস্ব আসবে। " "সব মিলিয়ে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি", বলেন তিনি।

অপ্রদর্শিত আয় (কালো টাকা) বৈধ করার সুযোগে সাড়া না পাওয়া প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, "এবার এক বছরের জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বভাবই হচ্ছে সব কিছুতেই শেষ সময়ে এসে করা। এখনও অনেক সময় আছে। এছাড়া অনেকে আয়কর রিটার্নের সঙ্গেও অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করছেন। "এ সব কারণে এখন পর্যন্ত অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার ক্ষেত্রে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

" এখন পর্যন্ত কতোজন অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করেছেনÑ জানতে চাইলে নাসিরউদ্দিন বলেন, "সংখ্যা খুব বেশি নয়। " ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে এক বছরের জন্য (১ জুলাই থেকে ৩০ জুন) ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, টেক্সটাইল, স্পিনিং, ওষুধ ও চামড়াজাত পণ্যসহ মোট ৪২টি খাতে বিনিয়োগ করলে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।