আমি মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে ভালবাসি ।
বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন মাটি, সাগর প্রভৃতির নিচে যে কত মূল্যবান সম্পদ রয়েছে তার অনেক কমই আমরা জানতে পেরেছি। মাঝেমধ্যে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর কমবেশি এসবের সন্ধান পাওয়া যায়। দুর্লভ এসব জিনিসের মধ্যে জীবাশ্ম অন্যতম। তবে সব দেশেই যে একই ধরনের জীবাষ্ম রয়েছে তা অবশ্য বলা যাবে না।
যে দেশের ভূপৃষ্ঠ ও মহাদেশগুলোয় নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে সে দেশ বা সেখানেই পাওয়া যায় দুর্লভ সব জীবাশ্মের সন্ধান। সেই হিসাবে আমরা আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলার কথা বলতে পারি। এ দেশটিকে তেল ও হীরার দেশও বলা হয়ে থাকে। কারণ এখানে মাঝেমধ্যেই দুর্লভ জীবাশ্মের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা।
দেশটির মাটির নিচে লুকিয়ে আছে দুর্লভ জীবাশ্মের নানা অনাবিষ্কৃত জিনিস বা গুপ্তধন।
এখন শুধু সেগুলো উন্মুক্ত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে এমন দাবি ডাইনোসর অনুসন্ধানীদের। তারা অ্যাঙ্গোলাকে রীতিমতো জীবাশ্মের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কারণ অতীতের মুক্তিসংগ্রাম, কয়েক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধ ইত্যাদি এর অন্যতম কারণ। এর ভূমিকে মাইনক্ষেত্র হিসেবেও মনে করা হচ্ছে। আর সে কারণেই মাঝেমধ্যে এখানে ডাইনোসরের জীবাশ্ম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ পায়।
যেমন এর প্রথম প্রতিবেদনটি প্রকাশ পায় ১৯৬০ সালে। তবে দুঃখের বিষয় এ নিয়ে নানা কারণে ব্যাপক গবেষণা হয়নি। ধীরে হলেও এমন অবস্থা পাল্টে গেছে। এখন এসবের উপর ব্যাপক গবেষণা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা পরিচালিত হয়। এঙ্গোলার জীবাশ্ম অনুসন্ধানী প্রকল্পের গবেষক লুইস জ্যাকবস বলেন, আমরা এখন জীবাশ্ম সন্ধানের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।
আর সে কারণেই এখানে একের পর এক জীবাশ্মের সন্ধান মিলছে। এখন এখানে পাথর ভেদ করে বের হয়ে আসছে জীবাশ্ম। জীবাশ্মের জন্য অ্যাঙ্গোলাকে প্রাকৃতিক যাদুঘরও বলা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তারা। গত ২০০৫ সালে তাদেরই একজন গবেষণক নিউ লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্টাভিও মেটিয়াস ডাইনোসরের পায়ের হাড়ের সন্ধান পান। পরবর্তীতে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর প্রচুর পরিমাণে এসবের হাড়গোড়, কঙ্কাল ইত্যাদির সন্ধান পান।
তারা আশা করছেন এগুলোর ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে বের হয়ে আসবে মহাদেশীয় পরিবর্তনের নানা রহস্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।