আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দৈনিক সমকালের রিপোর্ট - হাওয়া ভবনেই চক্রান্ত

ডুবে আছি রক্তাক্ত ঋণের কিনারে

হাওয়া ভবনেই চক্রান্ত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা সমকাল ডেস্ক ------------------------------------------------------- বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার নীলনকশা সাজানো হয়েছিল হওয়া ভবনে বসে। ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট একান্ত গোপনীয় সেই বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতা, তিনজন জঙ্গি নেতাসহ অন্তত নয়জন। তারা সিদ্ধান্ত নেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে আর বাঁচতে দেওয়া হবে না। তাকে মারতেই হবে। তাকে কোথায়, কীভাবে হত্যা করা হবে, সে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয় পরদিন।

তখনকার চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের তত্ত্বাবধানে জঙ্গি সংগঠন হুজির সদস্যদের নিয়ে চলে হামলার প্রস্তুতি। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবল্পুব্দ এভিনিউয়ে বয়ে যায় রক্তগঙ্গা। আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত হন অন্তত ২৩ জন। আহত হন তিন শতাধিক। তবে দৈবক্রমে বেঁচে যান হামলার মূল টার্গেট শেখ হাসিনা।

হাওয়া ভবনে কারা, কীভাবে সেই হত্যাযজ্ঞের নীলনকশা চূড়ান্ত করেছিল, তা নিয়ে গতকাল একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার। প্রতিবেদক লিখেছেন, গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা, হুজির বিভিন্ন সূত্র, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বক্তব্য এবং জিজ্ঞাসাবাদে এ মামলার আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ওই হামলা পরিকল্পনার ব্যাপারে একটি অত্যন্ত গোপনীয় নথি সংবাদপত্রটির হাতে রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এক আসামি হামলা পরিকল্পনার ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন ওই নথিতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট হাওয়া ভবনে আলোচনায় বসেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভূমি উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বঙ্গবল্পুব্দর খুনিদের একজন, জামায়াতে ইসলামীর এক শীর্ষ নেতা, জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজি) দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, জঙ্গি সংগঠন আল মারকাজুল ইসলামীর এক নেতা এবং হাওয়া ভবনের একজন শীর্ষ ব্যক্তি।

তারা আওয়ামী লীগকে 'দেশ ও ইসলামের শত্রু' হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন। পরদিন ১৫ আগস্ট একই জায়গায় আবার বৈঠক বসে। কিলিং মিশন কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় সেদিন। ঘটনার স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনটি জায়গা আলোচনায় আসে। শেখ হাসিনার বাসভবন, রাস্তা ও সমাবেশ_ এই তিন বিকল্প বিবেচনার পর শেষটিকে বেছে নেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশের তখন মাত্র ৬ দিন বাকি। হামলায় কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, তা ঠিক করার জন্য যড়যন্ত্রীরা এরপর আলোচনায় বসেন। বাবর জানান, গ্রেনেড পেতে কোনো সমস্যা নেই। এর কিছুদিন আগে ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি চালান আটক হয়। যার মধ্যে দুটি ট্রাক আবার উধাও হয়ে যায়।

বৈঠকে ঠিক করা হয়, মুক্তাঙ্গন অথবা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানো হবে। এতে ব্যবহার করা হবে রাইফেল ও গ্রেনেড। এর পরের বৈঠকটি বসে বেইলি রোডে, লুৎফুজ্জামান বাবরের সরকারি বাসভবনে। হাওয়া ভবনের সেই 'শীর্ষ ব্যক্তি' সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। তবে প্রথমবারের মতো সেদিন এ চক্রের বৈঠকে আসেন বাবরের এক বল্পুব্দ, যিনি পরিবহন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

মিশনের প্রাথমিক খরচ মেটাতে হুজি নেতাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা হস্তান্তর করেন তিনি। ১৮ আগস্ট দুটি কালো জিপ নিয়ে আবদুস সালাম পিন্টুর বাসায় যান বাবর। তার নির্দেশে বিএনপি নেতা ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুর রহমান আরিফ হুজি নেতাদের হাতে তুলে দেন এক ডজন গ্রেনেড। এর মধ্যে দুটি বাক্সে পাঁচটি করে মোট ১০টি এবং আলাদাভাবে প্যাকেট করা দুটি গ্রেনেড দেওয়া হয়। বিস্ফোরক হস্তান্তর সম্পন্ন হয় হুজি নেতা মুফতি হান্নান ও পিন্টুর ছোটভাই মাওলানা তাজউদ্দিনের উপস্থিতিতে।

হুজি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এসব বিস্ফোরকের ওপর পিওএফের (পাকিস্তান অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিজ) সিল ছিল। এরপর ২১ আগস্ট বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে শুরু হয় সেই লোমহর্ষক নীলনকশার বাস্তবায়ন। এতে ঠিক কারা কারা জড়িত ছিলেন তা জানা না গেলেও সূত্রগুলোর বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে, হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে এতে অংশ নেয়। আর তাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ১৫ কর্মী ছিল। সমাবেশে ট্রাকের ওপর দাঁড়ানো শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে ছোড়া গ্রেনেডে বঙ্গবল্পুব্দ এভিনিউয়ে বয়ে যায় রক্তগঙ্গা।

ঝরে পড়ে ২৩টি প্রাণ। গ্রেনেডের স্পিল্গন্টার বিদ্ধ করে আরও অন্তত ৩০০ জনকে। হামলার মূল টার্র্গেট শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণেন্দ্রিয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য এটাই প্রথম চেষ্টা ছিল না। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় তার জনসভার মাঠে বোমা পুঁতে রাখে হুজি সদস্যরা।

জনসভার আগেই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তা নিষ্ক্রিয় করেন। তবে গোয়েন্দা ও তদন্ত কর্মকর্তাদের মতে, ২১ আগস্টের হামলায় হুজি সদস্যদের ব্যবহার করা হয় ভাড়াটে খুনি হিসেবে। হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতা। আবদুস সালাম পিন্টু ২০০৮ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতেও এর প্রমাণ মেলে। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পিন্টু জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, 'বাবরকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করুন।

আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। ' ওই হামলার সঙ্গে বাবরের সম্পৃক্ততা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ ও জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে গত সোমবার তাকে ২১ আগস্ট মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। জানা গেছে, বিস্ফোরক হস্তান্তরের সময় উপস্থিত থাকা বিএনপি নেতা আরিফুর রহমান আরিফকে নারায়ণগঞ্জ ও পল্টনে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হলেও ২১ আগস্টের ঘটনার ব্যাপারেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। অবশ্য তখনকার প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে এই হাই প্রোফাইল ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল কি-না সে বিষয়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হতে পারেননি। হুজির এক প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের একটি দল ঘটনার দিন হামলাকারীদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

তাদের মতে, এতকিছুর পরও হামলার আসল উদ্দেশ্য সফল না হওয়ার মূল কারণ ছিল অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সমন্বয়হীনতা। সেই হত্যাযজ্ঞের পর সারাদেশ যখন শোক আর শঙ্কায় মুহ্যমান, গোয়েন্দা ও পুলিশের কয়েকটি দল তখন হামলার আলামত নষ্ট করতে ব্যস্ত। তারা কয়েকটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করেন এবং পরবর্তী নয় ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়। হামলায় নিহত দুই ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্ত না করেই আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। বলা হয়, কেউ এসব লাশ নিতে আসেনি।

তদন্ত ভুলপথে চালিত করতেও চলে নানা আয়োজন। ২১ আগস্ট হামলার ঘটনায় বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে নিয়ে গঠিত এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি মাত্র ৪০ দিন তদন্তের পরই প্রতিবেদন জমা দেন। এতে তিনি ঘোষণা দেন, একটি শত্রুরাষ্ট্রের ইন্ধনে ওই হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত তদন্ত কমিটি অভিযান চালিয়ে অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ছিলেন শৈবাল সাহা পার্থ নামে এক ছাত্র এবং আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ার্ড কমিশনার মোখলেসুর রহমান।

জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাদের ওপর চলে ব্যাপক নির্যাতন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরাধের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, মিশন ব্যর্থ হওয়ার পরপরই লুৎফুজ্জামান বাবর একের পর এক মিথ্যা সাজিয়ে আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার আয়োজন করেন। এর অংশ হিসেবেই জজ মিয়া গল্পের অবতারণা করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পর জজ মিয়া গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাবাদে 'স্বীকার' করেন, একটি সন্ত্রাসী চক্র ওই হামলা চালায় এবং তিনি নিজে তাতে অংশ নেন।

কিন্তু বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তদন্তে বেরিয়ে আসে, বিএনপি সরকারের সময় জজ মিয়াকে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এর বিনিময়ে তার পরিবারকে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা দিয়ে আসতেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তদন্ত ভুলপথে চালিত করতে ওপরের নির্দেশে তিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ওই কাহিনী সাজান। আদালতের আদেশে জজ মিয়াকে সম্প্রতি মুক্তি দেওয়া হয়। ২০০৫ সালের অক্টোবরে গ্রেফতার হওয়ার পর হুজি নেতা মুফতি হান্নান বিভিন্ন হামলায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও ২১ আগস্টের ঘটনায় কোনো স্বীকারোক্তি দেননি।

বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় তাকে ওই মামলায় গ্রেফতারও দেখানো হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার স্বীকারোক্তি প্রকাশ করা হয়। সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মুনশি আতিকুর রহমান বলেছেন, তিনি বহুবার মুফতি হান্নানকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলেও চারদলীয় জোট সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কারণে ব্যর্থ হন। তার ভাষায়, 'তারা (সরকারের মন্ত্রীরা) মুফতির ব্যাপারে খুবই নরম। ' ডেইলি স্টার লিখেছে, 'অবশ্য বিএনপি সরকারের এ ধরনের অন্ধ পক্ষপাত নতুন কিছু নয়।

জামা'আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-জেএমবিকে মদদ দেওয়ার অভিযোগে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর ও আমিনুল হকের মতো শীর্ষ নেতারা বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তারেক রহমান ও হাওয়া ভবনের সঙ্গে জেএমবি নেতা বাংলাভাইয়ের যোগাযোগ নিয়েও অনেক খবর ছাপা হয়েছে। ' ২১ আগস্টের ঘটনার পর তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগের দাবির মুখে বিএনপি সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই, ইন্টারপোল ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের গোয়েন্দাদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেয়। কিন্তু এসব সংস্থার সদস্যরা তদন্ত শেষে যে প্রতিবেদন দেন, তার কোনোটিই প্রকাশ করা হয়নি। ২০০৫ সালে তারেক রহমানের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে।

বলা হয়, সেখানে তিনি পেন্টাগন ও এফবিআইর কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেসব বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন এনএসআইর সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রেজাকুল হায়দার চৌধুরী। তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, তা আজও রহস্যাবৃত। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার হয়ে রেজাকুল এখন কারাগারে। অভিযোগ রয়েছে, অস্ত্র আটকের ওই ঘটনার কিছুদিন আগে তিনি দুবাইয়ে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃতীয় কর্মকর্তা ফজলুর কবীরের প্রতিবেদন বা মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে এ চক্রান্তের বিস্তারিত জানা সম্ভব নয়। মামলার তদন্তে বিভিন্ন সময়ে সম্পৃক্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করেন, নতুন করে ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। নাম প্রকাশ না করে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ডেইলি স্টার লিখেছে, 'বাইরে থেকে প্রভাবিত করে কম্পাসের কাঁটা উত্তর থেকে দক্ষিণে নেওয়া সম্ভব। কিন্তু সেই প্রভাবককে সরিয়ে দিলে কাঁটা সঠিক দিকই নির্দেশ করবে।

২১ আগস্টের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। ' আর গত মে মাসে এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় আবদুস সালাম পিন্টু গোয়েন্দাদের কাছে প্রশ্ন তোলেন, অপূর্ণাঙ্গ তদন্তের মাধ্যমে তৈরি চার্জশিটের ভিত্তিতে পুনঃতদন্ত চালিয়ে লাভ কী? বরং নতুন করে পুরো ঘটনার তদন্ত হলেই হামলার সঙ্গে জড়িত সবার পরিচয় বেরিয়ে আসবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.