ইল্যুশন:মানিক বাবুর দ্বিতীয় মৃত্যু
আজকের গল্প এখানেই শেষ হবে। আর কয়েকটা মিনিট অপো করুন। অস্থির হবেন না। শেষে আমরা এসে পড়েছি। যা আমি দেখিনি তা বলতে পারবোনা।
দয়া করে মাফ্ করবেন। তাই শেষটুকু আজ আমার গল্প। ঘটনাটা আমার চাুষ ঘটছে। দেখছি আর লিখছি। শুরু কখন হয়েছে জানিনা।
ধরে নিচ্ছি মানিক বাবু পাঁচ দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। বাড়িতে আর ফিরে যায়নি। আজ এই রাস্তায় এসে ঠেকেছে। মৃতপ্রায় মানষটির করুন পরিণতি লিখছি যে পাঁচদিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। পাঁচদিন ধরে সে খেয়েছে কি না খেয়েছে,চুরি করেছে না গল্প লিখেছে জানা নেই।
তবু আমার কাছে শুরু শেষ এখানেই। মানিক বাবু মৃত্যুর গোঙানি করতে করতে পড়তে পড়তে না পড়ে হেঁটে যাচ্ছে অথচ এমন হতে পারতো চূড়ান্ত মাতাল হয়ে এক রাত খোলা মাঠে ঘুমাবে। তারপরের দিন ঘুম থেকে ওঠে ঘুম ভাংগা শরীর নিয়ে ঘোর কাটা ঘোর লাগা মাথায় অস্পষ্ট চোখে হেঁটে যাবে তার প্রিয়দর্শিনীর কাছে নগ্ন হাতের এক কাপ চা খাওয়ার লোভে। সবটাই আমার ধরে নেয়া যেহেতু গতদিনের কোনো ঘটনা আমার দেখা নেই। সে ব্যাপারে আমার মাথাব্যাথা নেই।
আকশে মেঘ। মেঘের কুয়াশা মাখানো চারদিক আমার চোখের ফ্রেমে ঢুকে পড়েছে মৃত্যু-আচ্ছন্ন মানিক বাবু নিয়ে। একটু সময় চেয়ে নিবো । আমি কান্ত হয়ে পড়েছি । ঠিক তা না।
লেখার জন্য একজন নিরপরাধ মানুষকে প্রাণ হারাতে হলো। তাকে আমিই মেরেছি। মেরে লাশ লোপাট করে দিয়েছি। কেউ বলতে পারবেনা খুনটা আমি করেছি। কারণ সাী নেই।
সাী আমিই। লোকটিকে বললাম ভাই আপনার চায়ের দোকানটা এক ঘন্টার জন্য ভাড়া দিন যা হয় তার বাবদ নিয়ে নিন ।
লোকটি বলল, আপনি চুরি করে পালাবেন।
আমি বললাম,এই নিন সব টাকা।
লোকটি টাকা নিতে চাইলো না।
আবার দোকানও ছাড়বেনা। আমার মাথায় রক্ত উঠে গেল। সামলাতে পারলাম না।
বললাম,ভাই সরে যান
না।
সরবেন না?
না।
সরবেন না?
না।
সরবেন না?
না।
আমি তার গলা টিপে ধরি। সে আ আ করে। আমার হাতে অনির্বাচনীয় শক্তি এসে পড়ে।
মৃত্যু না নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত গলা চেপে রাখি। লোকটা মেরে আমি কান্ত। ওহ্ঃ মানিক বাবু এইমাত্র মাটিতে পড়ে গেলেন। মরে গেলেন হয়ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।