দেশের রাজনীতি মহাঅনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলছে। নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে হবে কি-না, হলে কোন সরকারের অধীনে হবে, এসব প্রশ্নের মীমাংসা এখনো হয়নি। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের জন্য দুই নেত্রীকে সমঝোতায় উপনীত হওয়ার আহ্বান জানানোর এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো বরফ গলার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকার সংবিধান নিয়ে আছে, বিরোধী দল আছে নির্দলীয় সরকার নিয়ে। এই নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ের জন্য কোরবানির ঈদের পর দেশে ব্যাপক আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
জানানো হয়েছে, আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে থাকবে হরতাল, অবরোধ, রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধ এবং শেষ পর্যায়ে আইন অমান্য বা অসহযোগ আন্দোলন।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে জটিল হয়ে উঠছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা বছর দুয়েক আগে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, 'পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের আগে যে একটা থমথমে ভাব, অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছিল দেশে, বাতাসে গন্ধ পাচ্ছিলাম। আজ ঠিক একই পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। ' ত্রিকালদর্শী সাংবাদিক মূসার এই শঙ্কার সঙ্গে তখন যারা পুরোপুরি একমত হতে পারেননি, তারাও এখন বলছেন, সত্যি দেশের অবস্থা আশাবাদী হয়ে ওঠার মতো নয়।
পরিস্থিতি রাজনীতিবিদদের কাছে আশা করছে দায়িত্বশীলতা, অথচ তারা করছেন তার বিপরীতটা।
গত সাড়ে চার বছরে সরকারের জনপ্রিয়তা ধাপে ধাপে কমেছে। বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর আমাদের দেশে সরকারের জনপ্রিয়তা কমা মানে বিরোধী দলের প্রতি জনসমর্থন বাড়া। পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর বোঝা গেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে।
সরকারের মেয়াদ শেষে এসে বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সক্ষম হবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। তবে আন্দোলন করে দাবি আদায়ের রেকর্ড বিএনপির নেই।
সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও এখন দেশে গণঅভ্যুত্থানের পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মনে করার কারণ নেই। গণআন্দোলন বা অভ্যুত্থানের প্রশ্নে স্বপ্নবিলাসী হওয়াটা রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। ব্যাপারটা এমন নয় যে, কোনো দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা বসে আন্দোলনের একটি রূপরেখা তৈরি করে দেশবাসীর সামনে পেশ করবেন আর দেশের মানুষ অমনি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বেন এবং সরকারের পতন ঘটে যাবে।
নেতারা চাইলেও অনেক সময় আন্দোলন হয় না, আবার কখনোবা না চাইলেও হয়। জনমনস্তত্ত্ব একটি জটিল বিষয়। রাজনীতিবিদ হলেই যে কেউ জনমনস্তত্ত্ব পুরো বুঝতে পারেন, তা নয়। এটা বুঝতে পারলে অনেকেই গান্ধী কিংবা শেখ মুজিব হতে পারতেন। কখন, কোন ঘটনায় জনমনস্তত্ত্বে কি অভিঘাত সৃষ্টি হয় এবং তার পরিণতিতে মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা আগে থেকে অনুমান করার মতো রাজনৈতিক জ্যোতিষী যদি থাকত তাহলে শুধু আমাদের দেশ নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই রাজনীতির চালচিত্র অন্যরকম হতো।
আসলে রাজনৈতিক আন্দোলনের কোনো ছকবাঁধা পথ নেই। কোনো রাজনীতি-অভিজ্ঞ ব্যক্তি অন্তত এটা বলতে পারবেন না যে, কোনো নির্দিষ্ট পথে হাঁটলেই সফল আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে। যারা কথায় কথায় বাহান্ন, বাষট্টি, ঊনসত্তর কিংবা নব্বইয়ের গণআন্দোলনের কথা বলেন, তারা কি আসলে কখনো গভীরভাবে পর্যালোচনা করে দেখেছেন, কীভাবে এবং কি কি কার্যকারণ সম্পর্কযুক্ত হয়ে ওইসব ঐতিহাসিক আন্দোলনে ব্যাপক জনসম্পৃক্তি ঘটেছিল এবং আন্দোলন সফল পরিণতি অর্জন করেছিল? নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন, তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন আর মানুষ জীবনবাজি রেখে রাজপথে নেমে গেছেন_ ঘটনা কিন্তু সেরকম নয়। এ জন্য অনেককে, নানা ধারায় এবং ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, তখন রাজনীতিবিদদের এখনকার মতো অর্থবিত্তের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত লালসা ছিল না।
নেতারা সে সময় এখনকার মতো জনবিচ্ছিন্ন ছিলেন না। তাদের কথা-কাজে সঙ্গতি ছিল, যা বলতেন, তা করতেন। তাদের প্রতি মানুষেরও ছিল আস্থা-বিশ্বাস।
সরকার নির্যাতনের পথ বেছে নিলে, লাঠি-গুলি-টিয়ারশেল চালালেই বিক্ষুব্ধ মানুষ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেয় বলে যে রকম প্রচারণা চালানো হয়, বাস্তবে কিন্তু সেটা সত্য নয়। যদি সরকারি নির্যাতন কিংবা মানুষ হত্যার ঘটনা গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির বড় কিংবা একমাত্র উপাদান হতো, তাহলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে দেশে একটি নয়, কয়েকটি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হতো।
জোট সরকার নানা সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছাড়াও কখনো কখনো সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও ভয়াবহ দমন-পীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে। বিদ্যুতের দাবিতে, সারের দাবিতে আন্দোলনে নেমে অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। অথচ তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ অনেক চেষ্টা করেও বড় ধরনের গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। মেয়াদের আগে সরকারও পদত্যাগ করেনি।
কেবল কোনো রাজনৈতিক দলের একক আহ্বানেই দেশে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি হয় না।
যখন বিভিন্ন সামাজিক শক্তি সংগঠিতভাবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে, তখনই কেবল রাজনৈতিক আন্দোলন জঙ্গি রূপ পরিগ্রহ করে। কিন্তু আমাদের দেশে বর্তমানে সামাজিক শক্তি বা শ্রেণী-পেশার সংগঠনগুলোর অবস্থা কি? সবার মধ্যেই বিভাজন ও বিভক্তি। ছাত্ররা এখন আর আগের মতো ঐক্যবদ্ধ নেই, সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনেরই শক্তি বা জমায়েত ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় বেশি। শ্রমিক সংগঠনগুলো প্রায় অস্তিত্বহীন। পেশাজীবী সংগঠনগুলো বিভক্ত এবং দুর্বল।
অতীতের যেসব আন্দোলনের সাফল্যগাথা এখন আমরা প্রায়শ উল্লেখ করে থাকি, সেসব আন্দোলনে রাজনৈতিক শক্তির পাশাপাশি ছাত্র-শ্রমিক-পেশাজীবীসহ সবার মিলিট্যান্ট অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। ছাত্র-শ্রমিকের সক্রিয় অংশগ্রহণেই অতীতের সফল আন্দোলনগুলো মারমুখী রূপ নিয়েছিল। বর্তমানে এসব শক্তি যে অবক্ষয়ের শিকার_ এটা মনে রেখেই গণআন্দোলনের পরিকল্পনা করতে হবে। বিবেচনাহীন ঘোষণায় অতীতে কোনো কাজ হয়নি, এখনো হবে না।
নব্বইয়ের গণআন্দোলনে এরশাদ শাসনের অবসানের পর থেকে দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ধারা চালু হলেও নির্বাচিত সরকারকে মেয়াদকালের আগেই ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধী দলের আন্দোলন করাটাও একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে।
অবশ্য হরতাল, লাগাতার হরতাল, অবরোধ, লংমার্চ, মানববন্ধনসহ আন্দোলনের নানা ধরনের কর্মসূচি পালন সত্ত্বেও নির্বাচিত কোনো সরকারকেই মেয়াদপূর্ণ হওয়ার আগে ক্ষমতা থেকে হঠানো সম্ভব হয়নি। নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে মানুষের ব্যাপক সাড়া না পাওয়ার বড় কারণ সম্ভবত এটাই, ক্ষমতাসীনদের হঠিয়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চায়, তারা উন্নত শাসন উপহার দিতে পারবে কি-না, সে বিষয়ে মানুষের সংশয়। মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকেই এটা উপলব্ধি করছে, সরকার পরিবর্তন হলেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যেসব কথা বলা হয়, ক্ষমতায় গিয়ে তা ভুলে যাওয়ার নজির মানুষ বারবার দেখছে। সে জন্য গরম কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায় পড়ার জন্য কেউ পরিবর্তন চায় না।
মানুষের জীবনের সমস্যা-সংকট সমাধান করার মতো আর্থ-সামাজিক কর্মসূচি-সম্পন্ন নতুন রাজনৈতিক শক্তির উন্মেষ ও বিকাশ না দেখলে গণঅভ্যুত্থান তৈরি হতে পারে না। তবে হ্যাঁ, নির্বাচন এলে ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ব্যাপারে মানুষের মধ্যে প্রবল ঝোঁক দেখা যায়।
দেশের রাজনীতিতে যে এখন তীব্র উত্তেজনা ও তিক্ততা চলছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সরকারি ও বিরোধী দল পরস্পর মুখোমুখি অবস্থানে। নেতানেত্রীরাই বলছেন, সংঘাত অনিবার্য।
কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না, বিশ্বাস করে না। অব্যাহতভাবে চলছে ব্লেম গেম বা দোষারোপের রাজনীতি। কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটলে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া কি হবে তা সহজেই বলে দেওয়া যায়। ঘটনা বা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের চেয়ে সরকার ও বিরোধী দল পরস্পরের ওপর দোষ চাপানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সরকারি দল মনে করে বিরোধী দল দেশের শত্রু।
দেশপ্রেমের সোল এজেন্সি নিয়ে বসে আছে একমাত্র সরকারি দল। আবার বিরোধী দলও মনে করে, তাদের চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক আর কেউ নেই। সরকারি দল দেশটাকে 'বিক্রি' করা অথবা ধ্বংস করার কাজে নিয়োজিত আছে।
রাজনীতির এই তিক্ত পরিবেশের জন্য কেউ কেউ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে সমানভাবে দায়ী করে থাকেন। এ ধরনের ঢালাও মন্তব্য করলে অনেকেই খুশি হন।
সংবাদপত্রে যারা কলাম লেখেন, বিভিন্ন বিষয়ে জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যারা কিছুটা ভূমিকা পালন করেন, তাদের অনেককেও দেখা যায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে তুলোধোনা করতে। কিছু মানুষ হয়তো এতে তাদের বাহবা দেন, তারিফ করেন। কিন্তু আসলে এটা কী ঠিক? নীতি-আদর্শের ক্ষেত্রে এই দুই দলের ব্যবধান কমে এলেও একেবারে একবিন্দুতে গিয়ে মেশেনি। এ ছাড়া দেশশাসনে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির রেকর্ড কি সত্যি এক রকম? আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির রাজনীতির মধ্যে কি একেবারেই কোনো পার্থক্য নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মুক্তিযুদ্ধ এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি_ ইত্যাদি প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান অবশ্যই একদিকে নয়।
তারপরও দুই দলকে এক পাল্লায় মেপে সমান নম্বর দেওয়াটা যথাযথ হয় না। ব্যাপারটা অনুত্তীর্ণ ছাত্রকে গ্রেস নম্বর দিয়ে উত্তীর্ণ ছাত্রের সমান করার মতো হয়।
যে অবস্থা চলছে তাতে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দ্রুত কোনো পরিবর্তন আশা করা যায় না। রাজনীতি থেকে সংঘাত বিদায় নিয়ে সমঝোতার ধারা কবে শুরু হবে, তা কেউ বলতে পারে না। জাতীয় সংসদ রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হবে বলে আমরা যে আশা করেছিলাম, তাও পূর্ণ হয়নি।
জাতীয় সংসদকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারি দলের আগ্রহে যেমন ঘাটতি থাকে, তেমনি বিরোধী দলও সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে গিয়ে সংসদকেই কার্যত অকেজো করে ফেলছে। এটা একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। কি দাওয়াই ব্যবহার করলে এই ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা কোনো রাজনৈতিক পণ্ডিত বলতে পারছেন না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি সংসদে যায় না। আবার বিএনপি সরকারে থাকলে আওয়ামী লীগ সংসদে উপস্থিত থাকতে স্বস্তিবোধ করে না।
একানব্বই থেকেই এই ধারা চলছে। অথচ এই সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, না করা নিয়েও কত ঝগড়া-ফ্যাসাদ। কলহ-কোন্দল, সংঘাত-রক্তক্ষয়।
সরকারি দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে যে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে তা কাম্য নয়, বাঞ্ছিত নয়। তবে এ পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি।
তাই একদিনে এর অবসানও হবে না। পরিস্থিতি বদলানোর জন্য উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে সরকার এবং সরকারি দলকেই। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে হলে, বিদ্বেষমূলক মনোভাব দূর করতে হলে, সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে, যা থেকে বিরোধী দলের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্ম নেয় যে, সরকার ও সরকারি দলের মনোভাবে সত্যি পরিবর্তন এসেছে। সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের নমনীয়তা না দেখালে সমঝোতার পরিবেশ আপনা-আপনি তৈরি হবে না।
সরকার যদি আন্তরিকতার সঙ্গে সমঝোতার জন্য এগিয়ে আসে এবং বিরোধী দল তাতে সাড়া না দেয়, তাহলে তাদের কঠোর সমালোচনা করা যাবে। কিন্তু কথায় কথায় বিরোধী দলকে কটাক্ষ করলে, আক্রমণ চালালে সেটা সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। সব দেশেই বিরোধী দল সরকারের সমালোচনা করে, বিরোধিতা করে; কিন্তু সরকার সে জন্য বিরোধী দলের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব পোষণ করে না। আবার বিরোধী দলও যদি সরকার ও দলের প্রতি প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ঢিল নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে, তাহলেও বিষয়টি মেনে নেওয়ার মতো হয় না।
লেখাটি শেষ করছি ছোট্ট একটি কৌতুক দিয়ে।
কলা বলছে লেবুকে, তোকে লোকে চিপে খায়! দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে লেবুর জবাব, তোকে যে ছাল ছাড়িয়ে খায়!
লেখক : সাংবাদিক ও কলাম লেখক
ই-মেইল : bibhu54@yahoo.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।