আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে। যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না সক্রেটিসের বিচার ও মৃত্যদন্ডের কাহিনী চ্যাঞ্চলকর উপন্যাসের চেয়েও চকমপ্রদ। তেমনি আমাদের প্রিয় ব্লগার আহমেদ রাজিবের নৃশংস হত্যাকান্ডও আমাদের বিবেককে নাড়া দিবে যুগযুগান্ত পর্যন্ত ।
কী ঘটনাচক্রে সক্রেটিসের বিচার বা বিচারের প্রহসন হলো, তার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা আজও গবেষণার বিষয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে প্রাচীন গ্রিসের দুটি নগররাষ্ট্র স্পার্টা ও এথেন্সের মধ্যকার যুদ্ধে স্পার্টানদের কাছে এথেনীয়রা পরাজিত হয়।
সে যুদ্ধে এথন্সের পক্ষে সক্রেটিসও অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধ শেষে পরাজয়ের কারণ নিয়ে এথেন্সে বিতর্ক শুরু হয়ে যায় এবং সক্রেটিস তার প্রধান বক্তা মনোনীত হয়। যেহেতু তিনি এ যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতি ও সংশ্লিষ্ট প্রধান ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমর্থন করেননি অপরাপর প্রতিদ্ধন্দী রাজনৈতিক নেতাদের একটি আক্রোশ ছিল। এতে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যুক্তি ও সত্যনিষ্ঠা প্রচারের নামে তিনি তাদের বিপথে চালিত করেছেন মর্মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাকের বিচারের নামে প্রহসনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। সক্রেটিস যুক্তিতর্ক দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগের জবাব দেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা গ্রাহ্য হয় না। তার মৃত্যদন্ডাদেশ হয়। হেমলক পান করিয়ে তার মৃত্য ঘটানো হয়। সক্রেটিসের মৃত্যদন্ড যে সাংকেতিক অর্থে মানতবা ও মুক্তবুদ্ধির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এক জগন্য হত্যাকান্ড, এই ঐতিহাসিক সত্যটি যুগযুগান্তর ধরে সত্যনিষ্ঠ জ্ঞানদীপ্ত মানুষের বিবেক ও উপলদ্বির স্তর বেয়ে আজ পর্যন্ত চলে এসেছে ।
এমন কি অপরাধ করেছিল আমাদের আহমেদ রাজিব।
সে তো কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কোন সদস্যও ছিলনা । সে যা করতো তা হলো ব্লগে লেখালেখি। এ লেখাই তার জীবন প্রদীপ এভাবে নিভিয়ে দিবে সে কি তা জানতো । একমাত্র সত্য কথা বলার কারনেই বিখ্যাত মনীষি সক্রেটিশের মৃত্যদন্ড কার্যকর করেছিল সে যুগের শাসকগোষ্ঠি ।
তেমনি সত্যি বলার কারণে এ যুগের মৌলবাদী ছাত্রশিবেরর গাত্রদাহ্ শুরু হয়েছে।
অতপর একজন প্রাণচঞ্চল তরুণকে তারা নৃশংস ভাবে খুন করেছে । তোমরা জেনে রেখে তোমাদের আমরা কখনও ক্ষমা করবেনা ।
জয় হোক সত্যের।
নিপাত যাক মিথ্যা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।