খেটে খাওয়া মানুষ- একটু ভাল করে বাঁচার জন্য ঘর ছেড়েছি
ক্লাস নাইনে পড়ি- গ্রিন কোকোনাট ক্লাবের ৪/৫ জন সাইকেল নিয়ে সারাদিন টইটই ঘুরে বেড়াই।
সকালে স্যারের কাছে পড়তে যেতাম- সেটাও আসলে একটা স্কুলের মতই ছিল- ২০/২৫ জন একসাথে পড়তাম-
ঘুরতে যাওয়া যায় এমন যায়গার মধ্যে যমুনার পাড় ছিল এক নম্বরে- আমার ছিল লাল একটা হালকা সাইকেল- নিয়মিত তেল দিতাম বল বিয়ারিং ঠিক রাখার জন্য-
মার্ককে সাইকেল কিনে দিয়ে এর বাবা বলেছিলেন চাকার হাওয়া সব সময় যেন ভর্তি থাকে- তার নিজের একটা পাম্পার ছিল যেটা দিয়ে সে নিয়মিত পাম্প দিত আর অতিরিক্ত চাপে চাকা ফেটে যেত-
রানার একটা দামি সাইকল ছিল এবং তার ধারণা ছিল এইটা দ্রুত চলে-
বিতর্কের নাম করে ক্লাস ফাকি দেয়ার চমৎকার একটা ব্যাপর আবিস্কার করেছিলাম- বিতর্কে গিয়ে মাঝে মাঝে পুরস্কারও পেতাম বলে স্যাররাও কিছু বলতেন না-
সিরাজগঞ্জ কলেজ মাঠে মেলা হত অনেক ধরণের- এরকম কোন একটা মেলায় একটা মেয়েকে একটা গাড়িতে দেখে রাজিবের পছন্দ হয়ে গেল- ব্যাপারটা এই পর্যন্ত থাকলে কথা ছিল- কিন্তু মুশকিল হল সে গাড়ির নাম্বার ছাড়া আর কিছু জানে না- এখন সেম মডেলের যে কোন গাড়ি দেখলে সে নাম্বার দেখা শুরু করল-
ওর মুখে শুনে আমাদেরও গাড়ির নাম্বার মুখস্থ হয়ে গেল- যদি বন্ধুর একটা গতি হয় সেই জন্য আমরাও খুজতাম- মজার ব্যাপর হচ্ছে আমার ধারণা আমাদের সবার এখনও মুখস্থ আছে- জানি না এখনও কারও মনের অজান্তে ওই মডেলের গাড়ি দেখলে লাইসেন্স প্লেটের দিকে চোখ যায় কিনা-
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।