স্বিকারক্তি :
খবরটা আজকে প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে ! জানি এটা অনেকেই পড়েছেন! ঘটনাটা পড়ে আমার কেমন যেন আবেগ হলো তাই আমি কপি পেস্ট করে এখানে আবার দিয়ে দিলাম !
মালয়েশিয়ার বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার এশিয়ার একে-৬৫০৬ বিমানটি গত বুধবার যাচ্ছিল দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় পেনাং দ্বীপ থেকে বোর্নিও দ্বীপের কুচিং এলাকায়। বিমানের একজন যাত্রী লিইউ সিয়াও এইচসিয়া (৩১) ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। বিমান ছুটছে। তিনি টের পেলেন, তাঁর সন্তান প্রসবের সময় হয়েছে। বিমানকর্মীদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন।
ভাগ্য ভালো, বিমানের এক আরোহী ছিলেন চিকিত্সক। তিনি বাড়িয়ে দিলেন সহযোগিতার হাত। বিমানের অন্য কর্মীরাও এগিয়ে এলেন। বিমানটির মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হলো মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের দিকে। জরুরি অবতরণ দরকার।
ব্যবস্থা পাকা করা হলো। কুয়ালালামপুরের আকাশে গতি কমানো হলো। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে রানওয়েতে চাকা ছুঁয়ে যাবে। তখনই নবজাতক কেঁদে উঠল। সে জানান দিল তার পৃথিবীতে আগমনের কথা।
নিরাপদেই সে দেখল পৃথিবীর প্রথম আলো। মায়ের মুখে হাসি ফুটে উঠল। বিমানটিও অবতরণ করল নির্বিঘ্নে। কর্তৃপক্ষ হাফ ছেড়ে বাঁচল।
অবতরণের কিছুক্ষণ পর কুয়ালালামপুরের একটি হাসপাতালে মা ও ছেলেকে ভর্তি করা হলো।
তাদের স্বাগত জানাতে এয়ার এশিয়ার পরিচালক মোজেস ডেভানায়াগাম গতকাল শুক্রবার যান ওই হাসপাতালে। তিনি ঘোষণা দেন, ‘মা ও ছেলে আমাদের বিমানে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণের সুযোগ পাবেন এবং এই সুযোগ তাঁরা সারা জীবনই ভোগ করবেন। নবাগতকে স্বাগত জানাতে আমাদের তরফ থেকে এটা সামান্য উপহার । ’ এএফপি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।