!!!
শাহী ঈদগাহ সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত সিলেটের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক নিদর্শন। ছোট্ট টিলার উপর কারুকার্য খচিত এই ঈদগাহ সম্রাট আওরঙ্গজেব কর্তৃক নিয়োজিত তদানীন্তন ফৌজদার ফরহাদ খাঁ নির্মাণ করেন। ঈদগাহ’র উত্তরে ছোট সবুজ টিলায় রয়েছে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের বাসা, দক্ষিণে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট কেন্দ্র, পূর্বে স্হানীয় মসজিদ ও হযরত শাহজালালের অন্যতম সাথী শাহমীর (রঃ) এর মাজার এবং পশ্চিমে রয়েছে স্হানীয়দের বাসা-বাড়ি ।
শাহী ঈদগাহের মূল ভূখন্ডে ২২টি বৃহৎ সিড়ি রয়েছে। ১৫টি গম্বুজ সজ্জিত ঈদগাহ।
বাউন্ডারির চারপাশে রয়েছে বড় ৩টি ও ছোট ৭টি গেইট। ঈদগাহের সামনে রয়েছে অযুর জন্য বিশাল পুকুর। প্রায় ১ লাখ মুসুল্লী একসাথে এই ঈদগাহে নামায আদায় করতে পারেন।
একসময় মহররমের শোককে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ১০ মহররম লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হতো। জমায়েত হতো হাজার মানুষ।
সাধারণ জনগণের জন্য ঐ দিনটি খুবই আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এই ময়দান থেকে ১৭৮২ খৃস্টাব্দের মহররম মাসে দুই ধর্মীয় নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ হাদী ও তাঁর ভাই মাহাদী তাদের অনুসারীসহ বৃটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। মহররমের মিছিল করে তারা এই ময়দানে আসেন এবং পরিকল্পনা করা ছিল হঠাৎ করে বৃটিশদের উপর আক্রমন করবেন। কিন্তু তৎকালীন সিলেটের কালেক্টর রবার্ট লিন্ডসে গুপ্তচরের মাধ্যমে আগের দিনই বিষয়টি জেনে ফেলেন। লিন্ডসে ঐ দিন তার বাহিনীসহ এই ময়দানে এসে তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
কিন্তু দুই ভাই ও তাদের অনুসারীগণ অস্বীকার করেন। ফলে লিন্ডসের গুলিতে মোহাম্মদ হাদী শহীদ হন এবং মাহাদীও যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করেন।
দেশ বিভাগের পূর্বে স্বাধীনতার স্বপক্ষে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, শওকত আলী, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, শের-ই-বাংলা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ অগণিত রাজনীতিবিদ এ ঈদগাহ ময়দানে বক্তৃতা করেছেন।
_______________
তথ্য ও ছবি: নেট থেকে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।