আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবন বাঁচলো দূর্ঘটনার হাত থেকে

ফটোগ্রাফি, ভ্রমন, সিনেমা, ওয়ার্ডপ্রেস, এবং সব এলোমেলো ভাবনা

হাইওয়েতে ছিলাম ফার্স্ট রোডে ১২৫ কি.মি. স্পিডে। হঠাৎ করে দেখি গাড়ীটা কাঁপছে। ভাবলাম হলো কি! হুইল ইমবেলেন্স হলো নাকি! গ্যারেজে নিতে হবে কালই। বিশ সেকেণ্ডও যায় নি, হঠাৎ করে বিকট শব্দ করে গাড়ী লাইন ক্রস করে ডানে দৌড়। কিভাবে যে সেটা রাস্তা ক্রস করে পার্কিং-এ আসলো কিছুই বুঝতে পারলাম না।

শুধু ইন্ডিকেটরটা দিয়ে দিয়েছিলাম কোন এক ফাঁকে কিভাবে জানি। বেঁচে গেছি শুধু একটা কারনে। পাশের লাইন দিয়ে কোন গাড়ী আসছিল না সেই সময়ে। নয়ত আজ আর একটা হাড্ডিও কেউ খুঁজে পেতো না। গাড়ী থেকে নেমে চিন্তা করেই শরীরটা কাঁপছিল।

দেখি টায়ারটা ফেটে ছিড়ে খুড়ে এক্কেবারে চৌচির। পরে বুঝলাম ব্যাপারটা। কয়েকদিন আগে ছোট-খাট একটা এক্সিডেন্ট হয়েছিল। সাইড রোড থেকে এসে সামনে দিয়ে ধাক্কা মেরেছিল আরেক বাঙ্গালী। গাড়ী গেছে তারটাই।

সামনে পুরা শেষ। দোষও তার। তার ইন্সুরেন্স থেকে ঠিক করে দিয়েছে আমার গাড়ী। তখন বডির একটা অংশ ভেঙ্গে ঐ টায়ারটাতে লেগেছিল। আমি কোন মতে একটু হালকা করে সেটাকে চালিয়ে পার্কিং এ নিয়ে এসেছিলাম।

তখনই চাকাটার একটু ক্ষতি হয়েছিল। আজ হাই স্পিডে চালানোয় সেটাই চাপটা সহ্য করতে পারেনি। ফেটে গেছে। বন্ধুকে ফোন করলাম। সে রাজধানী থেকে এসে ঘণ্টা-দুয়েক পরে উদ্ধার করলো।

একা একা বসে থাকতে থাকতে মনে হচ্ছিল, পুরো পৃথিবীতে আমি একজনই বোধ হয় জীবিত মানুষ। কোন মানুষ জনের চিহ্নও নেই যতদূরে চোখ যায়। চারিদিকে ধূ ধূ মরুভূমি। বিকেলে যখন সূর্যটা ডুবছিল, বিষন্নটায় ভরে গেলো পুরোটা মন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.