সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
বিগত দিনে ব্লগে নাস্তিকদের নিয়ে বেশ লেখালেখি হলো। এখন আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে কিছু লেখা নাস্তিকদের প্রতি ছেড়ে দিলাম।
ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস অস্তিত্ব ও বাস্তব জগতের প্রতি দৃষ্টিপাত-আল্লাহর অস্তিত্বের আবশ্যকতা মানুষ তার স্বভাবগত উপলব্ধি ক্ষমতা যা জন্ম সূত্রে প্রাপ্ত তার মাধ্যমে সর্ব প্রথম যে কাজটি করে, তা হল এ বিশ্ব জগত ও মানব জাতির স্রষ্টার অস্তিত্বকে তার জন্য সুস্পষ্ট করে দেয়।
অনেকেই নিজের অস্তিত্ব সহ সবকিছুর প্রতিই সন্দিহান। তারা এ বিশ্বজগতের অস্তিত্বকে এক ধরণের কল্পনা ছাড়া অন্য কিছু মনে করে না।
কিন্তু আমরা সবাই জানি যে, একজন মানুষ সৃষ্টির পর থেকেই স্বভাবগত অনুভুতি ও উপলব্ধি ক্ষমতা সম্পন্ন। তাই জন্মের পর থেকেই সে নিজের এবং এ বিশ্ব জগতের অস্তিত্ব উপলব্ধি করে। অর্থাৎ এ ব্যাপারে তার মনে সন্দেহের উদ্রেক হয় না যে, সে আছে এবং সে ছাড়াও তার চর্তুপার্শে আরও অনেক কিছুই আছে। মানুষ যতক্ষণ মানুষ হিসেবে গণ্য হবে, ততক্ষণ এ জ্ঞান ও উপলব্ধি তার মধ্যে কোন সন্দেহের উদ্রেক ঘটাবে না, অথবা এ ধারণার মধ্যে কোন পরির্বতনও ঘটবে না। সুফিষ্ট ( যে মতে সত্যকে আপেক্ষিক গণ্য করা হয়) ও সংশয়বাদীদের বিপরীতে এ বিশ্ব জগতের অস্তিত্বও তার বাস্তবতা সম্পর্কিত মানুষের এ বিশ্বাস একটি প্রমাণিত ও বাস্তব সত্য।
বিষয়টি একটি চিরন্তন বিধি, যা অপরিবর্বতনশীল। অর্থাৎ এ সৃষ্টিজগতের অস্তিত্বকে অস্বীকারকারী ও তার বাস্তবতায় সন্দেহ পোষণকারী সুফিষ্ট বা সংশয়বাদীদের বক্তব্য মোটেই সত্য নয়। বরং এ সৃষ্টি জগতের অস্তিত্ব এক বাস্তব সত্য। কিন্তু আমরা যদি এ বিশ্ব জগতের সৃষ্টিনিচয়ের প্রতি লক্ষ্য করি, তাহলে অবশ্যই দেখতে পাব যে, আগে হোক আর পরেই হোক, প্রত্যেক সৃষ্টিই এক সময় তার অস্তিত্ব হারাতে বাধ্য হয় এবং ধ্বংস হয়ে যায়। আর এখান থেকে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ স্পষ্ট হয়ে যায় যে, আমাদের দৃশ্যমান এ সৃষ্টিজগতের অস্তিত্বই প্রকৃত অস্তিত্ব নয় বরং প্রকৃত অস্তিত্ব ভিন্ন কিছু।
বস্তুতঃ ঐ প্রকৃত অস্তিত্বের উপরই এই কৃত্রিম অস্তিত্ব নির্ভলশীল। ফলে অবিনশ্বর ও প্রকৃত অস্তিত্বের মাধ্যমেই এই কৃত্রিম অস্তিত্ব অস্তিত্ব প্রাপ্ত হয়। কৃত্তিম অস্তিত্ব যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ প্রকৃত ও অবিনশ্বর অস্তিত্বের সাথে সর্ম্পকিত ও সংযুক্ত থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকবে। আর যে মূহুর্তে ঐ সম্পর্ক ও সংযোগ বিচ্ছন্ন হবে, সে মূহুর্তেই কৃত্রিম অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে। [পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ উল্লেখিত দলিলটির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন: তাদের রাসুলগণ বলেছিলেনঃ আল্লাহ সম্পর্কে কি সন্দেহ আছে, যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা? (-সুরা আল্ ইব্রাহীম, ১০ নং আয়াত।
)]আমরা অপরির্বতনশীল ও অবিনশ্বর অস্তিত্বকেই (অবশ্যম্ভাবী বা অপরির্হায অস্তিত্ব) ‘আল্লাহ’ নামে অবিহিত করি। মানুষ ও এ বিশ্বজগতের সম্পর্ক আল্লাহর একত্ববাদ আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে উল্লেখিত পদ্ধতিটি সকল মানুষের জন্যেই অত্যন্ত সহজবোধ্য ব্যাপার। আল্লাহ প্রদত্ত জন্মগত উপলব্ধি ক্ষমতা দিয়েই মানুষ তা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়। উক্ত প্রমাণ পদ্ধতিতে কোন প্রকার জটিলতার অস্তিত্ব নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই পার্থিব ও জড়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত থাকার ফলে শুধুমাত্র অনুভবযোগ্য বস্তুগত আনন্দ উপভোগে অভ্যস্ত ও তাতে নিমগ্ন হয়ে আছে।
যার পরিণতিতে খোদাপ্রদত্ত সহজ-সরল প্রবৃত্তি ও অনুধাবন ক্ষমতার দিকে ফিরে তাকানো মানুষের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ইসলাম স্বীয় পবিত্র আদর্শকে সার্বজনীন বলে জনসমক্ষে পরিচিত করিয়েছে তাই ইসলাম তার পবিত্র লক্ষ্যের কাছে সকল মানুষকেই সমান বলে গণ্য করে। যেসব মানুষ খোদাপ্রদত্ত সহজাত প্রবৃত্তি থেকে দুরে সরে গিয়েছে, মহান আল্লাহ তখন অন্য পথে তাদেরকে তাঁর অস্তিত্ব প্রমাণে প্রয়াস পান। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন পন্থায় সাধারণ মানুষকে আল্লাহর পরিচয় লাভের শিক্ষা দিয়েছেন। ঐসবের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহান আল্লাহ এ সৃষ্টিজগত ও তাতে প্রভুত্বশীল নিয়ম-শৃংখলার প্রতি মানব জাতির দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন।
তিনি মানুষকে এ আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিরহস্য নিয়ে সুগভীর চিন্তা ভাবনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, মানুষ তার এই নশ্বর জীবনে যে পথেই চলুক বা যে কাজেই নিয়োজিত থাকুক না কেন, সে এ সৃষ্টিজগত ও তাতে প্রভুত্ব বিস্তারকারী অবিচল নিয়ম শৃংখলার বাইরে বিরাজ করতে পারবে না। একইভাবে সে এই পৃথিবী ও আকাশ মন্ডলীর বিস্ময়কর দৃশ্যাবলী অবলোকন ও উপলব্ধি থেকে বিরত থাকতে পারবে না। আমাদের সামনে দৃশ্যমান এ বিশাল জগতের [মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে মুমিনদের জন্যে নির্দশনাবলী রয়েছে। আর তোমাদের সৃষ্টিতে ও চারদিকে ছড়িয়ে রাখা জীব জন্তুর সৃজনের মধ্যেও নির্দশনাবলী রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্যে, দিবা রাত্রির পরির্বতনে, আল্লাহ আকাশ থেকে যে রিযিক (বৃষ্টি) বষর্ন করেন অতঃপর পৃথিবীকে তার মৃত্যুর পর পুনরূজ্জীবিত করেন, তাতে এবং বায়ুর পরির্বতনে বুদ্ধিমানদের জন্যে নির্দশনাবলী রয়েছে।
(-সুরা জাসিয়া, ৩ থেকে ৬ নম্বর আয়াত। )]সব কিছুই একের পর এক প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। প্রতি মূহুর্তেই নতুন ও অভুতপূর্ব আকারে এ প্রকৃতি আমাদের দৃশ্যপটে মূর্ত হচ্ছে। আর তা ব্যতিক্রমহীন চিরাচরিত নিয়মে বাস্তবতার রূপ লাভ করছে। সুদূর নক্ষত্র মন্ডল থেকে শুরু করে এ পৃথিবী গঠনকারী ক্ষুদ্র তম অণু-পরামাণু পর্যন্ত সকল কিছুই এক সুশৃংখল নিয়মের অধীন।
সকল অস্তিত্বের মধ্যেই এ বিষ্ময়কর ‘আইন শৃংখলা’ স্বীয় ক্ষমতা বলে বলবৎ রয়েছে। যা তার ক্রীয়াশীল রশ্মিকে সর্বনিন্ম অবস্থা থেকে সর্বোন্নত পর্যায়ের দিকে ধাবিত করে এবং পূর্ণাঙ্গ লক্ষ্যে নিয়ে পৌঁছায়। প্রতিটি বিশেষ শৃংখলা ব্যবস্থার উপর উচ্চতর শৃংখলা ব্য বস্থা প্রতিষ্ঠিত। আর সবার উপরে বিশ্বব্যবস্থা বিরাজমান। অসংখ্য অণু-পরামণুর কণা সমন্বয়ে বিশ্ব জগত পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে আছে।
ক্ষুদ্রতর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলোকেও ঐ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অংশগুলো পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করেছে। এক্ষেত্রে আদৌ কোন ব্যতিক্রম নেই এবং তাতে কখনও কোন ধরণের বিশৃংখলা ঘটে না। উদাহরণ স্বরূপ এ সৃষ্টিজগত পৃথিবীর বুকে যদি কোন মানুষকে অস্তিত্ব দান করে, তাহলে এমনভাবে তার দৈহিক গঠনের অস্তিত্ব রচনা করে, যাতে তা পৃথিবীর পরিবেশের জন্য উপযোগী হয়। একইভাবে তার জীবন ধারণের পরিবেশকে এমনভাবে প্রস্তুত করে যে, তা যেন দুগ্ধদাত্রী মায়ের মত আদর দিয়ে তাকে লালন করতে পারে। যেমন: সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ, তারা, মাটি, পানি, দিন, রাত, ঋতু, মেঘ, বৃষ্টি, বায়ু, ভূগর্ভস্থ সম্পদ, মাটির বুকে ছড়ানো সম্পদ..... ইত্যাদি তথা এ বিশ্বজগতের সমুদয় সৃষ্টিকূল একমাত্র এই মানুষের সেবাতেই নিয়োজিত থাকে।
এই অপূর্ব সম্পর্ক আমরা সমগ্র সৃষ্টিনিচয়ে বিরাজমান দেখতে পাই। এ ধরণের সুশৃংখল ও নিবিড় সম্পর্ক আমরা বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুর মধ্যেই খুঁজে পাই। প্রকৃতি যেমন মানুষকে খাদ্য দিয়েছে, তেমনি তা আনার জন্যে তাকে পা দিয়েছে। খাদ্য গ্রহণ করার জন্য দিয়েছে হাত এবং খাওয়ার জন্যে দিয়েছে মুখ। চিবানোর জন্যে তাকে দিয়েছে দাঁত আর এই মাধ্যমগুলো একটি শিকলের অংশ সমূহের মত পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, যা মানুষকে মহান ও পূর্ণাঙ্গ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্যে পরস্পরকে সংযুক্ত করেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কোন সন্দেহ নেই যে, হাজার বছরের বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলে এ সৃষ্টিজগতে বিরাজমান সুশৃংখল ও অন্তহীন যে সম্পর্ক আবিস্কৃত হয়েছে, তা অনন্য সৃষ্টি রহস্যের এক নগণ্য নমুনা মাত্র। প্রতিটি নব আবিস্কৃত জ্ঞানই মানুষকে তার আরো অসীম অজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বাহ্যতঃ পৃথক ও সম্পর্কহীন এ সৃষ্টিনিচয়, প্রকৃতপক্ষে এক গোপন সুত্রে অত্যন্ত সুদৃঢ় ও সুশৃংখলতার নিয়মের অধীনে আবদ্ধ, যা সত্যিই বিষ্ময়কর। এই অপূর্ব সুশৃংখল ব্যবস্থাপনা এক অসীম জ্ঞান ও শক্তির পরিচায়ক। তাহলে এটা কি করে সম্ভব যে এত সুন্দর ও সুশৃংখল ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এ বিশাল জগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই ? এটা কি বিনা কারণে, বিনা উদ্দেশ্যে এবং দূর্ঘটনা বশতঃ সৃষ্টি হয়েছে? এই ক্ষুদ্র ও বৃহত্তর তথা এ বিশ্বজগতের ব্যবস্থাপনা, যা পরস্পরের সাথে অত্যন্ত সুদৃঢ়রূপে সম্পর্কিত হয়ে এক বিশাল ব্যবস্থাপনার অবতারণা ঘটিয়েছে এবং ব্যতিক্রমহীন, সুক্ষ ও সুনির্দিষ্ট এক নিয়ম শৃংখলা এর সর্বত্র বিরাজমান।
এখন এটা কল্পনা করা কি করে সম্ভব যে, কোন ধরণের পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই এটা কোন দূর্ঘটনার ফসল মাত্র? অথবা, এ সৃষ্টিজগতের ছোট-বড় সকল সৃষ্টিকূলই একটি সুনির্দিষ্ট ও সুশৃংখল নিয়মতান্ত্রিকতা অবলম্বনের পূর্বে তারা নিজেরাই ইচ্ছেমত কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে চলেছে এবং ঐ সুশৃংখল নিয়মতান্ত্রিকতার আর্বিভাবের পর তারা নিজেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছে? অথবা এই সুশৃংখল বিশ্বজগত একাধিক ও বিভিন্ন কারণের সমষ্টিগত ফলাফল, যা বিভিন্ন নিয়মে পরিচালিত হয়? অবশ্য যে বিশ্বাস প্রতিটি ঘটনা বা বিষয়ের কারণ খুঁজে বেড়ায় এবং কখনো বা কোন একটি অজানা কারণকে জানার জন্য দিনের পর দিন গবেষণার মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় সে কোন কিছুকেই কারণবিহীন বলে স্বীকার করতে পারে না। আর যে বিশ্বাস কিছু সুসজ্জিত ইটের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বাড়ী দেখে এর গঠনের পেছনে এক গভীর জ্ঞান ও শক্তির ক্রিয়াশীলতাকে উপলব্ধি করে এবং একে আকস্মিক কোন দূর্ঘটনার ফলাফল বলে মনে করে না। বরং ঐ বাড়ীটিকে সে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে রচিত পূর্ব পরিকল্পনার ফসল বলেই বিশ্বাস করে। এ ধরণের বিশ্বাস কখনোই মেনে নিতে পারেনা যে, এ সুশৃংখল বিশ্ব জগত কোন কারণ ছাড়াই উদ্দেশ্যহীনভাবে দূর্ঘটনা বশতঃ সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং সুশৃংখল ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রিত এ বিশ্বজগত এক মহান স্রষ্টারই সৃষ্টি।
যিনি তার অসীম জ্ঞান ও শক্তির মাধ্যমে এ বিশ্বজগতকে সৃষ্টি করেছেন। এই সৃষ্টিজগতকে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে তিনি এগিয়ে নিয়ে যান। সৃষ্টিজগতের ছোট বড় সকল কারণই ঐ মহান স্রষ্টাতে গিয়ে সমাপ্ত হয়। বিশ্বে সকল কিছুই তার আয়ত্বের মধ্যে এবং তার দ্বারা প্রভাবিত। এ জগতের সকল অস্তিত্বই তার মুখাপেক্ষী।
কিন্তু একমাত্র তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি অন্য কোন শর্ত বা কারণের ফলাফল ও নন। আল্লাহর একত্ববাদ এ সৃষ্টিজগতের যে কোন কিছুর প্রতিই আমরা লক্ষ্য করি না কেন, তাকে সসীম হিসেবেই দেখতে পাব। কারণ, সবকিছুই কার্য কারণ নিয়মনীতির অধীন। কোন কিছুই এ নীতির বাইরে নয়।
অর্থাৎ সৃষ্টিজগতে সকল অস্তিত্বই সীমাবদ্ধ। নির্দিষ্ট সীমার বাইরে কোন অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র সর্বস্রষ্টা আল্লাহই এমন এক অস্তিত্বের অধিকারী, যার কোন সীমা বা পরিসীমা কল্পনা করা সম্ভব নয়। কেননা তিনি নিরংকুশ অস্তিত্বের অধিকারী। যেভাবেই কল্পনা করি না কেন, তার অস্তিত্ব অনস্বীকার্য।
তার অস্তিত্ব কোন শর্ত বা কারণের সাথেই জড়িত নয়। আর নয় কোন শর্ত বা কারণের মুখাপেক্ষী। এটা খুবই স্পষ্ট ব্যাপার যে, অসীম ও অনন্য অস্তিত্বের জন্যে সংখ্যার কল্পনা করা অসম্ভব। কেননা আমাদের কল্পিত প্রতিটি দ্বিতীয় সংখ্যাই প্রথম সংখ্যার চেয়ে ভিন্ন হবে। যার ফলে দুটো সংখ্যাই সীমিত ও সমাপন যোগ্য হবে দু’টোই তাদের নিজস্ব সীমারেখায় বন্দী হবে।
কারণ কোন একটি অস্তিত্বকে যদি আমরা অনন্য ও অসীম হিসেবে কল্পনা করি, তাহলে তার সমান্তরালে অন্য কোন অনস্তিত্বের কল্পনা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তবুও যদি তা কল্পনা করার চেষ্টা করি, তাহলে একমাত্র প্রথম অস্তিত্বই পুনঃকল্পিত হবে। তাই অসীম অস্তিত্ব সম্পন্ন মহান আল্লাহ এক। তার কোন শরীক বা অংশী নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।