দয়া করে ক্ষমা করবেন। ক্ষমা করবেন আমায়। অকারণে ক্ষমা চাইছি না। অন্যায় করেছি বলেই ক্ষমা চাইছি। হ্যা, আপনার সাথে আমি দু’ধরণের অন্যায় করেছি।
এখনও বুঝতে পারেননি? তবে খোলাসা করা যাক। গল্প ভেবে যা আপনি পড়া শুরু করেছে তা মোটেও কোনো গল্প নয়। অর্থাৎ আপনাকে আমি কোনো গল্প বলছি না। অথচ গল্প ভেবে এখনো কিনা আপনি লেখাটি পড়ে চলেছেন, আর আমিও এমন ভাব দেখাচ্ছি যে আমি আপনাকে একটা ফাটাফাটি ধরণের গল্প শুনাব। মোট কথা, আমি আপনার সাথে প্রতারণা করেছি।
আপনি যে এ লেখাটিকে গল্প ভাবছেন সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ এজন্য যে, আমি গল্প লেখার সবগুলো নিয়মই মেনে চলার চেষ্টা করেছি। প্রথমত এর একটি চমৎকার নাম দিয়েছি, তারপর শুরু করেছি নাটকীয়ভাবে। কেউ একজন আপনার কাছে ক্ষমা চাইছে- এইটুকু জানলে স্বভাবতঃই তার কারণ জানার আগ্রহ জাগবে আপনার মনে। সেই কারণটি জানার জন্য আপনি এগুতে থাকবেন এবং আমি নিশ্চিত লেখাটি শেষ না করে আপনি উঠতে পারবেন না। সো, এতণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে, আপনাকে গল্প শোনাবার কোন সৎ অভিপ্রায় আমার নেই।
অথচ এই অক্ষরগুলোর উপর আপনার চোখ দু’টি হেটে চলেছে দুর্বার গতিতে!
এবার আসা যাক ক্ষমা চাইবার অন্য কারণটিতে। দ্বিতীয় যে অন্যায়টি করেছি তা হলো আমি বৃথাই আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করেছি। এই সময়টাতে আপনি লেট হয়ে যাওয়া ঘড়ির সময়টা ঠিক করে নিতে পারতেন। পাশের ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে আসা তরুণীকে দু’চোখ ভরে দেখে নিতে পারতেন। আপনার প্রেমিকার দেয়া প্রেমপত্রটি চতুর্থবারের মতো পড়ে নিতে পারতেন।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি না আওয়ামীলীগের সম্ভাবনা বেশি - এ নিয়ে সহকর্মীর সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক সেরে নিতে পারতেন। পাশের বাড়ির মহিলার এক ডজন খুঁত বের করে নিতে পারবেন, বিকেলের আড্ডাতে আপনার বান্ধবীদের শুনানোর জন্য। রিশতা কেয়া কেহলাতা হে’র আগামীর পর্বে কি করতে ঘটতে পারে। এনিয়ে জল্পনা-কল্পনায় বিভোর হতে পারতেন। অথচ সময়টা কিনা বৃথাই কাটাতে হলো।
বুকে হাত দিয়ে বলুন তো এখন কি আপনার মনে হচ্ছে না দূর ছাই! কী ছাই পাশ লিখেছে! মধ্যিখান দিয়ে আমার অনেকখানি সময় নষ্ট হয়ে গেল!...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।