Selfish Shellfish
জীবনের নাতিদীর্ঘ ৭/৮টা মাস সামুতে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে থাকতাম। তখন মনে হতো যে আমার জীবনটা সামুকেন্দ্রিক হয়ে যাবে। কিন্তু কেন জানি তা হতে পারে নাই। এখন ঘুরেফিরে ব্যাপারটা আবার শুরুর মতো হয়ে গেছে!
পোস্ট দেয়ার ঠেকা নাই কিন্তু দিতে ঠিকই মনে চায়! কিন্তু ২ লাইন লিখে মনে হয়, কি লিখলাম এইটা। পোস্টের কোন নির্দিষ্ট বিষয়ও নাই! কিন্তু তারপরও দিতে মন চায়! আবার শরম ও লাগে... কতো অজানা অচেনা ব্লগার আসছেন এখন।
তারমাঝে গুটিকতক হলেওতো সিরিয়াস!
আমার ব্লগজীবনের শৈশবে নির্ঘুম রাত কাটাতাম কি নিয়ে লেখা যায় তা ভেবে। এখন ব্লগজীবনেরও বয়স হয়েছে, ধৈর্য কমেছে। সেই উত্তেজনাটাও আগের মতো না। এখন একটা প্রবাসী সন্তান বেড়াতে এসেছে ধরনের অনুভুতি কাজ করছে মনে হয়। নতুন নতুন ভাই-বোন/ভাগ্নে-ভাগ্নি, বিয়ের সুত্রে আত্মীয়... শেষেরটা আদৌ খাটে কি না উপরওয়ালা মালুম... এদের সবার সাথে নতুন করে পরিচয় হবে, ভাবতেই অস্থীর লাগে।
তাই এই বছর দেশে ফেরার টিকেটটা করি করি করেও হয়তো করা হবে না। ড্রাফট হয়ে থাকবে। আবার আগামি মাস। বা তার পরের মাস। এভাবে কতো মাস চলে যাবে... তারপর হঠাৎ হয়তো একদিন ঘুম ভেঙ্গে আর কিছু না ভেবে newpost প্লেন ধরে চলে আসা হবে।
শীতকালে নাকি বিকারগ্রস্থদের সংখ্যা বাড়ে। এখানেো শীত পড়ে গেছে... ভাবুকগ্রস্থ হলেও, এটা কিন্তু আমার পার্সোনালিটির দোষ না! টেম্পারেচারের দোষ !
আমার বোন বল্টু ভালোই আছে (যারা বল্টুকে চেনেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি)। তার বহুদিনের নালিশ হলো, তিনি পানীয় কিছু খেতে (বাঙ্গালী!) গেলে নাকি আমি তাকে হাসায়ে দেই! ভালো কথা... তুই আমার সামনে পানি খাইতে যাস কেন!? কিন্তু না, এইসব বলে কিছু হয় না। শেষপর্যন্ত কালকে সিনেমার চুড়ান্ত হলো। বাসা থেকে বের হওয়া সময় আমাকে ডাক দিলেন আপা, আমি ঘুরে তাকাতে তাকাতে তিনি মুখভরে পানি খাচ্ছেন।
আমি ভুরু কুঁচকাতেই হাসতে হাসতে হেঁচকি শুরু হলো! তারপর মুখের পানি নাক দিয়ে বের হয়ে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। ধাতস্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত আমাকে দোষারোপ। আমার চেহারা দেখে নাকি হাসি পেয়েছিলো তার ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।