ঘুনে খাওয়া হৃদয়টাকে নিয়ে চলতে চলতে আজকাল খুব ক্লান্ত লাগে নিজেকে..
সুরে সুরে কে ডাকে ! কে ! কে ওখানে !!
কাউকেইতো দেখছিনা..
সুরটিও কেমন চেনা চেনা লাগছে
হ্যাঁ, এতো সেই সুর.. সেই পুরোনো সুখের সুর
কিন্তু, এ সুর আসছে কোথা হতে !
কে গাইছে অমন মিষ্টি করে সেই আগের মত
কাউকেই দেখছিনা, তবে কি..
নাহ্ ! তা কি করে সম্ভব..
তা কি কখনো সম্ভব হয়..?
যে মরে যায় সে কি কখনো ফিরে আসে
তাহলে আমি কি করে সেই সুর শুনতে পাচ্ছি ?
সেই একই গলা.. সেই একই কথামালা..
সেই একই তাল লয় ছন্দ.. কি করে ?
কিছুই বুঝতে পারছিনা..
আজ, কি হল আমার ?
সারাটা দিনইতো ঠিক ছিল..
কোন সমস্যা হয়নি কোথাও
অতীতও তেমন জ্বালা দেয় না ইদানিং
স্মৃতিগুলোও এখন অনেক বেশি ভদ্র শান্ত
আজই হঠাৎ সন্ধ্যার ক্ষাণিক পর
স্মৃতির একটা দক্ষিণা হাওয়া ডান গাল ছুঁয়ে গেল
তেমন কোন কষ্ট অথবা দুঃখের পালক ছিল না
ছিল শুধুই কিছু গুড়ি গুড়ি লাল নীল বিষন্নতা
আর ঠিক তখন থেকেই শুনতে পাচ্ছি
একটানে গেয়ে যাচ্ছে.. কোথাও কোন বিরতি নেই
মাঝে মাঝে বৃষ্টির কয়েকটা ফোঁটা লক্ষ্য করেছি
অথচ সারাদিন আকাশে কোন মেঘ ছিল না
বৃষ্টির ফোঁটার রঙগুলোও ছিল চমৎকার দেখার মত
আকাশের বুকে ছোট্ট চাঁদটি জ্বল জ্বল করে জ্বলছিল
দেখে ভাল লাগছিল.. আর ঠিক তখনই সেই সুর..
অবিরাম সুরের মূর্ছনায় নাচছে যেন সারা পৃথিবী
আমিই শুধু স্থির হয়ে অবিচল মনে শুনে চলেছি
মিলিয়ে যাচ্ছি হারিয়ে যাচ্ছি পালিয়ে যাচ্ছি
সেই পুরোনো সুরের গভীর আত্মার ভিতরে..
আস্তে আস্তে রাত বাড়ছে সেই সুরের তেজও বাড়ছে
সুরের পেখম মেলা পাখিরা ডেকে চলেছে অবিরাম
আমাকে আর আমার ভিতরের আত্মাটাকে
সুরের তালে তালে আস্তে আস্তে চোখের রাজ্যে ঘুম
শেষ ঘুমে আচ্ছন্ন আমি আমাকে নিয়ে চলে গেলাম
তার মায়াভরা সুরের ডাকে সাড়া দিয়ে..
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।