আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংসদকে মাছ মাজার বলায় ক্ষুব্ধ পাটমন্ত্রী: স্পিকার প্রভু নন, সেবক

ইন্টার েনট জগ েত স্বাগতম, প্র িত িট িনউজ েদশ ো জািতর কল্যাের জন্য প্রকাশ করা হ েব।

ভায়ােনয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কাউলের উদ্ধৃতিদিয়ে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সংসদে বলেছেন, স্পিকারহলেন সংসদের অংশ। প্রভু নন, সেবক। জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে মন্ত্রী ওসিনিয়র এমপিদের উপস্থিতি নিয়ে গতকাল রবিবার স্পিকার এডভোকেট আবদুল হামিদযে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার জবাবে লতিফ সিদ্দিকী আজ সোমবার এ কথা বলেন। তিনিবলেন, যারা সংসদকে অকার্যকর করতে চায় স্পিকারের বক্তব্য তাদের হাতিয়ারহিসেবে ব্যবহৃত হবে।

একইসঙ্গে তিনি স্পিকারের এমন মন্তব্য করার এখতিয়ারনিয়ে প্রশ্ন তুলে আগামীতে শব্দ চয়নে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন। আজ সংসদ অধিবেশন শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল বিকাল চারটা। এ সময় প্রথম সারিতে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খোন্দকার ছাড়া কেউই উপস্থিত ছিলেন না। চারটা ছয় মিনিটে ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী অধিবেশন কক্ষে আসেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর অধিবেশন শুরুর সময়ে আসেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

এর কিছুক্ষণ পর প্রথম সারির এমপিদের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসেন বিকাল ৪টা ২৮ মিনিটে। আছর নামাজের বিরতির পর অধিবেশন শুরু হলে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী প্রথমে তিন শ’ বিধিতে কথা বলার অনুমিত চান। ডেপুটি স্পিকার ফ্লোর দিলে তিনি রবিবার দেয়া স্পিকার আবদুল হামিদের মন্তব্য সম্পর্কে বলেন, তিনি ক্ষোভ বা সংক্ষুব্ধতা প্রকাশ কিংবা স্পিকারের মন্তব্যের বিরোধিতার জন্য কথা বলতে দাঁড়াননি। তিনি বলেন, মাদার পার্লামেন্টে মন্ত্রীদের সংসদে উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা নেই।

সংসদের প্রশ্নোত্তর ও নোটিসের উত্তরদানের সময় মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকবেন এটাই রেওয়াজ। সংসদ পরিচালনার জন্য স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের যেমন সুনির্দিস্ট কিছু দায়িত্ব রয়েছে, ঠিক তেমনি মন্ত্রীদেরও দায়-দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় তারা সংসদে উপস্থিত থাকতে পারেন না। লতিফ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র কুয়াশাচ্ছন্ন ধোঁয়াশে। তাই যারা সংসদকে অর্কাযকর ও সংসদীয় গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করতে চায়, স্পিকারের মন্তব্য তাদের জন্য অতিরিক্ত শক্তির বাহন হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কাউলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, স্পিকার হলেন সংসদের অংশ। প্রভু নন, সেবক। মন্ত্রী বলেন, ‘আমার জীবনে কখনও নির্ঘুম রাত কাটেনি। কিন্তু সংসদকে মাছ বাজারের সঙ্গে তুলনা করার পর আমি এখন পর্যন্ত ঘুমোতে পারিনি। স্পিকার সংসদকে মাছ বাজার বলেছেন।

সংসদ যদি মাছের বাজার হয়, তাহলে এর আড়তদার কে?’ তিনি আরও বলেন, পয়েন্ট অব অর্ডারসহ অন্য কোন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত না হলে স্পিকারের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ নেই। এই সংসদকে মাছের বাজারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কোন শব্দ চয়নের আগে স্পিকারকে মনে রাখতে হবে- শুধু একজন সংসদ সদস্য হিসেবে নয়, স্পিকার হিসেবে শব্দটি উচ্চারণ করলে তা কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। জাতি জটিল ও ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই সময়ে কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তির এমন আচরণ করা উচিত নয়- যা গণতন্ত্র নসাৎ করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তিনি স্পিকারের মন্তব্য নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সুবিধাভোগী সাংবাদিকরা- রবিবার বিভিন্ন মিডিয়ায় ও টিভি টকশোতে যে রিপোর্ট এবং মন্তব্য করেছেন তা তাকে ব্যাথিত করেছে বলেও উল্লেখ করেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.