কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...
১.
আজকাল ব্লগ লিখতে গেলে আইলসামিতে পাইয়া বসে। তাই অনেক কিছু পড়ি...প্রতিক্রিয়া তৈরী হয় কিন্তু সেই প্রতিক্রিয়া আর প্রকাশ করা হয় না। নিজেরে কেরম অথর্ব মনে হয়। মনে হয় এই সমাজে অথর্ব হইয়া বাঁইচা থাকনটাই নিরাপদ। অনাহুত আক্রমণগুলি এড়াইয়া চলা যায়।
ফেইক নিক কিম্বা ব্যঙ্গাত্মক গালি খাওনের সম্ভাবনা তো তিরোহিত হয়...সামাজিক সম্মান থাকে। লোকে আড়ালে আবডালে আমারে নিয়া হাসাহাসি করে এই তথ্য তো তেমন আরামদায়ক না।
আর তাই জেনারেল নিকধারী একজন পুরুষ যখন আইরীন সুলতানারে এক্কেরে পুরুষতান্ত্রিক স্বরে একের পর এক আক্রমণ কইরা যায় আমি নীরব থাকি। কি লাভ এইসব গ্যাঞ্জামে নজর দিয়া! আমি তো নিরাপদ আছি! সমাজের দূর্বল অংশ হিসাবে একজন নারী এইরম আক্রমণের শিকার হইতেই পারে। তার স্মার্টনেস, তার পাল্টা জবাব দেওনের ধৃষ্টতা বরং অপরাধ।
ব্লগীয় রাজনীতি পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা থেইকা জানি এই জেনারেল নিকের আড়ালে থাকা মানুষটাই হয়তো অন্য কোন জায়গায় নারীর প্রতি পুরুষের অবমাননা নিয়া তুমুল প্রগতিবাদী পরিচয় প্রকাশ করে। হয়তো সে এই মুহুর্তেও কোন আসরে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর লাঞ্ছনার শিকার বাংলাদেশী মা-বোন'দের নিয়া জ্ঞানগর্ভ আলোচনা চালাইতেছে। সেই আসরে অনেক আহা উহু সূচক ধ্বনি উঠতেছে...
আমার তাতে কি আসে যায়!? এইসব উটকো ঝামেলা বরং আমার জন্য ক্ষতিকর হইবো। তারচে উভয়েই আমারে কাছের মানুষ ভাবুক...নীরবতাই মনে হয় মানুষরে অধিক কাছে টানে। নীরব থাকার সুবিধা কেউ অন্ততঃ শত্রু মনে করবো না।
সকলের কাছের মানুষ হইয়া থাকনে আখেরে হয়তো লাভও হইতে পারে। তর্ক মানেই বিরোধ...তর্ক মানেই সংহতির কবর...আমার প্রয়োজন আরো অনেক মানুষের ভালোবাসা। যেই ভালোবাসা নিরুদ্বিগ্ন...যেই ভালোবাসাতে কোন প্রশ্নের স্থান নাই। চুপচাপ থেকে সকলের ভালোবাসা চাই...
ব্লগীয় জেনারেল কিম্বা বাবুয়ারা এই সমাজে বেশ ভালোমতোনই থাকে। আমি তাগো খেপাইয়া নিজের ভালো থাকনের সম্ভাবনারে বিনষ্ট করতে চাই না।
তারা পুরুষ থাকুক...তারা নিজের অবস্থানের অহমে থাকুক। আমিও তাদের মতোনই হইতে চাই।
২.
"দাশ" না হয়ে "দাস" হলেতো চামচা হবেই।
ভারত মাতার আশীর্বাদ থাকলে বাংলাদেশ একদিন সুসন্তান রূপে বিশ্বের দরবারে আত্মপ্রকাশ করবেই।
এই উক্তি পড়লেই বুঝতে পারি...যিনি লিখছেন তিনি একজন জ্ঞানী ব্যক্তি।
বাংলা বানান বিষয়ে তার বেশ দক্ষতা আছে। তিনি তালব্য শ আর দন্ত্য স নিয়া জানেন। আমি নিজেও এই বানান সম্পর্কে খানিকটা জানি...তয় এই মন্তব্যদাতা কিছু বেশি জিনিস জানেন আমার চাইতে। দন্ত্য স বানানের দাস হইলে ভারতের নিকট জন হয় সেই তথ্য আমার অজানা ছিলো...আর তাই জ্ঞানী মন্তব্য দাতারে আমি ভিন্ন চোখে দেখতে শুরু করি।
কালপুরুষ নিকের মানুষটারে আমি বহুদিন যাবত চিনি।
তার লেখা আর আচরনের তারুণ্য আমারে অনেক সময় ভাবায়। তারে সবসময়েই আলাদা চোখে দেখি। তিনি যখন শ্বাশত'রে দাতব্য পৌছাইয়া দিতে যাওনের টাইমে একজন সাথীর ট্রেন ভাড়া দিয়া সেইটা ফেরত না চাওনের মতোন উদারতা দেখাইছিলেন তাতে আমি বিস্মিত হই নাই। মনে হইছিলো তিনি ঠিক আমার মাপের মানুষ না। তিনি অন্যরম...আমি যদিও ঐসময় তার প্রকাশে একটু খেপছিলাম...কিন্তু কি আর করা এই ভাবেই সমাজে থাকতে হয়।
সম্পর্কের বন্ধন এইখানে নিত্য নতুন ফর্মুলায় তৈরী হয়...আমরা নতুন সম্পর্ক নির্মাণের লেইগা ভুলতে শিখি...এই ভুলে যাওয়াতে কৃতিত্ব আছে...
এই দেশে কতো মানুষের নামের শেষে দাস পদবী আছে আমি জানি না। এই না জানায় আমার কোন ক্ষতি বৃদ্ধি ছিলো না কখনো। কিন্তু কালপুরুষ সাহেবের উক্তি আমারে নতুন কইরা ভাবায়। দন্ত্য স দাসের সংখ্যা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হইতে শুরু করে। এই দেশের ভবিষ্যতের লগে যেহেতু এই সংখ্যা সম্পর্কীত।
ভারতের চামচা'রা তো খুব সুখকর নয়। আমার পরিচিত দাস/শ ব্যক্তিদের নামের বানান জাইনা নেওনের উদ্যোগ নিতে হইবো শীঘ্রই। দেশ নিয়া ভাবনা জানি আমার সম্মান বাড়াইবো।
৩.
আজকাল আরেকটা বিষয় দেখি। ফেইসবুকে-শিক্ষিত মানুষগো ব্লগে ব্লগের সংজ্ঞা নির্ধারনী আলোচনা চলে।
কে কোথায় কি করতে পারে, কে কোথায় কতোদূর লিখতে পারে, কে কোথায় কদ্দূর কইলে সেইটা ভালো লেখা হয়...এইসব...আমি খেই হারাই...কতো কম জানি। জানলে আরো ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ হইতাম হয়তো। ক্ষমতা থাকলে মানুষের সম্মান বাড়ে।
মনে হয় এইসব সম্মান বিষয়ক ধারণাই মানুষরে বড় করে...আর তাই আমি সম্মান বাঁচাইতে নিরাপদে থাকনের সিদ্ধান্ত নিছি। চুপচাপ আছি...চুপচাপ থাকি...সবাই ভালো...আপনারাও ভালো থাকুন...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।