ফেসবুকে আমারে "বিডি আইডল" নামে সার্চ দিয়া পাওয়া যাবে
সাকাচৌ রাজনৈতিক বির্তকের বাইরে সর্বদা খবরের জন্ম দেন মূখরোচক মন্তব্য করে.....নির্বাচন কমিশন এবং বিএনপির দলীয় প্রেসারে বর্তমানে একটু বাটে থাকা এই বিতর্কিত রাজনৈতিক আজকে বেশ ওজনদার একটা কলাম লিখেছেন মানবজমিনে....নানা জ্ঞাণী-গুণী লোকের কথা কোট করা হয়েছে এই লেখায় ব্যাক্তি সাকার বির্তকের উর্দ্ধে কলামটা ইন্টারেস্টিং মনে হওয়ায় ব্লগে দিলাম....
রাজনীতিকরা মিডিয়া সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের এ অভিযোগ অনেকটাই সাগর সম্পর্কে নাবিকদের অভিযোগের মতো। মিডিয়া বা যোগাযোগ মাধ্যম জনধারণা তৈরিতে একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই ধারণা জনধারণাবাদী রাজনীতির অন্যতম প্রধান বিবেচ্য বিষয়। তবে জনধারণার সঙ্গে বাস্তবতার মিল সবসময়ে থাকতেই হবে এমন কোন কথা নেই।
রাজনৈতিক জগতের কার্যত সকল ন্যায়ানুমানের বুনিয়াদ গড়ে উঠেছে এরকম সব বড় যুক্তির ভিত্তিতে যার ধারণা আবার গড়ে ওঠে সাধারণ মানুষের বিস্তৃত পরিসরের কিংবা সীমিত ধারণার ওপর। আর এসব ধারণার প্রতি সাধারণত যোগাযোগ মাধ্যমের সমর্থন থাকে বা ওই সব মাধ্যমে এ সবের সুপারিশও করা হয়। বলাবাহুল্য এসবের সঙ্গে বাস্তবতার কোন যোগাযোগ নেই। বরং আমাদের কারও কারও গৌরব বা সংস্কারমূলক ধারণারই বরং সম্পর্ক থাকতে পারে এসবের সবের। বেশিরভাগ রাজনৈতিক ধারণার পক্ষে জোর গলায় যুক্তি দেখানো হয়।
আর তাতে আমরা এটাই বুঝতে পারি। আমরা এর সারবস্তু কি আছে না আছে তার তুলনায় ঢের বেশি শোরগোল তুলি। তবু এসব ধারণাই বাস্তবাতার চেয়েও প্রবলতর হয়ে ওঠে। এ প্রসঙ্গে স্যামুয়েল বাটলার বলেন, ‘‘জনসাধারণ মাছমাংস বা দুধ কেনার মতোই অভিমত বেছে নেয় এই মূলনীতির ভিত্তিতে যে একটা গরু বা গাই পোষার ঝামেলার চেয়ে বরং দুধ কেনাই বেশ সস্তা। ’’ এতে যে তত্ত্বকথার উপস্থাপনা করা হলো তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে গণমাধ্যমে দেয়া সবচেয়ে সস্তা সুবিধাবাদী প্রস্তাবও তাৎপর্য না বুঝেই জনগণ গ্রহণ করতে পারে।
কাজেই স্বাভাবিকভাবেই কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়া কথা নয় যে জনমত এক প্রকারে নয় বরং নানাভাবে প্রতারিত হতে পারে।
আমরা অক্টোবর মাসে পৌঁছেছি। সরকারের জন্য এটা নিগ্রহ ও বলপ্রয়োগের তৃতীয় বছর। আলোচ্য গত তিন বছরের শুরু অক্টোবর ২০০৬ থেকে । এর প্রথম নয় মাস ছিল রাজনৈতিক নিগ্রহ আর বলপ্রয়োগের আধিপত্যকাল।
এর পরের দুই বছরের শুরু ১১ জানুয়ারি ২০০৭ থেকে যখন রাষ্ট্রীয় বিষয়ে কুখ্যাত সামরিক হস্তক্ষেপের সূচনা ঘটে। এই সূচনা পরবর্তী মেয়াদ উর্দিপরা সামরিক বাহিনী ক্ষমতামত্ত কর্মকর্তাদের নিগ্রহ ও বলপ্রয়োগের কাল। আর এখন ২০০৯-এর প্রথম নয়টি মাস চিহ্নিত হয়েছে একটা অসামরিক সরকারের নিগ্রহ ও বলপ্রয়োগের কাল হিসেবে। এ সরকারের দাবি তারা এমন এক নির্বাচনী ফলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবিদার যা সকল কল্পনাকে হার মানায়, যার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
নিগ্রহ ও বলপ্রয়োগের শাসন যার শুরু আগেই বলেছি অক্টোবর ২০০৬ থেকে, এদেশে আসলে ঠিক কবে থেকে নিগ্রহমূলক শাসন এলো সে বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা কোন নতুন বিষয় নয়।
এ বিষয়ে বেশ অনেকগুলি মতবাদ রয়েছে কখন ও কেমন করে বাংলাদেশে নিগ্রহ ও বলপ্রয়োগে শাসনের ধারণার যাত্রাশুরুর বিষয়ে। অনেকে মনে করেন ও সম্ভবত সঠিকভাবেই করেন যে এ নিগ্রহ ও বলপ্রয়োগের শাসনের শুরু সাবেক পাকিস্তানি আমল থেকে। আবার অনেকে এ সূচনা আমল ও ব্রিটিশ ভারত থেকে বলে মনে করেন। আমাদের দেশে ঠিক কখন থেকে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঔপনিবেশিক প্রবর্তিত হয় এ বিষয়ে কোন তর্কবিতর্কে না গিয়েই বলা যায় যে সম্ভবত জনসম্মতির অধিকারী সরকারের ১৫ বছর চলার পর যে নিগ্রহও বলপ্রয়োগের শাসন আসে তার জন্য হিমালয় সমান ব্যর্থতার জন্য দায়ী আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। আমরা ভুলে যাই যে, “নিগ্রহ-বলপপ্রয়োগ নয় বরং জনসম্মতির ভিত্তিতে দেশ শাসনের মহৎ নিরীক্ষায় ক্ষমতাসীন দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসমর্থন থাকতেই হবে এটাই যথেষ্ট নয়, বরং ক্ষমতাসীন দল সংখ্যালঘিষ্ঠ নির্বাচকদেরকে দারুণ ক্ষুব্ধ করে তুলছে না সেটাও অপরিহার্য।
”
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের চাকরির বয়সসীমা আরও দু’বছর বাড়াতে সংবিধানের ১৪শ সংশোধনী আনায় অত্যাচারী শাসকের বর্বরতা কিংবা নির্বোধসুলভ আত্মতুষ্টির মনোভাব কাজ করেছে কিনা সে নিয়ে জোর বিতর্ক হতে পারে। সংবিধানে এই সংশোধনীর ফলে বিচারপতিদের চাকরির বয়স দু’বছর বাড়ানো হয়। বয়সবৃদ্ধির খোদ এই ব্যাপারটায় দোষের কিছু নেই। কিন্ত বাস্তবতা অন্যরকম। আমাদের একজন বলতে গেলে সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতিকে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন এ কারণেই এই সংশোধনীটি নিয়ে পক্ষপাতমূলক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কিত সন্দেহ অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আর সেটাই সকল সঙ্কট-সমস্যা ডেকে আনে।
বাংলাদেশে গেল তিন বছরে যে সব নীতিসিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা থেকে মনে হয়, আমাদের নীতিসিদ্ধান্ত প্রণয়নের প্রক্রিয়া কূটঘাতের শিকার হয়েছে, পাশ্চাত্য শক্তিসমূহের পৃষ্ঠপোষকতা একটি আঞ্চলিক আধিপত্যশীল শক্তির অভিলাষ তালিকাকে তুষ্ট করার জন্য। আর এটা করা হয়েছে ‘১৫ কোটি মুসলমান যদি বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে’ সেই রক্ত হিম করা আতঙ্কে। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সংবিধান স্থগিত করা সামরিক জান্তা জাতিসংঘের হুমকির দোহাই দিয়ে বলেছে তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশের সেনাদের চাকরি খতম করে দেবে আর সেজন্যই তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে। এই যে অজুহাত তা থেকে দু’টি প্রশ্ন জেগে ওঠে।
এক, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে বাংলাদেশী সেনানিয়োগের বিষয়টিতে সাধারণভাবে সুপার পাওয়ার বা বৃহৎশক্তিবর্গ বা বিশেষ করে কোন ‘সর্বময় শক্তিবিশেষের’ পণ হিসেবে আমাদের সেনারা ব্যবহৃত হয়েছে কিনা। দুই, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী কোন আধিপত্যের স্বার্থ রক্ষার জন্য ভাড়াটে বাহিনীতে পর্যবসিত হয়েছে কিনা যার কাজ নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব নয় বরং দূর কোন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা।
জানুয়ারি ২০০৭-এর জানুয়ারিতে ক্যু দেতার আগে প্রকাশ্যে ও সাধারণত উদ্ধতভাবে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত চতুষ্টয়ের কূটনৈতিক কার্যকলাপ এই বিশ্বাসের জন্ম দেয় যে গণতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষক সাধু মহাশয়েরাই দীর্ঘ দু’বছর ধরে এদেশের জনসাধারণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রেখেছেন। দুই বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করা এক সামরিক জাšতার পক্ষে ওই রাষ্ট্রদূত চতুষ্টয়ের ওকালতির ভূমিকা থেকে এটাই মনে হয় যে এই ‘অশুভ রাষ্ট্রদূত চতুষ্টয়’ই আসলে এমন শক্তির প্রতিনিধি যারা সম্ভবত পরহিতবাদী কোন কারণ নয়, বরং অন্য কোন কারণে এদেশে এই সামরিক হস্তক্ষেপের নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন। এই সামরিক জান্তার উত্তরাধিকারী আওয়ামী লীগ সরকার গত নয় মাসে যে সব ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে এ ধারণাই পোক্ত হয় যে নয় মাসের ক্ষমতাসীন সরকার তিন বছর আগে যে কার্যব্যবস্থার নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়েছিল তারই বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকারে আবদ্ধ।
ভারতকে ট্রানজিট দেয়া বা আমাদের সমূদ্রসীমা রক্ষায় ওই সীমার সংজ্ঞা নির্ধারণ বা সেজন্য কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির কাছে নুয়ে পড়া ধর্নার জন্য কেবল আওয়ামী লীগ সরকারকেই দায়ী করাটা বেশ অন্যায় হবে অবশ্য। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি স্বাধীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিভূ। এগুলিকে পদ্ধতিসম্মতভাবে যেভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্নের উদয় হয় যে এসব অপপ্রয়াস ডিসেম্বর ২০০৮-এর সন্দেহভাজন নির্বাচনে সুআচরণ প্রদর্শনের সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য বিদেশ থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধ প্রক্রিয়ারই অংশ কিনা।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োগ খাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অংশবিশেষ বাংলাদেশ হারাতে পারে যদি তাদেরকে জাতিসংঘ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয় -- এটা অসম্ভব নয়। তবে আমাদের প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিকরা বিদেশ থেকে যে অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন তার পরিমাণের তুলনায় বিদেশে আমাদের সামরিক বাহিনীর আয় বলতে গেলে বিদুরের খুদ ছাড়া কিছু নয়।
তা ছাড়া আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে সাধারণ্যে যে শ্রদ্ধার অবক্ষয় ঘটেছে তার পরিমান ডলার বা সেন্টের নিরিখে নির্ণয় করা যাবে না। গিবন বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগের ঢালাও প্রয়োগ সংবিধানিক স্বাধীনতার সবচেয়ে অভ্রান্ত লক্ষণ। তবে, এমনকি এসব অভিযোগও সংবিধান লংঘন করে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কার্যকলাপের বৈধতা দিতে পারে না। কেননা, সামরিক বড় কর্তাদের উচ্চাভিলাষ তাদের যোগ্যতা সীমা ছাড়িয়ে আকাশ ছুঁয়েছে। এর দুর্ভাগ্যজনক ট্রাজেডি হলো এই যে মাত্র গুটিকয়েকের কাঁচাবুদ্ধি, অযোগ্যতা ও কালিমার কারণে বহু যোগ্যের মূর্তিও কলঙ্কিত হয়েছে।
এই অপদার্থ, দুর্নিতিবাজ ও উচ্চাভিলাষী হাতে গোনা কিছু লোকের জন্য গোটা দেশের জাতীয়তাবাদীদের রুদ্ররোষ গিয়ে পড়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানে। আর এদের অনেকেই একই কারণে প্ররোচিত হয়েছে মাক্স হফম্যানের কথায় যেখানে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবহিনীকে বর্ণনা দিয়েছেন ‘গর্দভের নেতৃত্বে চলেছে সিংহ বাহিনী’ - এ রকম বাক্যে।
তাই এখন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওই বাহিনীর গুটিকয়েক মোটামাথার পাপের জন্য জনমতের কাছে গোটা বাহিনীকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। এই অবস্থাটা আর যা-ই হোক স্বাধীন বাংলাদেশের স্বার্থানুগ হতে পারে না। একজন উদারনৈতিক বাঙালি জাতীয়তাবাদী বিভ্রান্ত এক সামরিক জান্তাগোষ্ঠীর অপূর্ণ উচ্চাভিলাষের ভনিতায় হয়তোবা নির্লিপ্ত থাকতেও পারেন।
তবে একজন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীর কাছে আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর ভাবমূর্তির জন্য এটা এক বিপর্যয়কর ক্ষতি যাকে ধরে নেয়া হতে পারে আমাদের নিজ নিয়তি নির্ধারণে আমাদের যোগাতা হ্রাসে কোন আধিপত্যবাদী মহলের চক্রান্ত যা সফল হলে সেটা বাংলাদেশের কোন আঞ্চলিক শক্তির সামন্ত হওয়ার নিয়তির মতো ইতিহাসের কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না।
খোদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অবরুদ্ধ অবস্থায় পিতাকে হারানো ঘটনায় খুবই স্বাভাবিকভাবে এক শোকসন্তপ্ত ব্যক্তির প্রতি সাধারণ মানুষ সহানুভূতিশীল হবে কেননা মৃত ব্যক্তি সহিংসতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে। তাঁর প্রিয়জনেরা তাকে হারিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রায় তাঁর গোটা পরিবারকে হারিয়েছেন সহিংসতায়। গোটা জাতির সহানুভূতি ও সমবেদনা তাঁর প্রাপ্য।
এ সহিংসতা সকলের নিন্দার দাবিদার। এ বিষয়টি বিতর্কাতীত। একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদশের অভ্যুদয়ে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ অবদানের বিষয়েও কোন বিতর্ক হতে পারে না। ১৯৭২ সালের ১৯শে মার্চ বাংলাদেশের মাটি থেকে দখলদার বাহিনীসমূহের প্রত্যাহার নিশ্চিত করার বিষয়ে তাঁর সাফল্য সম্ভবত তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে চমৎকার মহামুহূর্ত। জাতি তার আগামী প্রজন্মের নাগরিকদের কাছে সগৌরবে এ ঘটনা স্মরণ করবে।
তবে দুঃখের বিষয়, আওয়ামী লীগ সম্ভবত তার নিজ দলের ইতিহাসের এই অসাধারণ মাইলফলকটিকে উপেক্ষা করার বিষয়টিই বেছে নিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিযোগী হিসেবে তাদের নিজ নিজ দায়ভার বহন করতে হয়। বাংলাদেশের জনসমষ্টিকে এক একদলীয় শাসনের কারাগারে বন্দি করা, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, বাংলাদেশের জনগণের ওপর রাজনৈতিক আধাসামরিক বাহিনী (রক্ষীবাহিনী) লেলিয়ে দেয়া, রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যা করা এসবের দায়দায়িত্ব কেবল মরহুম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া যায় না। বাস্তবিকপক্ষে, তাঁর রাজনৈতিক সহযোগীদের কি ব্যর্থতা-অপর্যাপ্ততা ছিল, কেন তাঁকে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করলো যা তাঁর সাবেক রাজনৈতিক বিশ্বাস ও প্রত্যয় বিরোধী? এই আলোকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্থির করতে হবে তারা তাদের নিজেদের তরফ থেকে একদলীয় শাসনের অবসানের এবং রক্ষী বাহিনী বিলোপের বিষয় দু’টি মেনে নিতে পেরেছেন কিনা। আজ এসব বিষয় বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে আওয়ামী লীগ সংসদে এবার ঠিক প্রায় সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতারই অধিকারী, সেই একই ক্ষমতার অধিকারী যা দেশের প্রথম সংসদও ভোগ করেছে আর সেই সঙ্গে দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধানের সংশোধন করেছে।
নানা ধরনের সাংবিধানিক সংশোধনের জোর গুজবও রয়েছে এ মুহূর্তে। আর এসব সংশোধনের বিষয়ও নাকি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। আর সে কারণেই আশঙ্কা বাড়ছে দিনকে দিন।
সরকার জেনারেল মঈন ইউ আহমদের অত্যাচার নিষ্ঠুরতার ভুলে যাওয়ার কথার স্মৃতিচারণ করেছে। আর এরই মধ্য দিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার খোলাখুলি মঈনের সামরিক জান্তার রাষ্ট্রদ্রোহিতালূমক কাজ স্বীকার করে নিয়েছে।
স্বীকার করে নিয়েছে সামরিক জান্তার অসামরিক সহযোগীদের ভূমিকাও। ১/১১ দুস্কৃতকারীদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপপ্রয়াসও এই ধারণাকেও জোরদার করেছে যে শেখ হাসিনার সরকার জেনারেল মঈন ইউ শাসকগোষ্ঠীরই সাংবিধানিক চেহারামাত্র। আর জেনারেল মইনদের রাজনৈতিক এজেন্ডাই তাদেরকেও ক্ষমতায় নিয়ে আসে। বাংলাদেশে সব জনস্তরে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। আর তাতে এই বিশ্বাসই মজবুত হয়েছে যে দেশ শাসনের গত নয়টি মাসও জানুয়ারি ২০০৭-এ ক্ষমতা কুক্ষিগতকারীদের দেশ শাসনের আরেকটি পর্যায়মাত্র।
সেনাবাহিনীর প্রায় ৫০ অফিসার হত্যা, বিডিআরের ২০০০ সদস্যকে বন্দি করে রাখা ইত্যাদি ঘটনা কার্যকরভাবে সরকারের সেই সব প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে যাদেরকে ধরে নেয়া হতো দেশ ও ভূখণ্ডগত সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। এই বিপর্যয়, আর মহাধ্বংসযজ্ঞের প্রধান উপকারভোগী কারা তা বলে দিতে কোন রকেট বিজ্ঞানীর উন্নত মস্তিষ্কের দরকার হয় না। ২০০৯-এর ২৪শে ফেব্র“য়ারি পিলখানার ভীতিপ্রদ ঘটনা যখন ঘটছিল সেই সময়ে সেনাকর্মকর্তাদের সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিতে জেনারেল মঈন ও তাঁর কিছু সহযোগীর নিরুৎসাহ গোটা জাতির কাছে জলবৎ স্বচ্ছ। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক স্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনাটাকে মনে হয়েছে যেন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সিবিএর দর কষাকষি। ফলে রাজনৈতিক সরকারের মতলব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা নিরাপত্তার দিক থেকে বিপন্ন হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলি থেকে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্তে। বিপন্ন বোধ করছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীরা। কেননা এ অঞ্চল বিদ্রোহী অধ্যুষিত। চট্টগ্রাম জেলা মুরগির গলার মতো সরু একটা কয়েক মাইলের চিলতে ভূখন্ড দিয়ে মূল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত। আর দু’পাশের একদিকে রয়েছে বঙ্গোপসাগর আর আরেক দিকে ভারত।
এরকম একটা কৌশলগত এলাকার বিপন্নতার বিষয়টি বোধ করি ঢাকার রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারকদের কাছে আদৌ পাত্তা পায়নি। পার্বত্য চট্টগআম উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী বা স্বাধীনতাকামী সহিংস বিদ্রোহীদের স্বাভাবিক আশ্রয়স্থল আর সেটা তাই আমাদের আধিপত্যশীল প্রতিবেশীর জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। আর একই সঙ্গে সেটা প্রতিবেশীর উচ্চাভিলাষী অনুপ্রবেশের অজুহাত হতে পারে। এ বিষয়টি সুবিধাজনকভাবে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামের অবস্থা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে পোল্যান্ডের ডানজিগ বা আজকের গদানস্কের মতো।
কার্যত এটিই বাংলাদেশের একমাত্র সমুদ্রবন্দর। আর ভারতের উত্তর ভারতীয় রাজ্য সপ্তকেরও সবচেয়ে কাছাকাছি হলো এই সমুদ্র বন্দর। চট্টগ্রাম ও ঢাকার মধ্যে একমাত্র মহাসড়কটির (একমাত্র জাতীয় মহাসড়ক) হাল আর সেই সঙ্গে ভারতের উল্লিখিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ের সংযুক্তি নিয়ে উৎসাহ-উচ্ছ্বাসের মাঝে জেনালে মঈন ও তার স্যাঙাতদের তিন বছরের মতলবেরও আরও একটা আভাস সম্ভবত রয়েছে এখানেই।
ভারত সরকার সিলেটের অদূরে ভারতের টিপাইমুখে যে বাঁধ নির্মাণ করছে সে বিষয় প্রশ্নে আমাদের সরকারের উদার উপলব্ধি থেকে জাতি মনে করে এটা হলে জাতীয় প্রতিবেশ বিপর্যয় ঘটবে বাংলাদেশে। কিন্ত সরকারের ভাবসাবে মনে হয় আমাদের সরকার নিজদেশের নাগরিকদের স্বার্থ নয় বরং প্রতিবেশীর সর্বাঙ্গীন স্বার্থ দেখতেই বেশি উৎকর্ণ।
সমুদ্রে আমাদের সীমা সংক্রান্ত দাবি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ যে নীতি অনুসরণ করছে তা-ও উল্লিখিত নীতির সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ।
তিন বছর আগে দুর্নীতি, অযোগ্যতা, আইন-শৃংখলারক্ষায় ব্যর্থতা, সন্ত্রাসবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সঙ্কট, গ্যাস সঙ্কট, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ও আমলাদের রাজনৈতিকীকরণের দায়ে এদেশের জাতীয়তাবাদীদের প্রকাশ্যে নিন্দা করা হয়। ২০০৭ -এর দস্যুরা তাদের এসব দাবি প্রমাণের এবং সেই ফাঁকে নিজেদের ভাবমূর্তি গড়ার জন্য যোগাযোগ মাধ্যমে করদাতাদের শ’ শ’ কোটি টাকা অপচয় করে। তারা নিজেদেরকে জাতির সৎ ত্রাতা হিসেবে জাহির করে এভাবে। তারপর এক বছর না যেতেই ‘পানিবন্দি মানুষের বিপন্নতায় জন্য আশার বাতি’ হিসেবে নিজেদের দেখাতে রুয়ান্ডা, আইভরি কোস্ট বা কঙ্গোর অভিজ্ঞতার মতো মূল্যবান সঞ্চয়ই তাদের থাকুক না কেন সেনাবাহিনী সমস্যাসমূহ সমাধানে শোচনীয়ভাবে ব্যথর্ হয়।
বরং উল্টো বেরিয়ে পড়ে তারা সৎ নয়, আর জাতীয় ইস্যুসমূহের মোকাবেলায় অপদার্থরকমে তারা ব্যর্থ। তাই তাদের কােছ স্পষ্ট হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকরা তাদের জন্য যে সব লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল সেগুলি বরং নির্বাচিত সরকারই বাস্তবায়িত করুক আর তাদের দায়িত্ব এড়ানোর একটা বিকল্প পথ বেরিয়ে আসুক। এটা করতে পারলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদেরকে অব্যাহতি দেয়ার ব্যবস্থা করবে। আর এরই ফলে আসে সুপরিকল্পিত ‘নির্বাচন’ যে নির্বাচনে থাকবে জোরজবরদস্তি । এর জন্য পুরস্কার দাবি করা যাবে।
অযোগ্যতা সেখানে বিবেচ্য হবে না। আর তারই উপহার হিসেবে আসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি নির্বাচিত সরকার। জেনারেল মইনের আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকরা এই সুআচরণ এবং জানুয়ারি ২০০৭-এর অ্যাডভেঞ্চারের জন্য তাঁকে সার্টিফিকেট দিয়ে ধন্য ধন্য করলেন সম্প্রতি।
মাত্র তিন বছর পার না হতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেনারেল মঈনের এই অ্যাডভেঞ্চারকে মানবজাতির জন্য খোদা প্রদত্ত সর্বশেষ তোহফা হিসেবে ঘোষণা করলেন। আর সেই সঙ্গে এই দাবিও করলেন যে ১/১১ সরকার কিন্ত তাঁদের রাজনৈতিক আন্দোলনেরই মেওয়া।
তারপর থেকে জাতি তাঁর এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করার কোন কারণ খুঁজে পায়নি, জনধারণা কি তা-ও অবগত হতে পারেনি। জনধারণা ছিল এই যে এটা সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার তথা সামরিক জান্তা শাসনেরই নিরবচ্ছিন্নতামাত্র তবে তা ভিন্ন লেবাসে। গত তিন বছরে বিদ্যুতের কোন উৎপাদন বেড়েছে বলে আমরা জানি না, গ্যাসের সরবাহও বাড়েনি। অত্যাশ্যক পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। যোগানদারদের অভিযোগ চাঁদা দিতে হচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা চরমে নেমেছে। প্রশাসনের অযোগ্যতা আকাশ ছুঁয়েছে। আর প্রশাসনের রাজনৈতিকীকরণ? ওটা এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। আইনের শাসনের নতুন সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধীদের নিপীড়ন আজ আজ সাধারণ নিয়ম।
চাঁদাবাজি আজ সর্বব্যাপী। সরকারের মন্ত্রীরাও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির কথা কবুল করছেন। রাজনৈতিক গলাবাজি চরমোৎকর্ষ পেয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী পরস্পর বিরোধী উদ্দেশ্যে কর্মে নিয়োজিত। আর দেশের সীমান্ত প্রহরায় রয়েছে কেবল লাঠি হাতে করা শান্ত্রি মহোদয়েরা।
ভিআইপিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানই এখন রেওয়াজ। এভাবে যে অবস্থা চলছে তাতে শেকসপিয়ারের হ্যামলেটের কথাই মনে হয়ঃ সামথিং ইজ রটেন ইন দ্য স্টেট অব ডেনমার্ক।
ইনজের মতো সংশয়বাদীর মতে, জাতি বা রাষ্ট্র হলো এমন এক সমাজ যা তাদের পূর্বপুরুষ সম্পর্কিত অলীক বিভ্রান্তি ও প্রতিবেশীদের প্রতি অভিন্ন ঘৃণা ও বিদ্বেষের প্রেরণায় একত্রিত। আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতি লাগাতার চ্যালেঞ্জ আসছে। আমাদের জাতীয়তাবাদকে বারংবার লাঞ্ছিত করা হচ্ছে।
আমাদের মনে হয় এসব কারণে বাধ্য হয়ে আমরা জাতি সম্পর্কিত উল্লিখিত পরিতাপজনক ধারণাতেই পর্যবসিত হবো। ১৫ কোটি মানুষ এভাবে সংজ্ঞায়িত হবে এটা ঠিক নয়। এটা জাতীয় স্বার্থের অনুকূল নয়। আমরা স্বাধীন জনগোষ্ঠী হিসেবে জগৎসভায় মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই। আমরা আমাদের স্বার্থ সাহসিকতার সাথে রক্ষা করতে চাই কোন দুর বা নিকট প্রতিবশীর প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ না হয়ে।
বলতে চাই আমরা মুসলিম পরিচয়ে গৌরবান্বিত। আমাদের সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত হতে বা তাদের কাছে নতিস্বীকার করতে আমাদের কোনই ইচ্ছা নেই। আমরা আল্লাহ ও রাসুলের(দঃ) প্রতি বিশ্বাসী। আমরা আন্তর্জাতিক শান্তিতে অবদান রাখতে চাই তবে তা আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুণ্ণ করার মূল্যে নয়। আমরা অন্যান্য দেশের ভূখণ্ডগত সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তবে নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা ফেলে অন্যের সীমান্ত রক্ষা করার সাধ্য আমাদের নেই। আমরা গণতন্ত্র ও প্রতিনিধিত্বশীল সরকার ব্যবস্থার চর্চা করতে চাই। আমরা আন্তর্জাতিক সহায়তাকে স্বাগত জানাই। তবে আমাদের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের পণ রেখে যারা আসবে তাদের আমরা চাই না। তাদের আসতে দিতে পারি না।
আমরা বেশ ধৈর্য ও স্থৈর্য নিয়ে আমাদের ভাগ্য গড়ায় নিয়োজিত। সে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করার কোন অপচেষ্টা হলে আমরা রুখে দাঁড়াবো।
হতাশার বিরুদ্ধে ধৈর্য্যরে একটা সীমা আছে। আশার কথামালা স্বলপজীবী। সংস্কারের স্বকীয় সহিষ্ণুতার সীমা আছে।
গৌরব দীর্ঘস্থায়ী। জখম সেরে যায় এক সময়। তবে অবমাননা ও লাঞ্ছনার স্মৃতি থেকে যায়। তাই আমরা আমাদের হতাশাকে অবশ্যই মরিয়া হওয়ার পর্যায়ে নিয়ে যাব না, উচিতও নয়। কেননা মরিয়া হলেই হতাশা কাটানো যাবে এমন নয।
আমাদের পরিণত বুদ্ধি হোক কবি উইলিয়াম ব্লেকের কবতার এ কয়েকটি চরণে উজ্ঝীবিত : ‘এররস অব ওয়াইজ ম্যান মেকস ইউ রুল, রাদার দ্যান প্রেডিকশানস অব এ ফুল। ’
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
দৈনিক মানবজমিন
১১ ই অক্টোবর, ২০০৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।