সাপ-লুডু খেলছি বিধাতার সঙ্গে
কবিকে দুঃখ দিওনা নারী
দুঃখ দিলে স্বর্গের ফুলও পাথর হয়ে যায়,
লাল নীল সব প্রজাপতি, অজস্র বৃক্ষপত্র, পল্লবী
পৃথিবীর আলো-বাতাস থেকে অদৃশ্য হয় এক লহমায়।
কবিরা দুঃখ পেলে
সঙ্গমরত নারীর জরায়ু হয়ে যাবে হাঙ্গরের মুখ,
ঘরের টিনে বৃষ্টির বদলে ঝরবে বোমার সেল
লাইন বেঁধে যুবকেরা হবে মৃত্যুর জন্য উন্মুখ।
কবিরা দুঃখ পেলে
সূর্যের আলো আততায়ী হয়ে হানা দেবে ঘরে ঘরে,
দিনের সব বসতভূমি দখল করে নেবে গাঢ় অন্ধকার
সংসদ ভবন ভেঙ্গে পড়বে মাছরাঙ্গা পাখীদের ঠোকরে।
রাস্তায় রাস্তায় কারফিউ জারি হবে
কামান উঁচিয়ে জলপাই রঙের গাড়ি দেবে টহল,
মায়ের আচলের তলে থাকা শান্ত ছেলেটা দস্যু বনে যাবে
পতাকা উড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেবে সকল ছিটমহল।
কবিকে দুঃখ দিলে
অবিরল ঝর্ণাধারা ফের পাহাড়ের বুকে ঢুকে যাবে,
সুন্দরী তরুণীদের বুকে বাসা বাঁধবে মাকড়সার জাল
নারকীয় সব সৌন্দর্য ঘুন পোকার দল চেটে খা্বে।
এদেশের শিশুদের গুড়ো দুধের বদলে
বয়াম ভরে থাকবে গুলির বিষাক্ত কার্তুজ,
সমুদ্র তার নাব্যতা হারাবে, চর নিয়ে কাটাকটি হবে
সীমারেখা হারাবে সকল আয়তক্ষেত্র, বৃত্ত, চতুর্ভুজ।
রাস্তার টোকাই পলকেই শাহজাদা সেজে যাবে
অঙ্কের খাতায় জটিলতর হবে সকল সমীকরণ,
কনডমের খোসায় ভরে যাবে ডাস্টবিন, ড্রেন
স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে জন্ম নেবে মিশ্র ব্যকরণ।
দুঃখ পেলে কবি
মধ্যবিত্তের পাড়ায় ঢুকে দালালেরা নেবে বেশ্যার খোঁজ,
হাসের গায়ের সুশ্রী পালক খসে যাবে, বাঘেরা বিড়াল হবে
গতিপথ হারিয়ে নক্ষত্ররাজি ঘরে ঢুকে যাবে হররোজ।
মিঠাপানির মাছ ডাঙ্গায় আশ্রয় নেবে,
ছটপট করবে একা বিছানায় সদ্য বিবাহিত নারী,
অধিবেশন ছেড়ে স্পিকার শিশু পার্কে বসে থাকবেন
গুলশান, ধানমন্ডিতে মেলা বসাবে ভিক্ষুক, অনাহারী।
কবিকে দুঃখ দিলে
ভরা পূর্ণিমার রাতে মৃত্যুর জন্য উচাটন মন করবে হাসফাঁস,
মধ্যবয়সী পুরুষ ট্রামের তলে মাথা শুইয়ে দেবে
লোকে জানবে তার নামটি জীবনানন্দ দাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।