আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুগো শ্যাভেজ : অভিন্ন ল্যাটিনের স্বপ্নদ্রষ্টা

গৃহশ্রমে মজুরী হয়না বলে মেয়েগুলি শুধু

সাইমন বলিভার, হোসে মাতি এবং অর্নেস্টা চে গুয়েভারা- ল্যাটিন আমেরিকার তিন কিংবদন্তী। যারা এই মহাদেশের জনগণকে সাম্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকার স্বপ্নের সন্ধান দিয়েছিলেন। তন্মধ্যে সাইমন বলিভার অভিন্ন ল্যাটিন আমেরিকা গঠনের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের বৃত্ত থেকে তার সেই প্রচেষ্টা খুব বেশিদূর অগ্রসর হয়নি। পরবর্তীতে ল্যাটিন আমেরিকার সম্পদ লুণ্ঠনের ভয়াবহ ইতিহাস আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।

কিন্তু শোষণ এবং শ্রেণী থাকলে তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম থাকবেই। আর সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় '৯০ দশকের মধ্যভাগে হুগো শ্যাভেজের উত্থান। শ্যাভেজ, ভেনিজুয়েলার বর্তমান প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তার অর্থনৈতিক কর্মসূচী ইতোমধ্যে ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। বিশেষ করে ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় সম্পদ পেট্রোলিয়াম এবং এর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান পিডিভিএসএ'কে স্বায়ত্তশাসন প্রদানের মাধ্যমে তিনি সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী থেকে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও নয়া উপনিবেশের বলয় থেকে তেল সম্পদকে রক্ষার কারণে শোষিত মানুষ কর্তৃক সমাদৃত হয়েছেন।

শোষণের বলয় থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সাইমন বলিভারের দর্শন ল্যাটিন আমেরিকার দেশে দেশে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। নয়া উপনিবেশ বিরোধী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিউবার সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্কও তিনি নির্মাণ করেছেন। ইতোমধ্যে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস, নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওর্তেগা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভাকে তার মতাদর্শ অর্থাৎ অভিন্ন ল্যাটিন আমেরিকা নির্মাণের সমর্থকে পরিণত করেছেন। এইসব কারণে শ্যাভেজ আধুনিক সময়ে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের একজন মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তার এই পথচলা খুব একটা সহজ ছিল না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রতিনিয়ত হুমকী, অবৈধ অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টাসহ বিভিন্নভাবে তাকে উৎখাতের জন্য একাধিক ষড়যন্ত্রের পটভূমি নির্মিত হয়েছে। কিন্তু তার দূরদর্শিতা এবং বুদ্ধিমত্তার কারণে প্রতিবারই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে। সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে শ্যাভেজের কর্মজীবনের সূচনা। জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৫৪ সালের ২৮ জুলাই, ভেনিজুয়েলার বার্নিস অঞ্চলের সাবান্তিয়া শহরে। পিতা হুগো ডি লস রয়েজ শ্যাভেজ এবং মাতা এলেনা ফ্রেইস ডি শ্যাভেজ দুইজনই ছিলেন স্কুল শিক্ষক।

পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান শ্যাভেজের প্রাথমিক স্তরের পড়াশুনা শুরু হয় জুলিয়ান পিয়ানো স্কুলে। ১৭ বছর বয়সে হুগো শ্যাভেজ ভেনিজুয়েলার সমর বিজ্ঞান একাদেমীতে ভর্তি হন। সমর বিদ্যার উপর স্নাতক ডিগ্রী অর্জন সম্পন্ন করার পর ১৯৭৫ সালে সামরিক বাহিনীতে সাব লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন। অধ্যায়নের প্রতি তীব্র আগ্রহের কারণেই কয়েক মাস সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করার পরই আবার পড়াশুনায় যুক্ত হন। এবার ভর্তি হন কারাকাস সাইমন বলিভার বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিক্যাল সায়েন্সে ।

মূলত এই কলেজ জীবনে রাজনীতির প্রতি তার আগ্রহের সৃষ্টি হয়। তিনিসহ বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে অনেকটা বামপন্থী দর্শনের ন্যায় অভিন্ন ল্যাটিন আমেরিকার মতবাদ বলিভাররিয়ানইজম এর প্রতিষ্ঠা করেন। বলিভাররিয়ানইজম শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার বিখ্যাত নেতা সাইমন বলিভারের নাম থেকে। শ্যাভেজ নিজস্ব অর্থনৈতিক মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য সাইমন বলিভারের দর্শন, পেরুর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জোয়ান ভ্যালাস্কু, বিশ্ব বিখ্যাত বামপন্থী নেতা কার্ল মার্কস, ভ.ই লেনিন এবং চেগুয়েভারার মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। দর্শন, রাজনীতির ইত্যাদির পাশাপাশি এই সময় শ্যাভেজ খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত রাখেন ।

বেসবল এবং সফটবলে তার দক্ষতা ছিল জাতীয় পর্যায়ের। তিনি ১৯৬৯ সনে অনুষ্ঠিত ভেনিজুয়েলা জাতীয় বেসবল চ্যাম্পিয়নশীপে একজন কৃতি খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কবিতা, গল্প এবং নাটক রচনা করে সুনাম অর্জন করেন। পড়াশুনা শেষ করে শ্যাভেজ সক্রিয় মিলিটারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান করেন। জীবনের প্রথম ভাগে তিনি ভেনিজুয়েলার বার্নিশ অঞ্চলে কাউন্টার ইনসারজেন্সি ব্যাটেলিয়নের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৭ বছরের মিলিটারি জীবনে শ্যাভেজ বিভিন্ন পর্যায়ে কমান্ড এবং স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেলের পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন। এ সময় মিলিটারি সায়েন্স বিষয়ে শিক্ষকতা এবং লেকচ্যার প্রদানের মাধ্যমে সর্বপ্রথম আলোচনার পাদপ্রদীপে আসেন। শিক্ষকতার সময় তার বক্তব্য ভেনিজুয়েলার সরকার এবং অসম সামাজিক ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনায় ভরপুর ছিল। সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি ১৯৮৩ সালে বলিভারিয়ান বিপ্লবী আন্দোলন-২০০ প্রতিষ্ঠা করেন।

উত্থান পর্ব রাজনীতি বিষয়ক সমালোচনায় অনেক আগে থেকে শ্যাভেজ যুক্ত ছিলেন। ভেনিজুয়েলার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কার্লোস আন্দ্রেস পেরেজের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিনি ল্যাটিন আমেরিকার রাজনৈতিক মঞ্চের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। ভেনিজুয়েলার অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্বের উর্ধ্বসূচকের কারণে প্রেসিডেন্ট পেরেজের বিরুদ্ধে জন অসন্তুষ্টি ঐ প্রেক্ষাপটে চরম পর্যায়ে উঠে। সাধারণ মানুষের আবেগকে ধারণ করে শ্যাভেজ তার সংগঠন এমভিআর-২০০ এর মাধ্যমে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালায়। প্রায় ১০% ভেনিজুয়েলান সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ এবং সমর্থন তার সঙ্গে থাকার পরও অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়।

শাস্তি হিসেবে ভোগ করতে হয় দুই বছরের কারাদণ্ড। যাই হোক প্রেসিডেন্ট পেরেজ তারপরও বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এর এক বছর পরই সে ইমপিচমেন্টের শিকার হয়ে রাষ্ট্রপতির পদ হারান। জেল থেকে ১৯৯৪ সালে মুক্ত হয়ে শ্যাভেজ পুনরায় এমভিআর-২০০ পুনর্গঠনে উদ্যোগ শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮ সালে শ্যাভেজ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করে।

সেসময় তার অগ্নিতুল্য বক্তব্য এবং সামাজিক সংস্কারের অর্থনৈতিক কর্মসূচী নির্বাচনী এজেন্ডা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ৫৬% ভোটারের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে নিরস্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে শ্যাভেজ প্রথমবারের মত ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই সংবিধান সংশোধন করার জন্য শ্যাভেজ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ লক্ষে সাধারণ জনগণের সমর্থন আদায়ের জন্য ফেব্রুয়ারিতে গণভোটের আয়োজনও হয়। গণ মানুষের প্রয়োজনীয় সমর্থন পাওয়ার সংবিধানে ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন তিনি।

আবার এই সংস্কারকে বৈধতা দেয়ার জন্য ১৯৯৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুনরায় গণভোটে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত গণভোটেও সংশোধনী পাশের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন তিনি অর্জন করেন। নতুন সংবিধানে রাষ্ট্রপতির মেয়াদকাল ৫ বছরের স্থলে ৬ বছর এবং একজন রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ দুইবার মতায় আসীন হওয়ার বিধান রাখা হয়। দেশের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম 'রিপাবলিকা বলিভারিয়ানা ডি ভেনিজুয়েলা' রাখা হয়। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে এক কক্ষে পরিণত করেন তিনি।

হুগো শ্যাভেজ ইতোমধ্যে সারা পৃথিবীতে মুক্ত বাজারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ইরাক, আফগানিস্তানসহ পৃথিবীর দেশে দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার কারণে তার জনপ্রিয়তা ল্যাটিন আমেরিকা ছাড়িয়ে এখন বিশ্বব্যাপী। ইতোপূর্বে শ্যাভেজ খোদ যুক্তরাষ্ট্রে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশকে মদ্যপ দানব বলে আখ্যায়িত করেন। মুক্ত বাজার অর্থনীতি এবং উদারনীতিবাদের সমালোচক হিসেবে প্রায়োগিক উদাহরণ তার দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ইতোমধ্যে স্থাপন করেছেন। ২০০৩ সালে ভেনিজুয়েলা চরমভাবে মুদ্রাস্ফীতির স্বীকার হয়।

সেসময় খাদ্য পণ্যের দাম জনসাধারণের নাগালের বাইরে চলে যায়। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য ৪০০ প্রকার গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কঠোরভাবে রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কারণে খাদ্য ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে খাদ্য সংকট পরিস্থিতির উদ্ভব করে। বিপরীতে শ্যাভেজ খাদ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণের মাধ্যমে জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। তার বর্তমান শাসনামলে টেলিফোন, বিদুৎ, ইসপাত এবং স্টীল কালখানাসহ আরো বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ত্ব খাতে নিয়ে আসা হয়েছে।

তবে যে বিষয়টি ভেনিজুয়েলাকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করেছে, তা হলো ভেনিজুয়েলার পেট্রোলিয়াম নিয়ন্ত্রণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান পিডিভিএসএ'কে যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং তেল স্থাপনা বহুজাতিকের কবল থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত্বকরণ। নিজ ক্ষমতা রক্ষা এবং জাতীয়করণ কর্মসূচীকে অব্যাহত রাখতে গিয়ে শ্যাভেজের পথ খুব একটা কন্টকমুক্ত ছিল না। ২০০২ সালে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার স্বল্পকালীন পরেই কৌশলী বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় পুনরায় আরোহণ করেন। এর কয়েক মাস পরেই তার ক্ষমতার ভিতকে দুর্বল করে দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পিডিভিএসএর'র কর্মকর্তাদের একটা অংশ তেল সেক্টরে দুই মাস ব্যাপী ধর্মঘট পরিচালনা করে।

ভেনিজুয়েলার প্রধান অর্থনৈতিক কাঠামো তেল সেক্টরে অরাজকতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করাই ছিল ধর্মঘটকারীদের লক্ষ। যাই হোক এই দফায়ও তার বিরুদ্ধে খুব বেশি কিছু করা যায়নি। সর্বশেষ তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ২০০৪ সালে গণভোটের আহবান করা হয়। কিন্তু বিপুল জনপ্রিয়তা এবং জনগণের আস্থার কারণে এই দফায়ও শ্যাভেজ বিরোধীরা সফল হয় নি। বিভিন্নভাবে একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে শ্যাভেজ বিরোধী এই সব কর্মকাণ্ডকে সুনিপুণভাবে পরিচালনা করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ, সমগ্র ল্যাটিন আমেরিকায় বালভারিয়ানইজম সমর্থকদের ক্রমাগত শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টির কারণে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব তাদের বাজার হারাতে বসেছে। ২০০৬ সালের ৩ ডিসেম্বর শ্যাভেজ দ্বিতীয়বারের মত ৬৩% ভোটারের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। জাতীয় সম্পদকে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে একটা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি স্বল্প সময়ে কিভাবে আসতে পারে তার নিদর্শন শ্যাভেজ ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছেন। যাইহোক ৯০পরবর্তী সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব উল্লাসে মেতে উঠেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল পুরো বিশ্ব ব্যবস্থা এখন থেকে শাশ্বতকাল ব্যাপী তাদেরই করায়ত্তে থাকবে।

কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসতে খুব বেশিদিন সময় লাগেনি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশসহ দেশে দেশে বহুজাতিকের বিরুদ্ধে সম্পদ রক্ষার আন্দোলন ক্রমাগত জোরদার হচ্ছে। আর এই সম্পদ রা আন্দোলন কর্মসূচীকে নিঃসন্দেহে শ্যাভেজের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ভূমিকা উত্তরোত্তর অনুপ্রাণিত করবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.