আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেবো না ভুলিতে - E-mail ID: aznabi_aznabi@yahoo.com
কান চুলকানো মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যার কান চুলকানি হয় না। এই কানচুলকানির জন্য মানব সম্প্রদায় বেছে নেয় বিভিন্ন রকম দ্রব্য, যেমন: কটনবাড, গামছা, হাতের আঙ্গুল, দিয়াশলাইকাঠি, তুলা ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। অনেকে আবার কান চুলকানিকে পেশা হিসেবে নেয়, অন্য মানুষের কান চুলকে দিয়ে অর্থ উপার্যন করে। যাদেরকে বিভিন্ন হাটবাজার, ফেরীঘাট, লঞ্চঘাট, বাসষ্ট্যান্ডে দেখায়।
তবে যেসব প্রাণির মানুষের মত হাত বা আঙ্গুল নেই তারা কিভাবে কান চুলকায় তা আমার কাছে একটি অজানা রহস্য।
আমি যখন ক্লাস ফাইভ এর ছাত্র, তখন কটনবাড ছিল না, একদিন রাতে পড়ার টেবিলে বসে দিয়াশলাই এর কাঠিতে তুলা পেচিয়ে কান চুলকানোর সময় হঠাৎ তুলা কাঠি থেকে খুলে কানের মধ্যে রয়ে গেল। মহাবিপদ আমিতো ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিলাম। বাসার সবাই জড়ো হল। একেকজনের একেক রকম বুদ্ধি।
আব্বা সবাইকে থামিয়ে দিলেন। আমাকে বললেন চুপচাপ শুয়ে থাকতে, কানের মধ্যে আর অন্যকিছু দিয়ে তুলা বের করার চেষ্টা না করতে। পরেরদিন সকালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে তুলা বের করে আনবেন। আমিতো ভয়ে অস্থির, আর ঘুম আসে না, কানের মধ্যে শো শো শব্দ, কখন ঘুমিয়ে পড়লাম টের পাইনি। পরদিন সকালে আমাকে নিয়ে আব্বা হাসপাতালে গেলেন।
হাসপাতালের এক পরিচিত কম্পাউন্ডার শুনে বললেন, ভয় পাবার কিছু নেই, খুব সহজেই বের হয়ে যাবে। আমাকে একটা চেয়ারে বসালেন, আমিতো ভয়ে কাঠ। দেখি মস্তবড় একটি স্টীলের সিরিঞ্জ বের করলেন, একটি বাটিতে পানি নিয়ে তাতে কি যেন মিশালেন, আমিতো ভয়ে শেষ। সিরিঞ্জে পানি ভরে আমার দিকে এগিয়ে এলেন, তখন আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হবার অবস্থা। সিরিঞ্জার মাথাটা কানের মধ্য গলিয়ে উপর থেকে চাপদিয়ে পুরোকান পানিতে ভরে ফেললেন।
তারপর আবার টেনে সবটুকু পানি বের করে আনলেন, সে পানি আবার বাটিতে ঢাললেন। তখন দেখি তুলার টুকরোটি টিকটিকির ডিমের মত পানিতে ভাসছে। আমি বেঁচে গেলাম, জনমের তরে বেঁচে গেলাম।
এরপর থেকে আমি এখন পর্যন্ত নির্ভয়ে কান চুলকাই। আমার খুব সখ একটি ১০০ ডলারের নোট মুড়িয়ে কান চুলকানোর, এফবিআইর নজরে পরার ভয়ে তা আজ পর্যন্ত সফল হয়নি।
তবে মানুষকে বুদ্ধি দেই ডলার, পাউন্ড, ইউরো দিয়ে আরামদায়ক কান চুলকানোর জন্য। আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন, তবে সাবধান "বাঘের লেজ দিয়ে কেউ কান চুলকাবেন না। " - কোন ডাক্তারের বুদ্ধিতেও না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।