আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লালন শাহ বটতলা মধুপূর্ণিমা সাধুসঙ্গ এবার সাঁইজির গানের আসর বসবে ৫ ও ৬ অক্টোবর...

আমি নির্বাক হয়ে গেলে তোমার পতন অনিবার্য !

‘এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে / যেদিন হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-জাতি-গোত্র নাহি রবে। ’ ফকির লালন সাঁইয়ের ভাব-দর্শন ও গান নিয়ে আবারও সাধুসঙ্গ হতে যাচ্ছে মুন্সীগঞ্জে। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো আসর বসছে। এবারের অন্যতম আকর্ষণ পশ্চিমবঙ্গের সাধুগুরু পূর্ণদাশ বাউল। এছাড়া কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের লালন অনুরাগী বাউলরা তো থাকবেনই।

আমি লালনের গান ভালবাসি। ঠিক কবে তাঁর গানের সঙ্গে আমার যোগসূত্র হয়েছে ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে একেবারে ছোটবেলা থেকেই তাঁর গানের প্রতি আমার প্রবল ঝোঁক ছিল। তখন সাঁইজির গান শুনতাম মুগ্ধ হয়ে তবে গানের কথা ততটা বুঝতে পারিনি হয়তোবা বয়সের কারণেই। তারপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন শিল্পীর গলায় তাঁর গান শুনতে শুনতে আমি গানের ভেতরে ঢুকে গেছি ঠিক আমার মতো করে।

কতটা পেরেছি জানি না। সাঁইজির গানের সঙ্গে আমার যোগসূত্র আরও বেশি হয়েছে বাংলা ব্যান্ডের গান শুনে। অনেকেই হয়তো বলতে পারেন আনুশেহ্ কিংবা তাঁর দল কিংবা অর্ণবরা লালনের গানের সাড়ে সর্বনাশ করেছেন সুর লয়ের পরিবর্তন করে। এ বিষয়ে আমার কোনও মতামত নেই। আমি মনে করি আনুশেহ্র কল্যাণে যে আমি লালনের গানের এতটুকু মর্ম উপলব্ধি করেছি সেটাই আমার কাছে বড় বিষয়।

লালনের গানের একজন ভক্ত পাগল হলেও এখন পর্যন্ত আমি কুষ্টিয়া যেতে পারিনি। নাগরিক ব্যস্ততার কারণে লালনের আখড়ায় আমার যাওয়া হয়ে ওঠেনি। যেতে চাই। হয়তো একদিন যাবো সাঁইজির কাছে। প্রথমবার যেবার মুন্সিগঞ্জের মাতবরবাড়ি গেলাম সেবারের অভিজ্ঞতাটা একটু অন্যরকম।

আমরা একসঙ্গে ১৫ জনের একটি দল গিয়েছিলাম সেবার। রওয়ানা দিতে দিতে আমাদের রাত ১২টা বেজে গিয়েছিল। সদরঘাট থেকে একটি ট্রলার ভাড়া করে ট্রলারে গিয়েছিলাম। কিন্তু ট্রলার চালক পথ ভুল করে গন্তব্য পর্যন্ত পৌছাতে পৌছাতে বেজে যায় ভোর পাঁচটা। ততক্ষণে আসর শেষ।

আমরা ভীষণ মর্মাহত। শেষে আমাদের অনুরোধে তিন/চার জন বাউল তিন/চারটি গান গেয়ে শোনান। তারপর ভোরে মাতবড় বাড়ির মাঠে একটা ফুটবল নিয়ে এল একজন। আমরা সাত সকালে ফুটবল খেললাম। মাতবর বাড়ির ছোট্ট বাজারে সকালে মাছের নিলাম বসে।

সেখান থেকে অনেকেই মাছ কিনল বাসার জন্য। আর সবাই মিলে কিছু চাল আর মাছ কিনে রান্না করতে দেওয়া হয়েছিল এক হোটেল মালিকের বাড়িতে। এদিকে খেলা শেষে আমরা নদীতে গোসল ও বিলে শাপলা তুলেছিলাম। তারপর সকালে গরম ভাত আর মাছের তরকারি অনেক মজা করে খেয়ে শেষে আবার ঢাকায় ফিরেছি। পরের দুবার আর গান মিস হয়নি।

রাতভর গানের তালে মত্ত ছিলাম। এবারও যাচ্ছি। যারা যেতে চান তাদের বলছি। গুলিস্তান থেকে সিরাজদিখানের ডাইরেক্ট বাস পাওয়া যায়। সেই বাসে সিরাজদিখান নেমে ঘাটে গিয়ে ট্রলারওয়ালাদের বললেই হবে যাবো দোসরাপাড়া, মাতবড়বাড়ি।

সবমিলিয়ে যাওয়া আসার ভাড়া লাগবে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কেউ আমাদের সঙ্গে যেতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে ০১৭১৭ ০৪৮৬৪৩

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.