আল বিদা
এই বছরের প্রথম দিনে মধ্য প্রহরে নতুন বছরের নতুন সরকার নিয়ে কিছু কথা বলেছিলাম (Click This Link)। আমার সন্দেহের কথা বলেছিলাম। আমার মনে সন্দেহ ছিল এই সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে কি না। অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত পোষন করেছিলেন। আমিও খুশি হব যদি আমার সন্দেহ অমূলক হয়।
সরকারের মাত্র ৯ মাস গিয়েছে। তাতে কোন কিছু এখনই বলা যায় না। সামনে তো আরও লম্বা সময় আছে। আশি করি আমাদের আশা পূরন করবে এই সরকার।
তার পরের মাসেই ২৫ ফেব্রুয়ারী ঘটে গেল বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম জঘন্যতম ঘটনা।
বিডিআর বিদ্রোহে নিহত হল বীর সেনারা। আর এই ঘটনার জের ধরে চাকরী ছেড়ে দিয়েছে বা ছাড়তে হয়েছে এমন আরও অনেক আর্মি অফিসারদের। আর্মির উপরের দিকের পদে বিরাজ করছে এক বিশাল শূন্যতা। যখন এই ঘটনা ঘটেছিল তখন ভাবতাম এই ঘটনা সরকার না ঘটালেও সরকার কিছুতেই এর দায় থেকে সরে আসতে পারে না। পরে অবশ্য কিছু রিপোর্ট যা আমরা পত্রিকায় পড়লাম তাতে দেখা যায় সরকারের কিছু উচ্চ পর্যায়ের লোকজন কিছু খবর তো আগেই জানতে পেরেছিল।
আমি আবারও তাই সন্দিহান এই সরকার বিডিআর বিদ্রোহের বিচার করবে কিনা।
অনেকেই বলেন বিডিআর বিদ্রোহ ছিল বিদেশী বিশেষ করে ভারতীয় চরের কাজ। তারা বিডিআরকে ধ্বংষ করতে এমন কূট কৌশল নিয়েছিল। এর সত্যি মিথ্যা তো আর জানি না। তবে ধ্বংষের বাকি কাজ আমরাই করে দিলাম।
বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে আমরাই কি বিডিআরকে চিরতরে শেষ করে দিচ্ছি না? বিডিআরের যদি কোন শত্রু থাকে তারা কি এই চাইত না? বিডিআরের যে কোন মানসিকতা কি পোষাক বদলালেই চলে যাবে? বিডিআর বিদ্রোহ করেছে তা অবশ্যই ঘৃন্য, তবুও সীমান্তের নিরাপত্তার কাজ তারা বহুদিন করে আসছে। এমনকি ভারতের মত শক্তিশালী বিএসএফ বাহিনীকে যেভাবে মোকাবিলা করে তা সত্যিই প্রশংসার। আমাদের নিশ্চয়ই রৌমারীর কথা মনে আছে। এই সরকার বিডিআর বিদ্রোহ বিচারের নামে বিডিআর-কে ধ্বংশ করে দিচ্ছে।
আশা করি এই সরকার অযথা ইস্যু বানিয়ে রাজনীতি না করে এসব হত্যাকান্ডের বিচার করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।