প্রজন্মের গণজাগরনের অন্যতম ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে (৩৫) নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাতে মিরপুরের পলাশ নগরের তার বাড়ির সামনে তাকে উপযুপরি কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখে। নিহত রাজিব একজন স্থপতি প্রকৌশলী ও ব্লগার একটিভিস্ট আন্দোলনের সক্রিয়কর্মী এবং ইমরানের ঘনিষ্ট বন্ধু। রাজিব গত ১০ দিন যাবৎ শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনে সার্বিক অংশগ্রহণ এবং স্লোগান দিয়েছেন। পুলিশ ও নিহতের পরিবার বলছে, জামায়াত শিবির কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে।
এদিকে এঘটনার পর শাহবাগে প্রজন্মের মঞ্চে ব্লগাররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ ব্যাপারে ব্লগাররা রাতেই বিস্তারিত কর্মসূচী ঘোষনা করে। তাদের ঘোষনা অনুযায়ী শাহবাগে প্রজন্মের আন্দোলন লাগাতার চলবে।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, গতকাল রাত পৌনে ৯ টার দিকে মিরপুর বাউনিয়া বাঁধ সংলগ্ন পলাশ নগরে কালো মুখোশ পড়া কয়েকজন যুবক এক পথচারীকে (রাজিব) ঘিরে ধরে। এরপর তারা রাজিবকে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে।
রাজিব পালানোর চেষ্টা করলে মুখোশ পড়া দুইজন তাকে দৌড়ে ধরে আবার এলোপাতারি কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর রাজিবের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়লে দুবৃত্তরা তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পৃথক করা চেষ্টা করে। এরই মধ্যে আশপাশের লোকজন চিৎকার করলে দুবৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার লাশ উদ্ধার করে এবং প্রত্যক্ষদশীদের কাছে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত দেশের পাশ থেকে একটি ল্যাপটপ, চশমা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে শাহবাগে উপস্থিত কয়েকজন ব্লগাররা জানিয়েছেন, রাজিব বাসা থেকে খাওয়া দাওয়া করে আন্দোলনের জন্য শাহবাগ মোড়ে আসে। এরপর ঘন্টাখানিক পর তার মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসে। ওই ফোনের পর রাজিব বাসার দিকে রওনা দেয়। ব্লগাররা ধারনা করছে রাজিবকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের মামা খুররম হায়দার ইত্তেফাককে জানান, রাজিব গতকাল তিনটার দিকে শাহবাগ থেকে বাসায় আসেন।
এরপর সে ল্যাপটপে বসে ব্লগিং করে। এরপর বিকাল ৪ টায় আবার শাহবাগ ফিরে যায়। শাহবাগ থেকে রাত ৮ টার দিকে বাসায় ফিরে আসলে। দুবৃত্তরা বাসার সামনে তাকে ঘিরে ধরে চাপাতি দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর আশপাশের লোকজন ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং স্থানীয়দের কাছে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তিনি বলেন, জামায়াত শিবির এবং যুদ্ধাপরাধিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন করায় জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা তাকে হত্যা করেছে।
জানা গেছে, তার বাবার নাম ডা. নাজিম উদ্দিন। মায়ের নাম নারগীছ আক্তার।
মা নারগিছ আকাতার কাপাসিয়া থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদিকা। তার বাবা মা কাপাসিয়া থাকেন। তবে রাজিবের ছোটভাই নোবেল এবং রাজিব মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের ৫৬ নম্বর পলাশ নগর বাড়িতে থাকেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।