বড়াইগ্রাম(নাটোর) উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা করা হবে। বেশী করে নিমগাছ লাগান, আপনার পরিবেশ ভাল থাকবে।
কি কলি যুগ রে বাবা! ঘোর কলিযুগ! কাকের মাংস কাক খাওয়া শুরু করেছে।
ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাই নিরাপদ নয় নিজ দলের কাছে। তাদের আধিপত্যবাদ আর প্রতিহিংসার কাছে।
১৯৭৫ সাল পরবর্তী সর্ব প্রথম এই অঞ্চলে নিজ দলের লোকদের দ্বারা একজন নিহত হলো। এর আগে ১৯৭২-১৯৭৫ সালে এধরণের হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে দেখা গেছে।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার উপলশহরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত আছরফ আলী (৩২) গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১০.৩০টায় বড়াইগ্রাম উপজেলার উপলশহর কিলিকমোড় নামক স্থানে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নুরু ডাক্তার এবং মান্নান মেম্বার গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে নুরু ডাক্তার (৩২), নজিরউদ্দিন (৪৮), খবিরউদ্দিন (৩৮), রমজান (৪০), আঞ্জন আলী (২৫), রশিদ (২০), জনাব (৪০), সাদ্দাম (৩২), তৌহিদ (১৮), কালাম (৪৫) সহ অন্যান্যদের বড়াইগ্রাম হাসপাতালে এবং আছরফ আলী (৩২) কে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ৯ দিন পর গতকাল তার মৃত্যু হয়। নিহত আছরফ আলী নুরু গ্রুপের আফসার আলীর পুত্র। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পই বড়াইগ্রাম থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করলেও এ পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।
আছরফ আলীর মৃত্যুর খবর জানার পর এলাকায় পুনরায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু কোথাও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।