আমরা স্বাধীন হয়েছি ৩৮ বছর। এদেশে ফর্মালিনের ব্যবহার কবে থেকে শুরু হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে বর্তমানে যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় ফর্মালিন ব্যবহার হয় না এমন কোন খাদ্যের নাম বলুন। তাহলে হয়তো অনেক সময় লাগবে সেরকম একটি খাদ্যের নাম বলতে।
কিছুক্ষণ আগে আমার এক বন্ধু সুদূর পটুয়াখালী থেকে ফোন করে বললেন যারা খাদ্যে ফর্মালিন মিশায় তাদের সঙ্গে অস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যাকারীদের কোন পার্থক্য আছে কী।
আমি বললাম না। সে বললো যারা অস্ত্র দিয়ে মানুষ মারে তারাতো একজনকে হত্যা করে। আর যারা খাবারে ফর্মালিন মিশায় তারাতো পুরো জাতিকে হত্যা করছে। তাদের কী বিচার হওয়া উচিত? বললাম তাদের প্রকাশ্যে হত্যা করা উচিত।
কিন্তু আমরাতো সেরকম কোন ব্যবস্থা বিগত দিনে দেখিনি।
ফর্মালিন যারা মিশায় তাদের বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে কী ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা আছে কেউ জানলে আওয়াজ দিয়েন।
এখন আসুন দেখি আমরা এর প্রতিরোধ কিভাবে করতে পারি। আমরা যারা ব্লগে আছি তাদের সংখ্যা কিন্তু কম না। গতকাল রেডিওতো শুনলাম সামুর সদস্য সংখ্যা বিশ হাজার। আমার মনে হয় এই বিশ হাজারের বেশীর ভাগই ঢাকায় বাস করি।
আমরা ঢাকায় বাস করি আর না করি, ফর্মালিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে সমস্যা নাই। আমাদের শপথ নিতে হবে, যেখানেই ফর্মালিন সেখানেই প্রতিরোধ। আর এই ফর্মালিন নিয়ে যে আন্দোলিন সংগ্রাম হয়নি তা কিন্তু না। তারপরও কেন এর ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না। এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।
ফর্মালিন কোথা থেকে কেন কিভাবে আমদানি হয় তাও খুঁজতে হবে। আমি যতদূর জানি মেডিকেলে ব্যবহারের জন্য ফর্মালিন আনা হয়। তাহলে সেটা পুই শাগ ব্যবসায়ীর হাতে কিভাবে যায়?
সব ধরনের ফল, শাগ সবজি, মাছ, মাংস এমন কোন খাবার নেই যাতে এখন ফর্মালিন নেই। কিন্তু কেন এই মরণঘাতি কেমিকেল ব্যবহার হচ্ছে? যারা ব্যবহার করছে তারা কী মানুষ না? তারা কী জানে না এটা ব্যবহার করলে মানুষের জীবনের ক্ষতি হয়। শিশুদের ক্ষতি হয়।
মায়ের পেটে যারা আছে তারা পঙ্গুত্ব নিয়ে জন্ম নেয়। আমরা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আসুন ব্লগার ভাইয়েরা আমরা ফর্মালিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমার ভাই, বন্ধু বান্ধব, আত্মিয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী যিনিই ফর্মালিন ব্যবহার করবে তাকে আমরা এর কুফল সম্পর্কে বুঝাই। তারপরও না বুঝলে আইনের হাতে তাকে তুলে দেই।
সরকারের কর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারাওতো ফর্মালিন মিশ্রিত খাবার খাচ্ছেন। এসি বাড়ী এসি গাড়ীতে চড়লেও ফর্মালিনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। তাই এই ফর্মালিন কোথা থেকে কিভাবে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে যাচ্ছে তার মূল উৎপাটন করুন। তা নাহলে এ জাতি ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়বে। আপনারাও এর বাইরে নন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।