আমি তরুণ। নিয়ম মানতে ভাল লাগেনা...
বালি! কেমন আছিস? আমি ভালো, তুই? খুব সমস্যায় আছি। ও বল্লো। আমিও লক্ষ্য করলাম, ওর মুখটা কেমন শুকনো শুকনো দেখাচ্ছে। কি যেন বলতে চাচ্ছে ও।
লজ্জায় ইতস্তবোধ করছে। কিরে! কিছু বলবি? ও’’ আমার দু’টি হাত ধরে নিচদিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো “দোস্ত! আমার কিছু টাকার খুবই প্রয়োজন” আ’’ কত? ও’’ এই হাজার পাঁচ হলেই হবে। আ’’ কবে লাগবে? ও’’ আগামীকাল হলেও হবে। আ’’ আচ্ছা যা, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ও’’ তুই কোন চিন্তা করিসনা, আগামী মাসের ৫তারিখের ভিতরে আমি তোর টাকা পরিশোধ করে দিবো।
হ্যালো দোস্ত! কেমন আছিস? ও’’ ভালো। ভেবেছিলাম হয়ত ও বলবে “তুই আছিস কেমন?” তবে ও তা করলোনা। পূনরায় বল্লাম দোস্ত! আজতো ৮তারিখ। ও’’ তো কি হয়েছে? না মানে আমার টাকাটা .... ও’’ আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম তোর টাকার কথা। বেতান পেয়ে সব টাকা খরচ করে ফেলেছি।
তুই ভাবিসনা, আগামী মাসে আমি অবশ্যই তোর টাকাটা দিয়ে দিবো।
এভাবে নানান ভঙ্গিমায় নানান অজুহাতে কেটে গেল ৫টি মাস। ভাবলাম এবার ওর সাথে মোবাইলে নয়, সরাসরি কথা বলতে হবে, তবে যদি কিছু হয়। যত যাইহোক মন বলছিলো, ও আমায় নিরাশ করবেনা। ওর বাসায় গেলাম।
বড় সাধ ছিল, হয়ত এখনি ও আসবে ছুটে আর আমায় জড়িয়ে ধরে বলবে; কিরে কেমন আছিস? তবে আমার আশা, আশাই রয়ে গেল। অনেকটা পথ হাটলাম এক সঙ্গে। দু’জন হাটছি পাশাপাশি। অথচ মনে হচ্ছে মাঝে বিশাল একটি দেয়াল দাড়িয়ে আছে। আচ্ছা, কেন হয় এমন? একটা সময় ছিল, ওকে ফোন দিলে ও কেটে দিয়ে ব্যাক করত।
আর বলতো তুই আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। তোকে আমি কোনদিনও পারবোনা ভুলে যেতে।
এই মুহুর্তে নিজেকে বড় অসহায় ও অপরাধূ মনে হচ্ছে। আরবি প্রবাদটা মনে পড়ে গেল “আল কারযু মিকরাযুল মুহাব্বাত” অর্থাৎ ঋন ভালবাসার ক্ষেত্রে কাঁচি স্বরুপ” কি ভুলটাইনা করেছি ওকে টাকা দিয়ে। ও যদি বলতো আমি তোর টাকা দিতে পারবোনা।
তবুও নিজেকে শান্তনা দিতে পারতাম। এভাবে ও পারলো আমায় ঘুড়াতে। খুব কান্না পাচ্ছে.......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।