আমি সবার সাথে আছি .............
নিজস্ব প্রতিবেদক : উপ-মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহর ইমাম মনোনয়ন নিয়ে কিশোরগঞ্জে তীব্র ক্ষোভ ও অসস্তোষ দেখা দিয়েছে। ২০০৫ সালের ১৯ আগস্ট দেশের আলোচিত সিরিজ বোমা হামালা ঘটনায় গ্রেপ্তার ইসলাহুল মুসলেমীন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে এ মাঠের ইমাম মনোনীত করার সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় ২০০৫ সালের ২২ আগষ্ট লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রার প্রাক্কালে জঙ্গি কানেকশনের অভিযোগে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বিপুল সমালোচিত ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ বাংলাদেশ নামের বিদেশী সাহায্যপুষ্ট বেসরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একাংশের মহা-সচিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে ইমাম মনোনীত করা হয়। অপর দিকে শুধুমাত্র বিএনপি নেতার ভাই হওয়ায় বর্তমান ইমাম মাও. ছাইফুলৱাহকে ইমামের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানটিতে প্রতি বছর তিন লাখেরও বেশি দেশী-বিদেশী ধর্মপ্রাণ মুসলমান ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে থাকেন।
প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া এ ঈদগাহের জামাতকে ফলাও করে প্রচার করে থাকে। বিশেষ করে চ্যানেল আই নামের টিভি চ্যানেল গত পাঁচ বছর যাবৎ এ ঈদের জামাত সরাসরি (লাইভ) সমপ্রচার করে আসছে। ১৯৬৮ সালের দিক থেকে শহরের হয়বত নগর আলীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আবুল খায়ের মোহাম্মদ নূরুল্লাহ ২০০২ সাল পর্যন্ত এ ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানের খতিবের দায়িত্বপালন করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ২০০৪ সাল থেকে তাঁর পুত্র মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ ঈদগাহ ময়দানের খতিবের দায়িত্বপালন করে আসছেন। কিন্তু; বর্তমান খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহকে কোন প্রকার নোটিশ প্রদান ব্যতিরেখে এমনকি কোন কারণ ছাড়াই গত বুধবার জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় তাকে বাদ দিয়ে এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য ঢাকায় স্থায়ীভাবে অবস্থানকারী পার্শ্ববর্তী তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের ঈশাপসর গ্রামের মরহুম মাওলানা আবদুর রশিদের পুত্র মাওলানা ফরিদ উদ্দিন খান মাসুদকে খতিব মনোনীত করা হয়।
উপরন্তু; ২০০৪ সাল থেকে খতিবের দায়িত্বপালনকারী মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহকে এ ব্যাপারে কোন পত্র প্রদান করা হয়নি। জানা গেছে, মাওলানা আবুল খায়ের মো. ছাইফুলৱাহ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওয়ালী উলৱাহ রাব্বানীর ছোট ভাই। তাই শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে তাকে ইমামের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতা সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও মো. মাহমুদ পারভেজ জানান, কোন কারণ ব্যতিরেকে খতিব পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্ত আমরা কোন অবস্থাতেই মানবো না। এ সিদ্ধান্ত অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।
তারা আরও জানান, এ সভায় খতিব পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। খতিব পরিবর্তনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট এবং স্থানীয় সাংসদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মতামত নেয়ার প্রয়োজন আছে বলে প্রশাসন মনে করেনি। এটি খুবই দু:খজনক ও লজ্জাজনক ঘটনা। এ ব্যাপারে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. শাহ কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বুধবারের সভার সিদ্ধান্তের ব্যাপারটিকে এড়িয়ে গিয়ে জানান, আমি কিশোরগঞ্জবাসীর বাইরে নই। সেহেতু কিশোরগঞ্জবাসীর মতামতই হবে আমার মতামত।
তাদের মতামতই বাস্তবায়ন করা দায়িত্ব বলে মনে করি।
http://www.narsunda.co.cc/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।