আব্বা-আম্মা ঘুমাচ্ছে বাসের সীটে হেলান দিয়ে। আমি জানলা দিয়ে তাকিয়ে আছি বাইরের দিকে। জীবনে প্রথম পাহাড়ের চূড়া দেখার অনুভূতি কেমন তা দেখার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। হঠৎ চোখের নাগালে পাহাড়ের চূড়া ধরা পড়ল, আমি আব্বাকে আস্তে করে ডেকে তুললাম, ঘুমের ঘোরে থাকায় চোখ লাল হয়ে গেছে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকানোর জন্য ইশারা করলাম।
যদিও সন্ধা নেমে এসেছে বাইরে বেশ অন্ধকার তবুও পাহাড়ের অবয়ব বেশ পরিষ্কারই দেখাচ্ছিল। আব্বা তড়াক করে লাফ দিয়ে উঠলেন, প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেলেন। বুঝতে পারলেন ওটা পহাড় তাই আম্মাকেও ডেকে আঙ্গুল দিয়ে দেখার জন্য ইশারা করলেন। বেশ উৎফুল্ল দেখাচ্ছে আব্বাকে, অবাক হয়ে দেখছে ছোট ছোট টিলাগুলো, যা কিনা ক্রমেই উঁচু হয়ে গাঁয়ের সাথে গাঁ লাগিয়ে চলে গেছে টেকনাফ পর্যন্ত। ছোট ভাইয়াও বেশ উপভোগ করছে তবে বাধ সেধেছে বাইরের ঘন অন্ধকার।
আপাতত এতটুক মজাই যথেষ্ট আমার জন্য।
আব্বা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বাইরে, বাধ সেধেছে ঘন অন্ধকার। মিরেরসরাই পার হয়ে গেলাম সাঁই করে। ভাটিয়ারী অতিক্রম করার সময় চোখে পড়ল পুরাতন জাহাজের ফ্রিজ, টেলিভিশন, জেনারেটর, ইঞ্জিন, মোটা শিকল, তেলের ড্রাম, লাইফ বোট সহ হরেক রকম আসবাবপত্রের সারি সারি দোকান। রাত নয়টার মধ্যে পৌঁেছ গেলাম পাক্কা রাস্তার মাথা।
চলবে.......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।