বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
দেখতে দেখতে রোজার মাঝামাঝি চলে আসলাম। ইফতারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি সারাদিন। চিন্তা করি আজ ইফতারীতে কি খাবো। এইটা খাবো, ঐটা খাবো।
ইফতারের পর ওমুক, তমুক অনেক কিছুই খাবো। কত প্ল্যান, আর কত কি? কাজের কাজ কিছুই হয় না। কারণ ইফতারীর পর সব প্ল্যান ভেস্তে যায়। আর কিছুই খেতে ইচ্ছা হয় না।
যাই ইফতারের একটা সাধারণ উপদান হলো মিষ্টি।
আর আমরা সবাই সাধারণত মিষ্টি বলতে "জিলাপী" আইটেমটা রাখার চেষ্টা করি সব শ্রেণীর মানুষই। ধনী থেকে গরীব আমরা সবাই এটা খেয়ে থাকি ইফতারীতে। সেই হিসেবে এটা কমন। কিন্তু এই জিলাপীর আছে হরেক রকম চেহারা আর ঢং। আসুন আজকে কিছু জিলাপীর সাথে পরিচিত হই।
এই প্যাঁচের উপরই নির্ভর করে, তার স্বাদ আর আভিজাত্য। আমরা গরীব তাই কম প্যাঁচ , আর যারা অভিজাত তাদের জন্য রয়েছে শাহী ব্যাপার-স্যাপার।
অমনযোগী/নতুন কারিগর দ্বারা বানানো জিলাপী (বিক্রির জন্য নহে)
শাহী জিলাপী (দেখতেই বড়ো তবে কোন স্বাদ নেই )
ছানার জিলাপী (স্বাদে অতুলনীয়) লা-জবাব
সম্পূর্ণ রঙিন (স্বাদের চেয়ে রূপটাই বেশী, অনেকটা রূপবানের মত)
সাধারণ জিলাপী, জনসাধাননের জন্য
স্প্রিং জিলাপী, খুবই কম পাওয়া যায়, কিন্তু অভিজাত পাড়ায় মাঝে মাঝে দেখা যায়)
জামাইভোগ, (এটা সাধারণত পাওয়া যায় না, তবে আগে স্পেশাল ওর্ডার দিতে হয়) [শ্বশুড় এই জিলাপী জামাইকে খাওয়ায়]
জামাইভোগ জিলাপীর উল্টোদিক, [জামাইকে আপ্যায়ন করতে শ্বশুড়ের পকেটের বারোটা বাজে তাই এই জামাই ভোগ জিলাপীর উপরটা যত সুন্দর, নীচটা শ্বশুড়ের পকেটের মত, গড়ের মাঠ]
এখন আপনারাই বলেন কোন জিলাপী আপনারা খেতে চান বা খান? মনে রাখবেন এসব জিনিস কম খাওয়াই ভালো।
লোভ করবেন না, লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।