কোন একদিন.. এদেশের আকাশে... কালেমার পতাকা দুলবে, সেদিন সবাই ... খোদায়ী বিধান পেয়ে দু:খ বেদনা ভুলবে..
বাংলাদেশ একটা গনতান্ত্রিক দেশ। এদেশের প্রত্যেক মানুষের অধিকার রয়েছে তাদের পছন্দের রাজনীতিতে অংশ নেয়া। অথচ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বশ্যতা মেনে না নিয়ে ভিন্ন মতের রাজনীতিকে পছন্দ করার জন্যে সাধারন মানুষকে হতে হচ্ছে অত্যাচারিত। অন্যদলের কর্মী বা সমর্থক হবার অপরাধে ছাত্রদেরকে হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। তাদের বই-খাতা-কম্পিউটার লুটে নেয়া হচ্ছে।
হল ছেড়ে মেসে উঠলেও রক্ষা নেই। দল বেধে এসে সেখানেও হামলা করছে ফ্যাসিবাদীর দল। পেটানো কোপানোর পর ছাত্রদের মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তারা। তাদের রয়ে যাওয়া বাকি বই-খাতাও কেড়ে নেয়া হচ্ছে। ঘরের ফ্যান এমনকি যাওয়ার সময় জুতাজোড়া নিতেও ভুলছেনা এই লুন্ঠনকারীর দল।
নির্বাচন পরবর্তি সন্ত্রাসের জোয়ারের প্রথম ধাক্কা কাটার পর ভবিষ্যদ্বানী করেছিলাম যে, প্রতিদিন সারাদেশে অন্তত দুটি বাজে খবর এরা তৈরী করবে। আমার ভবিষ্যদ্বানী ভূল হয়েছে। এরা শুধু মাত্র দুটি খবরের পাবলিক না। এখন প্রতিদিন কমসে-কম বিশটা করে এদের ধ্বংশাত্নক কার্যক্রমের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এসব ঘটনার নায়ক হলো ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র হতে শুরু করে বুড়ো কর্মীগন।
আর এধরনের কার্যক্রমগুলোয় সশস্ত্র পাহারার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশ ও RAB সদস্যদের দিয়ে।
একজন স্বনামধন্য শিক্ষক, দেশপ্রেমিক স্বেচ্ছাসেবী ড. আনু মুহাম্মদও এদলের কুনজর হতে রক্ষা পেলেননা। দেশের সম্পদ বাঁচানোর দাবীর কারনে তাঁকে রাজপথে প্রকাশ্যে পেটানো হল। এতে তিনি তাঁর শরীরে হয়তো অনেকক্ষানি আঘাত পেয়েছেন, সে আঘাত হয়তো একদিন মুছে যাবে। কিন্তু যে অপমান তাঁকে করা হলো তা কি মুছে যাবে? এই অপমান শুধু তাঁকে করা হয়নি, বরং করা হয়েছে প্রত্যেক গনতন্ত্রমনা, স্বাধীনচেতা, দেশপ্রেমিক জনতাকে।
পরোক্ষভাবে অপমান করা হয়েছে সকল সাধারন বাংলাদেশীকে।
বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের মত এমন অবিবেচক রাজনৈতিক দল পুরো পৃথিবী খুঁজে আরেকটা পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। এমন অবিবেচক এরা হয় কি করে? তারা তো জনগনের ভোটেই নির্বাচিত হয়েছে। তবে কেন তারা জনগনকে সন্ত্রস্ত করছে? তাদের মৌলিক অধিকারগুলো একে একে কেড়ে নিচ্ছে?
বাংলাদেশের জন্য আওয়ামী লীগ নামের রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।