নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে। আমরা স্রেফ অভিশাপ দিতে শিখেছি। কিংবা মনোজ্বালা নিজের ভেতর পুষে নিজেকে শেষ করে দিতে। যখন দেখি শামীম ওসমান, জয়নাল হাজারি লক্ষীপুরের আবু তাহেরদের, কিংবা যুবলীগ নেতা সোহেল রানাদের হাজার হাজার শ্রমিক হত্যা করতে। বিচারের নামে প্রহসন আর অপরাধীরা ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে।
যখন দেখি একজন নিষপাপ কিশোর লিমন কিংবা তার মতো শত শত নিরাপরাধ ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনির হাতে আহত কিংবা নিহিত হতে। তখন ঘৃণা রাগ, ক্ষোভে মুখ বিকৃতি করি। এই বিকৃতির ভেতরেই যেন হারিয়ে যায় আমাদের সব প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিন্তু ভারতের মেহনতি মানুষের একটা অংশ শিখে গেছে এই রাষ্ট্রিয় নীপীড়নের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ কি ভাবে করতে হবে। এই শিক্ষার প্রতিফলন আমরা দেখলাম ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস নেতাদের গাড়িবহরে মাওবাদীদের হামলা।
হামলায় নিহিত নন্দকুমার প্যাটেলকে আমরা তুলনা করতে পারি লক্ষীপুরের আবু তাহেরের সাথে। আর সেই সাথে নিহত নন্দকুমারের ছেলে দিনেশ প্যাটেলকে তুলনা করতে পারি আবু তাহেরের সেই সুযোগ্য পুত্রের সাথে যার কাছে খুন হচ্ছে পান্তা খাওয়ার মতো আর ধর্ষণ হচ্ছে রসিকতা। যাকে আবার আমরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা পেতে দেখলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।