ভালোবাসি মানুষকে
প্রেমে নারকেল স্ট্রোক !
আমি প্রেমে পড়ি ১৯৭৫ সালে। সবে এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছি। তার বযস তখন ১২ বছর হবে। সেই প্রেমিকার বাড়িতে আমার হরদম যাতায়াত ছিলো। একদিন বিকেলে তাদের বাড়িতে গেলাম।
সেখানে তার মেজো ভায়ের সাথে গল্প করছিলাম। সেখানে সেও ছিলো। ভাইটি অন্য মনস্ক হওয়ার সাথে সাথে আমার প্রেমিকা যে কাজটি করে বসলো তা রীতিমতো ভয়ঙ্কর। আস্ত একটি ছেলা নারকেল আমাকে গোপনে চালান করলো। সেই মূহুর্তে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লাম...।
আমরা বসে ছিলাম একটি খাটের উপড়। আমি ওই নারকেলটা খাটের নিচে যতবার লুকিয়ে রাখতে যাই পেমিকা ততবারই আমাকে চোখের ইশারায় তা নিষেধ করে। এক ঘন্টার এই নারকেল স্ট্রোকের এক পর্যায়ে ওর ভাই আমাকে বললো ‘চল আমরা বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসি’। তখন আমি আরো বিপাকে পড়লাম। এই নারকেল কোথায় লুকিয়ে নিয়ে বাইরে যাই।
আমি রীতিমতো দর্দর্ ঘামতে শুরু করলাম। এরই মাঝে ওর ভাই আমাকে তাগাদা দিতে শুরু করলো - ‘কই তাড়াতাড়ি আয় ’। ধরা পড়ার ভয়ে আমার সেই মূহুর্তে এখন-তখন অবস্থা। যা হোক বহু কষ্ট ও কায়দা-কসরত করে ওই বিশাল আকৃতির ছেলা নারকেল চালান করলাম আমার প্যান্টের কোমর গলিয়ে জাঙ্গিয়ার ভিতর। এরপর শুরু হলো আর এক বিপদ।
ঘরের বাইরে এসে আমি আর ¯^vfvweK ভাবে হাটতে পারছি না। যদি ¯^vfvweK গতিতে হাটতে যাই তাহলে হার্নিয়ার পেসেন্টের মতো অবস্থা দাড়ায়। সামনের বেঢপ ফোলাটা এদিক-ওদিক নড়াচড়া করতে থাকে। এই অবস্থায় কোনো ভাবে ওই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে আগে নারকেল অবমুক্ত করি।
২০ বছর ধরে প্রেম চালিয়ে যাওয়ার পর আমার সেই প্রেমিকাকেই আমি বিয়ে করেছি।
আমাদের সুখের সংসারে একটি কন্যা সন্তানও আছে। কিন্তু তাকে যতোবার জিজ্ঞাসা করেছি পৃথিবীতে এতো খাবার বস্তু থাকতে কেনো গোপনে আমাকে একটা আস্ত নারকেল দিয়েছিলো - সেই প্রশ্নের উত্তর কখনই সে আমাকে দেয়নি। বরং সে কথা মনে করে সে হেসে লুটোপুটি করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।