রাত না ভোর বলব বুঝতে পারছি না। তবে বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সময়? এখন ৫.৩০ বাজছে। সময় আপেক্ষিক ব্যাপার। আমার কাছে এখনো তাই রাত।
মাত্র সেহরি খাওয়া হলো। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি রাস্তার নিয়ন বাতি গুলোর হালকা আলো চারিদিকে আলো-আধাঁরের খেল খেলছে। ঘুমিয়ে আছে নিউ ইয়র্ক,কে বলেছে নিউ ইয়র্ক ঘুমায় না? ২৪/৭ এর স্টোর সার্ভিস আর নাইট শিফটের কিছু লোকের ঘরে ফেরা রাতকে শহর এর অস্থিরতা থেকে দূরে রাখতে পারেনি। রাতের মোহনীয়তা এই শহরের প্রাণহীনতাকেও ছুঁয়ে গেছে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে আছি রাস্তার বাতি গুলোর দিকে।
হঠাত একজনকে দেখলাম রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে। অন্যমনস্ক ভাবে চোখ পড়লো লোকটার দিকে। চোখ আটকে গেলো। কতজনই তো হেঁটে যাচ্ছে রাস্তাগুলো ধরে। কিন্তু এই লোকটি স্পষ্ট আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
তার চোখগুলো যেনো আগুনের মতো জ্বলছে। হাতে কি লোকটার? একটা লম্বা দা নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কেনো লোকটা? অবাক করা ব্যাপার। পুলিশের ভয় নেই নাকি ব্যাটার? চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলাম,দেখি লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলো। শ্লেষ মেশানো হাসি, আত্মা কেঁপে উঠলো যেনো আমার। বাকশূণ্য হয়ে চেয়ে রইলাম।
এতোক্ষণ তাও বিশ্বাসযোগ্য ছিলো(আসলেই কি?) কিন্তু পুরো হিসেব এলোমেলো হয়ে গেলো যখন অজানা একটি কোম্পানীর রাতের প্রহরী সিকিউরিটি গার্ড হেঁটে চলে গেল লোকটির মাঝখান দিয়ে। যান্ত্রিক নগরীতে বসে ভূত দেখা? এতো মস্তো বড়ো অপরাধ!! চোখ কচলে তাকালাম। কিছু নেই। সেই নিস্তব্ধ রাস্তাটিই তাকিয়ে হাসছে আমার দিকে। সিকিউরিটি গার্ডটিই শুধু রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে তার ব্যাগটি ঝুলিয়ে।
কোন কথাই হলো না, কিন্তু লোকটার সাথে যেনো অনেক কথাই হয়ে গেল। আমি আসছি...যেনো জানান দিয়ে গেলো সে... (To be continued)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।