saving the world by sleeping
লাইফে আমি কুনো চার্ম দেখতাছি না ।
ভাবছিলাম রোজার মাসে ভিন্ন কোনো স্বাদ পামু
কোথায় কি ?
সেই পুরানা ইফতার । বেগুনি, পিয়াজু । তয় এইবার মেনুতে আলুর চপ যুক্ত হইছে । আমার ফেবারিট ।
কিন্তু ৫ রোজার পর থিকা ঐটাও অখাদ্য লাগা শুরু করছে । আরেকদিন পিজ্জা কিন্যা লইয়া গেছি ।
পুরাই বস্তা পঁচা লাগছে ।
বুঝতাছি না আসলে কি খাইবার মন চাইতেছে
কিছু করবারও মন চায় না । সকাল বেলা ঘুম থিকা উইঠা তড়িঘড়ি কইরা বাসা থিকা বাইর হই ।
ওত্ত সকালে বাসার সবডি ঘুমায় থাকে । আমি বের হই চুরের মতন ।
কেন জানি বাড়িত থাকতে মন চায় না ।
আর আপিসে সারাক্ষণ কেমনে সময়টা কাটান যায় সেই চিন্তা করি ।
কখন ৪টা বাজব আর আমি বাড়িত যামু ?
১০ মিনিট পর পর ঘড়ির দিকা চায়ে থাকি ।
৪টা বাজার সাথে সাথে দৌড় মারনের চেষ্টায় থাকি যদি আবার বস একটা মিটিং ডাইকে বসে ।
উনারাতো আটকায়ে রাখতে পারলে মহাখুশি
ঐদিন উনাগো দাঁত থিকা মুক্তা ঝরে ।
তারপর বিশাল জানের জট পারি দিয়া বাসায় যদি ৬টার মাঝে পৌঁছাই তইলে কেল্লাফতে । সোজা বিছানা নিই ।
ইফতার তৈয়ারের পুরা দায়িত্ব আমার বোনটা নিজ হস্তে নিজের কাঁধে চাপায় লইছে আমার আর কিছু করনের থাকলো না ।
একটু ঘোরাঘুরি যদি করছি রান্না ঘরের কাছ দিয়া, আমার বোনে কয় যাও গিয়ে আরাম কর । আমার আর বেশি কিছু বলার নাই ।
ইফতারের পরই যে ঝিমুনিটা শুরু হয় তাতে আর বেশিক্ষণ জেগে থাকা সম্ভব হয় না । ৯.৩০টায় বিছানায় গড়াগড়ি আরম্ভ করি । তারপর আর কিছুই মনে থাকে না ।
সেহেরীতে মানুষ কেন ডাকে
তাও আবার ভাত নামক অখাদ্য খাইতে ।
বেশিরভাগ দিনই পানি পান কইরে ঘুমায় পড়ি ।
কিছুই লেখার পাইতেছি না দেইখে হিজিবিজি রোজনামচা লিখলাম ।
এখন আর লিখতে ইচ্ছা করতেছে না । হাতে ঝিঝি ধরছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।